Home Blog Page 12

উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন

0

টাইম ডেস্ক:
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বিমান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।

নোয়াখালী জেলা স‌মি‌তির, ঢাকার আহ্বায়ক ক‌মি‌টির সভা অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।

0

টাইম ডেস্ক:

বুধবার (১৮ ডি‌সেম্বর ) রাতে রাজধানীর নয়াপল্ট‌নের রূপায়ন তাজ টাওয়া‌রে স‌মি‌তির নিজস্ব কার্যাল‌য়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপ‌তিত্ব ক‌রেন স‌মি‌তির আহ্বায়ক এম এ খান বেলাল। এসময় বক্তারা, দলম‌তের ঊর্ধ্বে উ‌ঠে ও ভেদা‌ভেদ ভু‌লে নোয়াখালীবাসীর উন্নয়নে সবাই‌কে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় বেশ ক‌য়েক‌টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরম‌ধ্যে নতুন আজীবন সদস্য সংগ্রহ করা, নির্বাচন সফল কর‌তে স‌মি‌তি‌তে নতুন সদদ্য সংখ্যা বাড়া‌নো, গঠনতন্ত্র সং‌শোধন করা, অ‌ডিট ক‌মি‌টি গঠন ও এ‌জিএ‌মের তা‌রিখ নির্ধারণ করা, নির্বাচন ক‌মিশন গঠন ও অ‌ফিস সহকারী নি‌য়ো‌গের সিদ্ধান্ত হয়।

উ‌ল্লেখ্য, এম এ খান বেলা‌ল‌কে আহ্বায়ক ক‌রে গ‌ঠিত নতুন আহ্বায়ক ক‌মি‌টি‌তে কোন সদস্য স‌চিব রাখা হয়‌নি। এই কমিটিতে কোন সদস্য সচিব নেই। এম এ খান বেলাল আহবায়ক, বাকি সবাই সদস্য।

নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক দুজন।
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা করা আকরাম হোসেন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাঁর সহযোগী অ্যাডভোকেট জলিল হোসেনকেও (৩৯) আটক করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন, জেলার সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজুবিলী এবং সদর উপজেলার চুল্লাডগি গ্রামের বাসিন্দা।

সেনাবাহিনী থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন নাবিল রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম হোসেন ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ জলিল হোসেনকে আটক করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, আকরাম ও জলিল ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে মামলা মীমাংসার কথা বলে টাকা আদায় করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আটক ব্যক্তিদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।

নোবিপ্রবি’র ‘ময়না দ্বীপ’ অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত,পাখি দেখতে দর্শণার্থীদের ভিড়

0

এএইচএম মান্নান মুন্না:
হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সবুজ নোবিপ্রবির ‘ময়না দ্বীপ’ কুয়াশাচ্ছন্ন পথ আর ঘাসের ওপর শিশির জানান দিচ্ছে শীত এসেছে। এই শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ময়না দ্বীপে আসতে শুরু করেছে কাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন অতিথি পাখির জলকেলিতে মুখর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই দেখা মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে হাজারো রং বাহারি অতিথি পাখির। অতিথি পাখিতে দেখতে দর্শণার্থী ভিড় করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। দিনভর জলকেলি, খুনসুটি সেই সঙ্গে কিচির-মিচির শব্দ, কখনো নীল আকাশে ঝাঁক বেঁধে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে পাখিরা। যা দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় করছেন পাখি প্রেমীরা। অগণিত পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের। প্রতিবছর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। সাধারণত শীতে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে পাখিরা নোবিপ্রবি’র ময়না দ্বীপে আসে। এরমধ্যে পরিযায়ী সরালি, বালি হাঁস, দেশীয় পানকৌরী ও সাদা বক রয়েছে। নোবিপ্রবি’র ময়না দ্বীপ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ায় অতিথি পাখিরা এখানে অবস্থান করে। ময়না দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়, কিছু পাখি ঝাঁক বেধে আপন মনে সাঁতার কাটছে। কিছু কচুরিপানা ও শাপলার পাতায় আপন মনে বিশ্রাম নিচ্ছে।
কিছু পাখি আবার আকাশে উড়ছে। আবার পরক্ষণেই ঝাঁপ দিচ্ছে জলে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর চারদিক।
সবুজ গাছপালা আর দিনভর ময়না দ্বীপের জলে পাখিদের ভেসে বেড়ানো ও জলকেলি খেলা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যা হলে পাখিগুলো আশ্রয় নিচ্ছে ময়না দ্বীপের গাছে। সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে অধিকাংশ হাঁসজাতীয় পাখিরা আসতে শুরু করে। তবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাখি দেখা যায়। সকাল দুপুর বিকেলে

পাখির ওড়াউড়ি আর জলকেলিতে মুগ্ধ হন বেড়াতে আসা পর্যটকরা। অনেকেই ছবি তোলেন আবার কেউ পাখির ওড়া উড়ির দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভারমেন্টাল সাইন্স ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস সৌরভী বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি। পাখির কিচিরমিচির ডাকে আমরা ঘুম থেকে জাগি। অতিথি পাখির এ কলকাকলি ক্যাম্পাসকে মুগ্ধ করে রাখে এবং প্রতিটি শিক্ষার্থী এতে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে।
এতে করে আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ মাহমুদ ফুয়াদ  বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের সব থেকে সুন্দর দিক হলো শীতকালে অতিথি পাখির আগমন। এই অতিথি পাখিকে উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীর সংখ্যা আগের থেকে বেড়ে গেছে। আশপাশের মানুষেরা অতিথি পাখি দেখতে আসে এতে আমাদেরও ভালো লাগে। আমাদের উচিত এই সৌন্দর্য ধরে রাখা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেরও উচিত অতিথি পাখি সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ

মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত আরা পারভিন তানিয়া বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে। মেডিকেল সেন্টার ময়না দ্বীপের সঙ্গে হওয়ায় আমরা সব সময় তাদের কিচিরমিচির শব্দ শুনি। আমাদের অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে যা কখনো বলে বুঝানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তার বলেন, পরিযায়ী পাখি আড়াল পছন্দ করে। তারা মানুষ দেখলে ভয় পায়। তারা পোকামাকড় আর নতুন জন্ম নেওয়া উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ খেয়ে থাকে। তাদের আবাসস্থল যদি

নিরাপদ হয় তাহলে তারা আমাদের কাছে থাকবে, না হয় চলে যাবে। যেহেতু তারা অতিথি তাই তাদের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরিতে সবার কাজ করা উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অতিথি পাখি আমাদের পরিবেশের জন্য উপযোগী। এক ধরনের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে এরা ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। যদি নিরাপদ ও দর্শনার্থীর কোলাহল কম থাকে তাহলে পাখির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বছর ময়না দ্বীপকে ধান চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর লিজ বাতিল করি। যেহেতু পরিযায়ী আমাদের অতিথি তাই তাদের নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা ময়না দ্বীপকে।

উপদেষ্টা স্যারের কাছে প্রেরণ করেছি। আমরা মনে করি পরিযায়ী পাখি যদি আমাদের এই অঞ্চলে নিরাপদ মনে করে তাহলে তারা আগামীতে মেঘনার অববাহিকায় আসবে। এতে করে পরিবেশের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। কেউ যেন পাখি শিকার না করে, তাদের ঢিল ছুড়ে না মারে এবং তাদের বিরক্ত না করে সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

নোবিপ্রবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

এদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর নোবিপ্রবি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, বিভাগ, হল, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

এরপর ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিজয় দিবসের আলোচনা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মুজতাবা ফয়সাল নাঈম এর সঞ্চালনয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ)। অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য দেন নোবিপ্রবি রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ভূঞা ও প্রক্টর এ. এফ. এম আরিফুর রহমান প্রমুখ। সভায় কর্মকর্তাদের পক্ষে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন ও কর্মচারীদের পক্ষে নোমান ফারুক বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউট ও দপ্তরসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা

0

টাইম ডেস্ক:
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, বসুরহাট পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি ও জেএসডি, সহযোগী সংগঠন,সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
প্রথমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান,কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বসুরহাট পৌরসভার প্রশাসক তানভীর ফরহাদ শামীম বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল আহম্মেদ।

কোম্পানীগঞ্জে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৩১বার তোপধ্বনি, বসুরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বসুরহাট পৌরসভার প্রশাসক তানভীর ফরহাদ শামীম বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল আহম্মেদ। বিএনপি উপজেলা আহবায়ক নূরুল আলম শিকদার।

এদিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, বসুরহাট পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি ও জেএসডি, সহযোগী সংগঠন,সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

ওয়েস্টব্যাঙ্ক কলেজ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

0

টাইম ডেস্ক :
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওয়েস্টব্যাঙ্ক কলেজ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রহীম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মচারী।এদিকে ওয়েস্টব্যাঙ্ক কলেজ পক্ষ থেকে সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং শুভানুধ্যায়ী’দের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

নোবিপ্রবি’র নতুন ট্রেজারার হলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হানিফ মুরাদ

0

টাইম ডেস্ক:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ (মুরাদ) কে নোবিপ্রবির ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৪) মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এর উপসচিব জনাব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ১৩(১) ধারা অনুযায়ী আগামী চার বছরের জন্য এ নিয়োগ দেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেলাল হাফিজের স্কুল জীবনে হেলেনের সাথে প্রেম!

0

টাইম ডেস্ক:

হেলাল হাফিজের স্কুলজীবনে হেলেনের সাথে প্রেম হয়, তারা ছিলেন প্রতিবেশী। দীর্ঘ প্রেমের পর দুই পরিবারে ঘটনাটি জানাজানি হয়। হেলেনের বাবা ছিলেন দারোগা আর হেলাল হাফিজের বাবা স্কুলশিক্ষক। হেলাল হাফিজের বাবা দারোগার মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে চাননি, এ নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ ঘটে এবং হেলাল হাফিজ হেলেনকে বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা বললে হেলেনও নির্বিকার থাকেন। পরে হেলেনের বিয়ে হয় ঢাকার একটি সিনেমা হলের (সম্ভবত মুন সিনেমা হল) মালিকের সাথে।

সেই বিয়ের পর কবি নাকি দশ-বারো দিন কোনো কথা বলতে পারেননি, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। হেলেনের বিয়ের পর কবির পরিবার তাকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে। একদিন তারা একটি মেয়ের ছবি দেখিয়ে তার কাছে জানতে চায়, মেয়ে পছন্দ হয়েছে কি না। কবি উত্তরে বলেছিলেন, মেয়েটি দেখতে তার মায়ের মতো। এরপর পরিবারের লোকজন লজ্জায় আর কখনো তাকে বিয়ের কথা বলেনি। আমৃত্যু তিনি বিয়ে না করে হেলেনকে ভালোবেসে নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।

আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনে এমন সাহসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রায় অসম্ভব। বিয়ে না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি কখনো হেলেনকে দোষ দিতেন না, এমনকি হেলেনের প্রসঙ্গও আনতেন না। তিনি বলতেন, “আমি কাউকে বিয়ে করিনি—এমনটা ঠিক নয়। বরং কেউ আমাকে বিয়ে করেনি—এমনও হতে পারে।”

হেলেনের বিয়ের পরে তীব্র দুঃখ বুকে চেপে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান হেলাল হাফিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়াও করেছেন। ব্যতিক্রমী ও সহজবোধ্য কবিতা লেখার ফলে তার খ্যাতি ক্যাম্পাস থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ল দেশব্যাপী। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার আলোড়ন-সৃষ্টিকারী কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’।

হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটিও কিনে বাসায় নিয়ে যান। হেলেন যখন দেখতে পেলেন বইটির পুরোটা জুড়ে বিধৃত আছে হেলেন-হেলাল প্রেমউপাখ্যান, আছে হেলালের কষ্টের ইতিবৃত্ত আর হেলেনের জন্য হেলালের শব্দে-শব্দে নিঃশব্দ হাহাকার; তখন ক্রমশ তার মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। হেলেনের স্বামী দেশে-বিদেশে হেলেনের উচ্চচিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও হেলেন আর ভারসাম্য ফিরে পাননি। একপর্যায়ে স্বামীর কাছ থেকে হেলেন তালাকপ্রাপ্ত হন। হেলেন এখন নেত্রকোনায় আছেন। এখন তিনি বদ্ধ-উন্মাদ। নেহাল হাফিজের ভাষ্যমতে— হেলেনকে এখন শেকল পরিয়ে ঘরে বেঁধে রাখতে হয়, ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হয় ওষুধ খাইয়ে; অন্যথায় তিনি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। [হেলাল হেলেনের মর্মান্তিক গল্পের তথ্যসূত্রঃ কবি আখতারুজ্জামান আজাদ]

আমরা মনে করি, কবিদের জীবন নারীবেষ্টিত হয়ে থাকে। কিন্তু সব সময় আমাদের ধারণা সত্য হয় না। রূপবতী মেয়েরা কবিতার প্রেমে পড়ে, এলোমেলো অগোছালো কবির প্রেমে নয়।

হেলাল হাফিজ একজনকেই ভালোবেসে সারাজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন। নিঃসঙ্গতাই ছিল তার প্রিয়। কবির জীবনে একটি মাত্র মৌলিক কাব্যগ্রন্থ “যে জলে আগুন জ্বলে” প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। এরপর তিনি আর কোনো বই প্রকাশ করেননি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “প্রথম বইয়ের জনপ্রিয়তা আমার লেখা বন্ধ করে দিয়েছে। জীবনের সব অনুভূতিই এই বইয়ে দিয়েছি। এরপর লিখলে যদি আগের মতো জনপ্রিয় না হয়, তা আমি সহ্য করতে পারব না।”

আমার মনে হয়, এই “যে জলে আগুন জ্বলে” কাব্যগ্রন্থটি শুধুই হেলাল হাফিজের নয়, বরং সকল প্রেমিক হৃদয়ের মনের অব্যক্ত কথার সমন্বয়।

“যে জলে আগুন জ্বলে” কাব্যের ৬২ কিংবা ৬৪ কবিতার প্রতিটি আমাকে প্রবল ভাবে প্রভাবিত করেছিল।

হেলাল হাফিজের সাথে আমার প্রথম পরিচয়, প্রিন্স মাহমুদের সুরে বের করা “এখনো দুচোখে বন‍্যা” এলবাম থেকে। সেই এলবামের কাভারে প্রিন্স মাহমুদ, হেলাল হাফিজের একটা কবিতার নিচের অংশটুকু জুড়ে দিয়েছিলেন। কবিতাটি ছিল:

আমি কি নিজেই কোন দূর দ্বীপবাসী এক আলাদা মানুষ? নাকি বাধ্যতামূলক আজ আমার প্রস্থান,
তবে কি বিজয়ী হবে সভ্যতার অশ্লীল স্লোগান?

আমি তো গিয়েছি জেনে প্রণয়ের দারুণ আকালে
নীল নীল বনভূমি ভেতরে জন্মালে
কেউ কেউ চলে যায়, চলে যেতে হয়
অবলীলাক্রমে কেউ বেছে নেয় পৃথক প্লাবন,
কেউ কেউ এইভাবে চলে যায় বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।

আমার কী এসে যাবে, কিছু মৌল ব্যবধান ভালোবেসে
জীবন উড়ালে একা প্রিয়তম দ্বীপের উদ্দেশ্যে।

নষ্ট লগ্ন গেলে তুমিই তো দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
সুকঠিন কংক্রিটে জীবনের বাকি পথ হেঁটে যেতে যেতে
বারবার থেমে যাবে জানি
‘আমি’ ভেবে একে-তাকে দেখে।
তুমিই তো অসময়ে অন্ধকারে
অন্তরের আরতির ঘৃতের আগুনে পুড়বে নির্জনে।

আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে-কেটে, মামুলী ফাল্‌গুনে।
আমার কী এসে যাবে

হেলাল হাফিজ অত‍্যন্ত শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় কবি। লিখেছেন কম। প্রেম করেছেন জীবনভর। আলস‍্যে কাটিয়ছেন। সংসার করেননি কখনো। আজ নিঃসঙ্গ অবস্থায় চিরতরে বিদায় নিলেন দ্রোহ ও প্রেমের কবি খ্যাত কবি হেলাল হাফিজ (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।

  • বিদায় হে চিরকুমার কবি।