সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীতে একই পরিবারের ৫ জনসহ নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, উপজেলার পৌর হাজীপুরে একটি পরিবারের ৫ জনসহ নতুন করে ১০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদের শারীরিক অবস্থা দেখে হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বেগমগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। যার মধ্যে ১ জন করোনা পরীক্ষার আগে মারা গেছেন এবং ৩ জন করোনা জয় করে সুস্থ আছেন।
জেলার সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান জানান, উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের এক ব্যক্তি (৫৬) অসুস্থতাবোধ করলে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় তার করোনা শনাক্ত হয়। তার ছেলেরা বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কারও সংস্পর্শে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তার বসবাসরত তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে বিকেলে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১টি পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন জেলার সেনবাগ উপজেলার ও অপর ১০ জন বেগমগঞ্জ উপজেলার রয়েছে।
জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ৩৪, সদরে ১০, সোনাইমুড়ীতে ১০, হাতিয়ায় ৫, সেনবাগে ২, কবিরহাটে ২, চাটখিলে ৫ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন।
এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামে এক ব্যবসায়ী। জেলায় মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ৯ জন।