সদর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রশিক্ষণ পেলেকুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ নিজেরাই তাদের পরিবারের মধ্যে নতুন রোগী সনাক্ত করতে সক্ষম যেটি বাংলাদেশকে ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে কুষ্ঠ মুক্ত করতে সহায়তা করতে ভূমিকা রাখবে।
নোয়াখালী জেলা পরিষদে সোমবার সকালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দি লেপ্রসিমিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ (টিএলএমআই-বি) কর্তৃক আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ এই কথা বলেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং লক্ষীপুরের ১০ জন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা সঠিক সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে কুষ্ঠমুক্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় টিএলএমআই-বি এর টেকনিক্যাল অফিসার এন্থনী কুইয়া কুষ্ঠ রোগ নির্নয় করার সহজ উপায় গুলো হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেন।
কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে নোয়াখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন ‘‘কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি নিজেই পরিবারের অন্য সদস্যদের পরীক্ষা করে তাদের কুষ্ঠ রোগ আছে কিনা তা সনাক্ত করতেপারেন। এই কাজে তারা নিজেরা অর্ন্তভুক্ত হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নতুন রোগী সনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা সহজ হবে।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে টিএলএমআই-বি এর প্রকল্প কর্মকর্তা রতন মালো বলেন, কুষ্ঠনিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে ১৯৯৮ সালে। সম্পুর্ণরূপে কুষ্ঠ নির্মূলে বাংলাদেশের লক্ষ্য আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে কুষ্ঠমুক্ত দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখহাসিনাও বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলের জন্য খুবই আন্তরিক এবং তিনি এব্যাপারে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘‘কুষ্ঠ রোগ থেকে সুস্থ হওয়া একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলে একজন ভালো স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা রাখতে পারেন যদি তিনি নিজের জীবনে কুষ্ঠ জয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন রোগী সনাক্ত করেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।”
নোয়াখালী সদর উপজেলার যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রন সহায়ক (টিএলসিএ) মোঃ ইমান হোসেন বলেন ‘‘কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি নিজেই নতুন রোগী সনাক্ত করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে পারেন এবং তারা সে কাজে সক্ষম। ”তিনি টিএলএমআই-বি কে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন কুষ্ঠ রোগ সনাক্তকরণের এই ধরনের প্রশিক্ষন নতুন রোগী সনাক্তকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখতেপারে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কুষ্ঠবিজয়ী ব্যক্তিরা বলেন তারা নিজেরাই প্রথমে নিজেদের পরিবারে এবং পরে নিজ নিজ এলাকায় নতুন রোগী সনাক্তকরণে কাজ করবেন।