কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব টাস্কফোর্সের অভিযানে দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

Date:

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব ও টাস্কফোর্সের অভিযানে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ৯৬ বোতল বিদেশি মদ, ১৩২ বোতল ফেন্সিডেল ও নগদ ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ব্যাংক রোডে সংলগ্ন  ঘর পোড়া বাড়ির মৃত মো. এরশাদ উল্যার ছেলে মো. আবদুল হালিম ওরফে কাঞ্চন (৪০) ও মৃত আহসান উল্যাহর ছেলে মো. নুর নবী ওরফে মিস্টার (৪০)। জানা যায়, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএইচ তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সহযোগিতা করে র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথম অংশে বিদেশ ফেরত কাঞ্চনকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নুর নবীকে মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ই মাদক কারবারির কথা স্বীকার করেছে।


তিনি আরও বলেন, আটককৃত আবদুল হালিমের দুই কিডনিতে সমস্যা থাকায় তাকে জরুরিভাবে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আসামি কাঞ্চন বিদেশ থেকে এসে জমানো টাকা দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করে। অপর আসামি নুর নবী ওরফে মিস্টারের বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা রয়েছে। তারা উভয় মাদক কারবারির মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত।

র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, র‍্যাবের একটি টিম এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। জব্দকৃত মাদকসহ আসামিদের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি নিয়মিত খারাপ কাজ করে তাহলে তার ভেতরে কনফিডেন্স চলে আসে। দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী অভিযান না হওয়ায় তারা এই ব্যবসায় জড়িত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। আমরা নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে কারবারিদের কনফিডেন্স ভেঙে দেব। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত...

কাউকে আর রাষ্ট্র নিয়ে খেলা বা নাটক করতে দেওয়া হবে না : শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন

টাইম ডেস্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন...

লেখক-সাহিত্যিকরা সমাজের দর্পণ: মাহবুবা চৌধুরী

সাহিত্য রিপোর্ট :লেখক-সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পণ। তারা তাদের লেখনীর...

মালয়েশিয়া থে‌কে পরিশোধিত পামওয়েল পে‌তে চায় বাংলা‌দেশ

প্রবাস ডেস্ক:আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মালয়েশিয়া থেকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়...