নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো।’ ক্লুলেস ‘এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর নুরুল আলম রনি ২৭কে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছন। গ্রেফতারকৃত আসামি নুরুল আলম রনি মুছাপুর রংমালা শফিকুল আলম বাহার’র ছেলে।
আটকৃত নুরুল আলম রনি আদালতে জবানবন্দীতে জানিয়েছেন ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় শারীরিক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ শরীফের সাথে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী শরীফের সাথে ঝগড়ায় লিপ্তহয়। ঝগড়ার জেরধরে এ সময়ে শরীফকে একাপেয়ে ওই রাতে একটি মসজিদের পেছনে নিয়ে কিলঘুষি মারতে থাকে এ সময় শরীফ অজ্ঞান হয়ে পড়লে রনি তাকে মৃত ভেবে লতা পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে এবং তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি নিয়ে আসে। একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী শরীফ ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এক সপ্তাহ পরে শরীফ’র মৃতদেহের পচা -গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী কোম্পানীগঞ্জ থানাকে খবরদে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য প্রেরণ করে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রূপান্তরিত হয়।পরে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করেন । ‘ক্লু্েলেস ‘ মামলাটি বিদিরগত তদন্তের পর ১৩ জুন আসামি মহম্মদ শরীফ রনিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বিমল কর্মকার, এস আই মোহাম্মদ মহসিন মিয়া এবং তাদের সঙ্গে ফোর্স গ্রেফতার করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার মামলা নং ১১, ধারা ৩০২/৩৪ ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার
ইনচার্জ গাজী মোহাম্মদ ফৌজলু আজিম জানান, আসামী নুরুল আলম রনি আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। তাকে নোয়াখালী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।