কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে ৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মাছ ধরার বোট’সহ ২০হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আটককৃতদের সবাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মুছাপুর ৭নং ওয়ার্ড রেগুলেটর এলাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন, মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাকিবুল হাসান (২২), মজিবুর রহমান বাদশা (২২), মো: শাকিল (২১), সাইফুল ইসলাম (৩০), সজিব (২৪), রিফাত (২০), জহির ইসলাম (২৮), মো: ইউসুফ (২২) ও আবদুল মান্নান (৪২)।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গত ১২অক্টোবর মধ্যরাত থেকে আগামি ৩নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর’সহ সকল নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এসময় ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। অভিযান সফল করতে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে রেগুলেটর এলাকায় ছোট ফেনী নদীতে মাছ ধরার সময় একটি বোট’সহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে দুপুরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী তাদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে আগামির জন্য সর্তক করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশলাফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সকালে অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অর্থদণ্ড করার পর অর্থের টাকা জমা দিয়ে তারা ছাড়া পাবে। আগামির জন্য তাদের সবাইকে সর্তক করা হয়েছে।