এএইচ এম মান্নান মুন্না :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দেয়া অসৌজন্যমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বসুরহাটের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে পূর্বের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেন তিনি।
এর আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে পছন্দের পদ না পেয়ে গত ১৩ নভেম্বর বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন এ নেতা।
নুরুল আলম সিকদার বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট লেখকও বটে। আগামী এক’শ বছরেও তাঁর মতো (মওদুদ আহমদ) আরেকজন নেতা নোয়াখালীতে জন্ম নিবে কিনা সন্দেহ আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল আলম সিকদার বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি কমিটি গঠন, পুনঃ গঠন, পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারেন। যদিও তিনি আগের করা সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ার মওদুদ আহমদের নেই, তিনি গঠন তন্ত্র বিরোধী কমিটি করেছেন।এটি একমাত্র জেলা কমিটির এখতিয়ারে রয়েছে।
এছাড়া ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের উপ-রাষ্ট্রপতি পদবি বিএনপি আমলের নয়, এটি জাতীয় পার্টির সময়কার’ আগের দেয়া এমন বক্তব্য অজ্ঞতা প্রসুত উল্ল্যেখ করে আরো বলেন,রাজনীতি করতে হলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে তার প্রয়োজন আছে, আবার তাকেও ব্যারিস্টার মওদুদের প্রয়োজন আছে। তাই তিনি মনে করেন অতীতের ভুলগুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তাদেরকে আবারো দলে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করবেন।যার জন্য তিনি অনুতপ্ত ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবারো সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান এই নেতা ।
এ সময়ে জাহাঙ্গীর আলমও তার পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ এর কাছে ক্ষমা চান । তবে এ সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু ছাড়া আন্দোলনকারী অন্য কাউকে উপস্থিত দেখা যায়নি।