এএইচ এম মান্নান মুন্না :: কমিটি ঘোষণা ছাড়া নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ ও বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত । বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো.সাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমান শিপন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান মিন্টু, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত প্রমূখ।
কমিটি ঘোষণা ছাড়া কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়। সম্মেলন শেষে নেতা-কর্মীদের তুমুল জল্পনা-কল্পনা আগামী পরশু কমিটি ঘোষণা করা হবে। ঘোষণায় কে হবেন কোম্পানীঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক? যুবলীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই যুব সংগঠনকে ক্লিন ইমেজের নেতা-কর্মী নিয়ে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল একজন ক্লিন ইমেজধারী সংগঠক। তার বিকল্প সভাপতি পদে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছারওয়ার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল হক কচি ও জহিরুল ইসলাম তানভীরের নাম শোনা যাচ্ছে।
আজম পাশা চৌধুরী রুমেল সম্মলনে তার বক্তব্যে বলেন, আজকে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে না। আগামী ১লা নম্বেভর কমিটি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন বিগত দিনের যুবলীগের সাংগঠনিক সফলতা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের। আর সকল ব্যর্থতা আমার কাঁদে নিলাম। সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখারও অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন ,আগামীতে যুবলীগের দায়িত্ব পেলে যুবলীগের সকল নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাবো। আর যদি দায়িত্ব নাও পেয়ে থাকি সংগঠনের স্বার্থে যুবলীগকে সহযোগিতা করবো। আমার থেকেও যুবলীগের আরো যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি হোক এটি প্রত্যাশা করি।
যুবলীগের অনেকের ধারণা পুরোনো কমিটির সভাপতি, সম্পাদকের দায়িত্বশীলরা স্বপদে বহাল থাকতে পারেন! শেষ পর্যন্ত কে হবেন সেটি দেখার তুমুল অপেক্ষায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃনমূলের এক কর্মী জানান, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে সংগঠনে গণতন্ত্রের চর্চা বিকশিত হবে।