কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় দাফনের তিন মাস ২৪ দিন পর দুজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মহিন উদ্দিন ও সবুজের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আবদুল খালেক, ওমর ফারুক লিটনের মরদেহ উত্তোলন করা হবে।
উত্তোলনের পর মরদেহ দুটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর বসুরহাট পৌরসভার ‘রফিক হোমিও হল’ থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট কিনে পান করে নূর নবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, সবুজ, মহিন উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ ছয়জন মারা যান।
নূর নবী মানিক ও রবি লালের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অন্য চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। আদালতের নির্দেশে সোমবার তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় রফিক হোমিও হল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে স্পিরিট ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এমনকি একে একে ছয়জনের মৃত্যু হলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ স্পিরিট ব্যবসা।
এ ঘটনায় স্থানীয় শাহজাহান সাজু নামে এক ব্যক্তি রফিক হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে তাদের মৃত্যুর তিন মাস ২৪ দিন পর দুজনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।