আবদুর রহিম বাহার :: যে কাজটি মওদুদ আহমদ করতেন বিশেষ করে কোন নেতা কর্মীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে কারো মৃত্যু হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক বার্তা দিতেন।এলাকায় এলে ঐ পরিবারের সদস্যের কবর জিয়ারত করতেন। পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাতেন।
ঠিক একই কাজটি করলেন হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ।গত ১৯ আগষ্ট নোয়াখালী জেলা বিএনপির পদযাত্রা শেষে তিনি মাইজদী থেকে সরাসরি চলে এলেন কবিরহাট উপজেলায় ইতিমধ্যে যারা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। আল্লাহ’র ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন পরপারে তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে চলে গেলেন তাদের বাড়িতে।
তিনি কবিরহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু’র বাড়িতে গিয়ে তার মা সহ পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন। মঞ্জুর বাবা গত ৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক নয়নের মায়ের মৃত্যুতে ফেইসবুক পোষ্টের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। শনিবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছন।
চাপ্রাশিরহাট ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মরহুম সেলিম ভাই, চাপ্রাশিরহাট ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
আমি বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু নাজমুলহুদা ফরহাদ মোমিত গোলাম ফয়সল ছাত্রদল নেতা কামাল উদ্দিন রুবেল কবিরহাটের বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দ সহ হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদের গাড়ী বহরের সাথেই ছিলাম।
গাড়ী বহরে প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল হাসনা জসিম উদ্দিনের সাদা রঙ্গের জীপ ছাড়াও ফয়সল ভাইয়ের একটি কার ছিল। প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টির লুকোচুরিতে ফয়সল ভাইয়ের গাড়িতে চড়ে সব বাড়িতেই যাওয়ার সৌভাগ্য হলো।
বৃষ্টিতে ভীজে প্রচন্ড গরম কে উপেক্ষা করে হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদের গাড়ী বহরে নেতা কর্মীদের প্রচন্ড উচ্ছাস আমাকে অভিভূত করেছে। মওদুদ আহমদের অনুপস্থিতে তারা শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে অভিষিক্ত করতে চায় তাকে। এই টা অর্থ দিয়ে নয়, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়েই অর্জন করা সম্ভব।
যেখানেই গেছি নেতা-কর্মীদের প্রচন্ড ভীড় ছবি তোলার হিড়িক হাসনা মওদুদের সাথে পরিচিত হওয়ার প্রবল আগ্রহ । তিনিও তাদের স্নেহ দিয়ে আদর দিয়ে সুন্দর শব্দ মালার গাঁথুনী দিয়ে সাবলীল ভাষায় তাদের ভালোবসার জবাব দিয়েছন। নেতা কর্মীরা হাসনা মওদুদকে পেয়ে খুবই খুশি।
প্রতিটি বাড়িতে নানাবিধ খাওয়ার আয়োজন। পিঠা, পাকা কলা, পেয়ারা, পেপে, আপেল, আঙ্গুর, ডালিম, ডাবের পানি মিষ্টি আরো কত কি! মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জনপ্রিয় তরুন নেতৃত্ব মেস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু । অনেকে চলে যাওয়ার পরও প্রায় দেড় শতাধিক নেতা কর্মীর খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছেন মঞ্জু।
সব মিলিয়ে হাসনা জসিম উদ্দিনের নোয়াখালীর পদযাত্রা কবিরহাট উপজেলায় নেতা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানানোর এই উদ্যোগ খুবই সফল হয়েছে।
মানুষ হাসনা মওদুদের মাঝে মওদুদ আহমদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়েছে।এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই।ইনশাল্লাহ ।
লেখক, আবদুর রহিম বাহার
প্রবাসী।
এইটা মানবিক উদ্যোগ,আমাদের সকলের পরিবারের সদস্যদের প্রতি বেগম হাসনা মওদুদের সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে,ওনার সাথে অন্য যারা এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।