কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ‘পাতানো’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের যৌথ তৎপরতায় ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে তার সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত দেখানো হয়েছে।
সোমবারের নির্বাচনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত ৪ জন প্রার্থী ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র ১ প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিতভাবে এই ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এর আগে সোমবার রাতেই বেসরকারিভাবে এই ফলাফল জানা যায়। এরপরই ফেসবুক লাইভে আসেন কাদের মির্জা।
ফেসবুক লাইভে এসে ফলাফল প্রত্যাখান করে কাদের মির্জা নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের, ডিসি ও এসপির এ পাতানো নির্বাচন আমি মানি না। ওবায়দুল কাদেরের ৩ ভাগ্নেসহ অপরাজনীতির হোতাদের জেতানোর জন্য যা যা করার তারা সব করেছেন। পরিকল্পিতভাবে এ পাতানো নির্বাচন হবে জানলে আমি নির্বাচনে জড়াতাম না। চরের ভূমি দখলের মত ভোটকেন্দ্র দখলের উৎসব হয়েছে।
তিনি জানান, সপ্তম ধাপের নির্বাচন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন শিগগির।
কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জে আমাকে দাফন করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের পারেন না এমন কোনো কাজ নেই। এটা তার পক্ষেই সম্ভব, এ নির্বাচন তার প্রমাণ।
নির্বাচনের দিন কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নে ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে তার ছেলে তাশিক মির্জার ওপর হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
কাদের মির্জার অভিযোগ প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরা সবাই গতকাল দেখেছেন, নির্বাচন কতটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছেন। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন, এ নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই।