Home Blog Page 11

সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ বন্ধু গ্রেপ্তার

0

টাইম ডেস্ক:
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ২টায় সোনাইমুড়ী উপজেলার নদোনা ইউনিয়নে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি শটগান এবং ১৫ রাউন্ড এ্যামোনিশান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার নদোনা ইউনিয়নের শাকতলা বাজার এলাকার সাইমুন (২০), তুহিন (২০) এবং রায়হান (২০)। তারা তিন বন্ধু।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা সেদিন থানা থেকে এসব আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। সোমবার রাত ২টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন অর্ণবের নেতৃত্বে একটি টিম নদোনা ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় দুর্বৃত্তকারীরা হামলা চালিয়ে পুরো থানা পুড়িয়ে দেয়। তখন থানা থেকে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অধিকাংশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ খুঁজে পাওয়া গেলেও এখনো কিছু কিছু পাওয়া যায়নি। সাইমুনের বাসায় পাওয়া এই অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সেই ৫ আগস্টে লুট করা থানার অস্ত্র।
নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করেছে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাদের সোনাইমুড়ী থানায় দেওয়া হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম!গণপরিষদ নির্বাচন!গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও আহতদের চিকিৎসার দাবি!

0

টাইম ডেস্ক:
সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ জারি করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবিও জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এ দিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা নানান স্লোগান দেন। জুলাই বিপ্লবের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত করা হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যদি আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তি, আমাদের রক্তের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে আগত প্রক্লেমেশনে না পাই, তাহলে আমরা বসে থাকব না। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন, যদি তা না পারেন তাহলে জুলাইয়ের বাঘের বাচ্চারা আইন হাতে তুলে নেবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুনি হাসিনার আর এই দেশে পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক শক্তিকে নির্যাতন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। সরকারকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। আমরা এখনো ১৬ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারি নাই। এত দিন আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। ১৫ জানুয়ারি মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, সংগ্রাম জারি থাকবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনো খুনিরা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। এদের বিচার হতে হবে। গোপালগঞ্জে কীভাবে এখনো আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়। পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারলে ওই চেয়ারে বসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এত মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে সেই রক্তের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করে তাদের সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।’

শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণপরিষদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রক্লেমেশন চায়, নতুন সংবিধান চায়, সংস্কার চায়। নতুন সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমরা জনগণের রাষ্ট্র গড়তে পারি নাই।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পরেও জুলাই প্রক্লেমেশনের কোনো উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কিন্তু এই প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কোনো কালক্ষেপণ চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি ন্যায়বিচার হয় নাই।’
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে গত দুদিন ধরে নানা আলোচনা চলেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানান তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে গতকাল সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত আল মাহমুদ, রিফাত রশীদ, মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নাঈম আবেদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা, শহীদ মুগ্ধর বাবাসহ আরও অনেকে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জনগণের বিজয়ের ঐতিহাসিক সনদ’

0

টাইম ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাওয়া অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগের বিষয়টিকে অভিনন্দন জানিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র হবে জুলাই গণহত্যার বিপরীতে জনগণের বিজয়ের ঐতিহাসিক সনদ ও স্মারক।’
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরাক্রমশালী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতাসহ সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে অভূতপূর্ব জাগরণ ও বিপ্লবী উন্মাদনায় ব্যাপক আত্মদানে গণহত্যাকে মোকাবিলা করে জনগণ যে বিজয় অর্জন করেছে এবং তাতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের যে অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে তা সুসংহত রাখার ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সনদ হিসেবে ঘোষণাপত্রটি জারি করতে হবে। এই ঘোষণাপত্রই হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি আশা করি- গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামত গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এই ঘোষণাপত্র হবে জুলাই গণহত্যার বিপরীতে জনগণের বিজয়ের ঐতিহাসিক সনদ এবং স্মারক।

নোয়াখালীর মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি, শঙ্কায় বাসিন্দারা

0

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
তদারকির অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণকাজ। এ ছাড়া জিও ব্যাগে ভরাট করা বালু, জিও ব্যাগ ডাম্পিং, প্লেসিংসহ বাঁধ রক্ষা কাজের মান নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। বাঁধের কাজের ধীরগতির ফলে বর্ষা মৌসুমে তীব্র ভাঙনের শঙ্কা প্রকাশ করছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, কাজে ধীরগতি থাকলেও নিয়মমাফিক টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের নলের চরে মেঘনা নদীর বাঁ তীরে দীর্ঘ ২০ বছরের অব্যাহত ভাঙনে প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতিনিয়ত ভাঙনের কবলে পড়ছেন নদী-তীরবর্তী বাসিন্দারা। এতে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ভাঙনের মুখে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষ হারাচ্ছেন তাদের ভিটেমাটি।
ভাঙন ঠেকাতে ও নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে নানা সময়ে আন্দোলন করে আসছিলেন উপকূলীয় এ উপজেলার বাসিন্দারা।

পাউবো নোয়াখালী বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি প্যাকেজে মেঘনা নদীর ৩৭৭ মিটার তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের টেন্ডার দেয় এই বিভাগ। টেন্ডার শেষে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে আশার আলো দেখতে শুরু করেন নদীতীরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চানন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহারাজ হোসেন, মো. সামছুদ্দিন, মো. বাহার উদ্দিন ও মো. জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে কাজের বরাদ্দ পাস হলেও কাজ শেষের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র ছয় মাস। এই সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বর্ষার আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ না করলে ওই মৌসুমে এই বাঁধের নির্মাণকাজ করা যাবে না। ফলে যেটুকু কাজ হবে, তা ফের ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রকল্পের ২২, ২১ ও ১৭ নম্বর প্যাকেজের ঠিকাদার মেসার্স রহমান ইঞ্জিনিয়ার্স যেটুকু কাজ করেছে, তাতে জিও ব্যাগে ৮০+ এফএম বালু ব্যবহারের কথা থাকলেও কমমূল্যের ৬৫ থেকে ৭০ এফএম বালু দিয়ে অদক্ষ শ্রমিকের মাধ্যমে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নদীর যেখান থেকে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কথা সেই গভীরে কোনো জিও ব্যাগ প্লেসিং করা হয়নি। যে কারণে বর্ষা মৌসুমের আগেই জিও ব্যাগের চিকন বালু বেরিয়ে ব্যাগগুলোর প্লেসিং ডিসপ্লেসিং হয়ে যাচ্ছে। এতে টেকসই তীর রক্ষা বাঁধ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
বাঁধ নির্মাণকাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাব রয়েছে দাবি করে স্থানীয় মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজের মান ও সময়মতো কাজ বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আসেন ১৫ থেকে ২০ দিন পর। তাও সরেজমিনে কাজ না দেখেই ঠিকাদারের অফিসে বসে গল্প করে সময় কাটিয়ে চলে যান তারা। এই সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ইঞ্জিনিয়ার্স ৮০+ এফএম বালুর স্থলে মাত্র ৬৫ থেকে ৭০ এফএম চিকন ও ভিজা বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করছে। নিম্নমানের বালু দিয়ে ভরাট করা জিও ব্যাগ নদীতীরে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের পানিতে ব্যাগ থেকে চিকন বালু বের হয়ে ডাম্পিং ডিসপ্লেসিং হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কাজ করলে এই তীর রক্ষা বাঁধ বর্ষার শুরুতেই ভেঙে নদীতে ভেসে যাবে বলেও মনে করছেন নদীতীরের বাসিন্দারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ইঞ্জিনিয়ার্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান কাজের মান সঠিক হচ্ছে দাবি করে বলেন, বালু পরীক্ষার মেশিনারি দিয়ে পরীক্ষা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজ বুঝে নিচ্ছেন। লোকাল মানুষ না বুঝেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
সরেজমিনে প্রকল্পের কাজ পর্যবেক্ষণে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর কার্য সহকারী নুরুল আফসারের সঙ্গে কাজের অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
পরে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, আসলে সরকার পতনের পর ওই এলাকার বিএনপির কিছু লোকজন ঠিকাদারের পেছনে লাগছে। তারা চাচ্ছে সেখানে তারাই বালুগুলো সরবরাহ করবে; কিন্তু যিনি বর্তমানে বালুগুলো সরবরাহ করছেন, তার বালুগুলো ভালো ও মানসম্মত। তাই আমরা এই বালুগুলোই রিসিভ করছি। এতে বালু সরবরাহের অনুমতি না পেয়ে ওই বিএনপি নেতাকর্মীরাই এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
মেঘনা নদীতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণকাজে নিম্নমানের বালু ব্যবহার ও অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী। তিনি বলেন, এবার নোয়াখালীতে ভয়াবহ বন্যার কারণে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে একটু দেরি হওয়ায় এরই মধ্যে ৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নিয়মমাফিক টেকসই বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করা হবে বলে আশা করছি।
উপকূলীয় এলাকার অবশিষ্ট অবকাঠামো রক্ষায় কাজের সঠিক মান বজায় রেখে চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেই টেকসই নদীতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ভিটামাটি হারানো মেঘনাতীরের বাসিন্দারা।

বিয়ে খেতে ঢাকায় এসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর…গ্রেপ্তার

0

টাইম ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান। ঢাকায় এক আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক হন তিনি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে আটক করা হয়।
আটকের খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আদনানকে তাদের হেফাজতে নেন। তবে এ বিষয়ে ডিবি বা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা জানান, আদনান জুলাই মাসে আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার আলামত এবং গুজব ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্দোলনের সময় গুলির ঘটনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে আদনানের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, আবুল হাসনাত আদনান কোমরের ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছেন এবং জুলাই মাসে ঢাকায় অবস্থান করলেও কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। নোয়াখালীতেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ নিয়ে কেন এত অবহেলা!পর্যটকদের দ্বীপে গিয়ে হতে হয় ক্লান্তি আর ভোগান্তি

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :
নিঝুম দ্বীপ নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে অদ্ভুত এক মায়া। সম্ভবত সেই কারণেই ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে জেলার সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা এই দ্বীপ। কয়েক বছর আগে জেলার ব্র্যান্ডিংও (পরিচিতি) করা হয়েছে নিঝুম দ্বীপের নামে। সেই থেকে জেলাকে ‘নিঝুম দ্বীপের দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল, নিঝুম দ্বীপ ঘিরে গ্রহণ করা হবে নানা প্রকল্প, যাতে আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন পর্যটকেরা। আয় বাড়বে সরকারের। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। নিঝুম দ্বীপের কপালে জুটেছে শুধুই অবহেলা। সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা নিঝুম দ্বীপ গেছেন, তাঁদের কাছে মনে হবে দেশের সব চেয়ে অনুন্নত একটি অঞ্চল এটি।

যেখানে যোগাযোগব্যবস্থার প্রায় পুরোটাই ভঙ্গুর। নেই শিক্ষা-চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা। ঘুরতে যাওয়া কেউ যদি হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে হবে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা আরও ৭০ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরের কোনো হাসপাতালে। দ্বীপে নেই তেমন কোনো ভালো যানবাহনও।
পর্যটকদের নিঝুম দ্বীপ গিয়ে ফিরতে হয় রাজ্যের ক্লান্তি আর ভোগান্তি সঙ্গে নিয়ে। তবে নিঝুম দ্বীপের গহিন বন, বনের ভেতর পাখিদের ডাক শুনে এবং দ্বীপের চারপাশের নদী ও সৈকতে ঘুরে বেড়িয়ে যাতায়াতের কষ্ট আর ক্লান্তি ভুলে থাকতে পারবেন। বঙ্গোপসাগরের বুকে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এই চর হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

চর ওসমান, কামলার চর, পালকির চর, চর কবিরা, মৌলভীর চরসহ ছোট বড় ১১টি চর নিয়ে নিঝুম দ্বীপ। পুরো চরের আয়তন প্রায় ১৪ হাজার ৫০ একর। ১৯৪০ সালের দিকে ধীরে ধীরে জেগে ওঠে দ্বীপটি। এরও প্রায় এক দশক পর দ্বীপে মানুষের আসা-যাওয়া শুরু হয়। তবে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দ্বীপের প্রায় সব মানুষ মারা যান। দ্বীপটি হয়ে যায় জনমানবশূন্য। নিঝুম দ্বীপে পর্যটন করপোরেশনের নেওয়া অসমাপ্ত প্রকল্প নিঝুম দ্বীপে পর্যটন করপোরেশনের নেওয়া অসমাপ্তপরবর্তী সময়ে আবার মানুষের যাতায়াত শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। ক্রমে তা বাড়তে থাকে। তখন দ্বীপটি ছিল হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড।

২০০১ সালের ৮ এপ্রিল দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। আর ২০১৩ সালে হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে আলাদা করে নিঝুম দ্বীপকে করা হয় স্বতন্ত্র একটি ইউনিয়ন। দ্বীপের নাম অনুসারেই ইউনিয়নের নামকরণ হয়। এই ইউনিয়নের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৩০ হাজার। বেশির ভাগ মানুষের জীবিকা মাছ ধরা। নিঝুম দ্বীপ বেড়াতে গিয়ে মূল দ্বীপের দক্ষিণে পালকির চরের বিশাল সৈকত দেখার পাশাপাশি উঠতি ঝাউবাগানে ঘুরে বেড়াতে পারেন। বনের গহিনে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিও বেশ চমৎকার। বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চর কবিরার কাছে চৌধুরীর খাল দিয়ে হাঁটলে হরিণের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিঝুম দ্বীপ দেখতে যাওয়া পর্যটকেরা দ্বীপে বন বিভাগের বাংলোর আশপাশে ঘুরে বেড়ানো একমাত্র হরিণ ছাড়া তেমন হরিণ দেখেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া ট্রলার ভাড়া করে দ্বীপের ভেতরের খালগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ১৪-১৫ জনের জন্য ট্রলারের ভাড়া পাওয়া যাবে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে।

নিঝুম দ্বীপের চর কবিরায় পড়ন্ত বিকেলে হাজারো মহিষের পাল দেখে অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করে। নিঝুম দ্বীপ বেড়াতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় শীতকাল; অর্থাৎ নভেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। এই সময়ের আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নদী থাকে অনেক শান্ত। নৌ যাতায়াতও অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিমুক্ত। এই সময়ে দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করা সহজ হয়। তবে বছরের অন্যান্য সময়, বিশেষ করে বর্ষাকালে, মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠে, যা দ্বীপে যাত্রাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। ঢাকা থেকে বাসে চড়ে নিঝুম দ্বীপ যেতে চাইলে প্রথমে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীগামী বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির চেয়ারকোচে চড়ে নোয়াখালীর সোনাপুর যেতে হবে। বাসের ভাড়া পড়বে ৫শ থেকে ৫৫০ টাকা। এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের চেয়ার কোচ পাওয়া যায়। বাসযোগে সোনাপুর যাওয়ার পর সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে চেয়ারম্যানঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে চড়ে যেতে হবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে।

চেয়ারম্যানঘাট থেকে প্রতিদিন সি-ট্রাক ছাড়ে সকাল সাড়ে আটটায়। নলচিরা ঘাট থেকে অটোরিকশাযোগে হাতিয়ার ওছখালী হয়ে জাহাজমারা ইউনিয়নের মোস্তারিয়ারঘাট হয়ে নদীপথে নিঝুম দ্বীপ। চেয়ারম্যানঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার পথে চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা ঘাটে চলাচলকারী সি-ট্রাকে যাতায়াত সবচেয়ে নিরাপদ। ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। সি-ট্রাকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত ভাড়া জনপ্রতি ১৪৫ টাকা। ট্রলারে ২শ টাকা আর স্পিডবোটে ৩৫০ টাকা। নলচিরা ঘাটে নেমে মোটরসাইকেল ভাড়া করে মোক্তারিয়া ঘাটে যেতে হবে। দুজনের জন্য ভাড়া ৪শ থেকে ৪৫০ টাকা লাগবে। তবে নলচিরা ঘাট থেকে অটোরিকশা ভাড়া করেও মোক্তারিয়ারঘাট যাওয়া যায়। মোক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলারে করে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে পৌঁছাতে ৩০ টাকা ভাড়া লাগে। সেখান থেকে পুনরায় মোটরসাইকেলে চড়ে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার। ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা। ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায়টি হচ্ছে লঞ্চভ্রমণ। সদরঘাট থেকে প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে একটিমাত্র লঞ্চ হাতিয়ায় তমুরদ্দী ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

লঞ্চটি তমরুদ্দি ঘাটে পৌঁছায় পরদিন সকাল সাতটার মধ্যে। জোয়ার-ভাটার তারতম্যের কারণে কোনো কোনো সময় পৌঁছাতে খানিক দেরি হয়। তমরুদ্দি ঘাট থেকে ঢাকায় ফিরতি লঞ্চ ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায়। লঞ্চের ডেকে, সিঙ্গেল কেবিন ও ডাবল কেবিন এবং ভিআইপি কেবিন ভাড়া পাওয়া যায়। ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ৫শ টাকা। আর সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ২শ টাকা। ডাবল কেবিন ২ হাজার ২শ টাকা এবং ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। এরপর তমরুদ্দি ঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে নিঝুম দ্বীপ যেতে পারবেন। মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশাযোগে মোক্তারিয়ারঘাট হয়ে যেতে পারবেন। নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ও নামার বাজার সৈকতের কাছেই কয়েকটি হোটেল-রিসোর্ট আছে। এগুলোতে জনপ্রতি ১ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচে বিভিন্ন ধরনের কক্ষ পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য রিসোর্টগুলো হলো নামার বাজার সোহেল রিসোর্ট, নিঝুম রিসোর্ট, হোটেল শাহিন, হোটেল সোহেল, নামার বাজার মসজিদ বোর্ডিং, নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড রিসোর্ট, বন্দরটিলা হোটেল দ্বীপ সম্পদ, জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, বন বিভাগের ডাক বাংলো, মাহমুদ বোর্ডিং, হোটেল আমেনা ইন্টারন্যাশনাল। খাবারের জন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে, যেখানে ইলিশসহ নদীর বিভিন্ন মাছের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চালের ভাত, মাছ, মুরগি, ডিম ইত্যাদি খাবার পাওয়া যায়। নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে দ্বীপের ভেতরে যাতায়াতব্যবস্থা বেশ নাজুক। দ্বীপের একমাত্র পাকা সড়কটি জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে অনেক স্থানে।

বছরের পর বছর ধরে ভাঙা সড়কটি সংস্কার হয়নি। দ্বীপের বন্দরটিলা এলাকার নদীর ঘাট থেকে নামার বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগই ভাঙা। সড়কের একাধিক স্থানে কালভার্ট ভেঙে গেছে জোয়ারের তোড়ে। সেখানে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে কোনোরকমে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে। একইভাবে জনবসতির প্রায় ৫০ বছরেও দ্বীপটিতে মানসম্মত কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। তাই এখানকার বাসিন্দাদের কাছে ‘বড় ডাক্তার’ হলেন গ্রামের পল্লিচিকিৎসক কিংবা ওষুধের দোকানিরা। স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবদিন বলেন, শুধু সড়কই নয়, এখানে নেই ভালো কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র। দ্বীপে ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে থাকলেও নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখা মেলে মাঝেমধ্যে। আসলেই কি হরিণ দেখা যায়? নিঝুম দ্বীপ বেড়াতে যান, এমন মানুষদের বেশি আগ্রহ থাকে বনের ভেতর কাছ থেকে হরিণের পাল দেখার। কয়েক বছরে নিঝুম দ্বীপের বনে ঘুরতে গিয়ে হরিণের দেখা খুব একটা মেলেনি। তবে একটি হরিণ সবাই কমবেশি দেখেছেন এটা বলা যায়। সেই হরিণ বেশির ভাগ সময়ই থাকে বন বিভাগের বাংলোর আশপাশে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, হরিণটি বাচ্চা অবস্থা থেকে কার্যালয়ের আশপাশে থাকে। তাঁরাই হরিণটি দেখাশোনা করে বড় করেছেন। যাঁরা বেড়াতে আসেন, তাঁরাও হরিণটিকে নানা খাবার দেন। সেটি বনে যায় না।

সারাক্ষণ নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ করতে যাওয়া স্কুলশিক্ষক নূর হোসেন বলেন, নিঝুম দ্বীপকে জেলার ব্র্যান্ডিং করার পর ভেবেছিলেন, সেখানে সরকারি উদ্যোগে অনেক কিছু করা হয়েছে। নভেম্বর মাসে বেড়াতে গিয়ে তিনি হতাশ হয়েছেন। বনে হরিণের দেখা পাননি। যাতায়াতে সীমাহীন ভোগান্তিই ছিল নিত্যসঙ্গী। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নিঝুম দ্বীপকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প দুটির কাজ করা যায়নি। এর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া জোয়ারের আঘাতে দ্বীপের পাকা সড়কের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো তিনি সম্প্রতি দেখে এসেছেন। বিভাগীয় কমিশনারও নিঝুম দ্বীপ ঘুরে গেছেন এর মধ্যে। দ্বীপের সড়ক, চিকিৎসাব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শিগগিরই দ্বীপের সমস্যা সমাধানের কাজ শুরু হবে।

নোবিপ্রবি সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল’র উপস্থিতিতে

নোবিপ্রবির পক্ষে বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিকুর রহমান ভূঞা ও ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন এডুকেশন এর ভাইস ডীন অধ্যাপক ড. এবিজে প্রাকেন চুক্তিতে এ স্বাক্ষর করেন।

বসুরহাট পৌর বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও ৭১লক্ষ টাকা রাজস্ব বাজেট ঘোষণা

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সুনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বসুরহাট পৌরবহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্ঝর কনভেনশন হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি সুলতান নাছির উদ্দীন মুন্না।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি। তিনি বিগত ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, বাৎসরিক রিপোর্ট, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন, ২৩-২৪ অর্থ বৎসরের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট এবং ২০২৪– ২০২৫অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন। 

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক শিক্ষিক সমিতির সভাপতি, আমির হেসেন বিএসসি, সমিতির সাবেক সভপতি মো: শাহব উদ্দীন, উপজেলা যুবদল আহবায়ক ফজলুল করিম ফয়সল,সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান রাজন সমিতির সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন ও পরিচালক বৃন্দ।

সমিতির পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম’র সঞ্চালনায় সম্পূরক বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখেন সদস্য এ্যাড : নির্মল চন্দ্র দাস, শাহাদাৎ হোসেন,ওমর ফারুক,গোলাম ছারওয়ার, একরাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তব্য শেষে ২০২৪-২৫অর্থ  বছরে ৮কোটি ২০ লক্ষ টাকা মূলধন বাজেট ও ৭১লক্ষ টাকা রাজস্ব বাজেট পেশ করা হলে উপস্থিত সকল সদস্যদের কণ্ঠ ভোটে অনুমোদন দেয়া হয়। শেষে ২৩-২৪ অর্থ বছরের সর্বোচ্চ শেয়ার ক্রয় ও সঞ্চয় জমার উপর ৪শ’জন  সম্মাননা পুরস্কার প্রদান এবং ৫০জন উপস্থিত র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।অপর দিকে উপস্থিত ৪শ’জন সদস্যদের মাঝে উপস্থিতি ভাতা ৭শ টাকা করে ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।এছাড়াও ২৩ – ২০২৪অর্থ বছরে অর্জিত লভ্যাংশ শেয়ারের উপর ৯ শতাংশ,  সঞ্চয় আমানত এর ওপর ৮ শতাংশ টাকা বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জে নাগরিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে নাগরিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দু’শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফাউন্ডেশনের সদস্য আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) তানভীর ফরহাদ শামীম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সফি উল্যাহ কাজল, ব্যাংকার আবু তৈয়ব , মোফাজ্জল হোসেন সোহাগ, নিজাম উদ্দিন সুমন, সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, আবদুল্লাহ নয়ন, খালেদ সাইফুল্লাহ বাদশাহ,ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য আমান উল্যাহ তানভীর, মহি উদ্দিন খাঁনসাব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য জহিরুল ইসলাম স্বপন, আল জাবেদ, সৌরভ হোসেন, মোহাম্মদ রায়হান, আহমেদ রুবেল,লুৎফুর রহমান শাহীন,ইয়াসিন আরাফাত নোবেল, সুজন, সৈকত, সৈয়দ আবির প্রমূখ।

প্রবাসীদের আর্থিক অনুদানে সদ্য গঠিত নাগরিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন শীতবস্ত্র বিতরণ ছাড়াও ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন, গৃহ নির্মাণ, পানি বিশুদ্ধকরণ, নলকূপ স্থাপন, অসহায়দের শিক্ষা ওবিবাহ,চিকিৎসা,বৃক্ষরোপনসহ নানা সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনত সার্বভৌমত্বের দিকে আড়চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলার জামায়াত নেতার হুমকি

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মসলিসে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলবো। আধিপত্যবাদি ভারতের আশ-পাশের দেশগুলোর কোনটির সাথে তাদের সু-সম্পর্ক নেই। তাদের পাশে চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সাথেও সু-সম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তি ছোট দেশ মালদ্বীপও তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের আধিপত্যবাদি নীতির কারণে।
তিনি শুক্রবার(২০ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ ঘটিকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে সিরাজপুর পিএল একাডেমী মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জামায়াত নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জুডিশিয়াল কিলিং করে এবং কারাগারে নির্যাতনে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করা যাবে, কিন্তু তা হয়নি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান দুই বার, শেখ মুজিব এক বার এবং সর্বশেষ তার কন্যা শেখ হাসিনা গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। এখন আইয়ুবও নেই, শেখ মুজিবও নেই। ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ৩দিনের মাথায় ৫আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বঙ্গ ভবনে, আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছে।

সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. ইকবাল হোসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাওলানা মহি উদ্দিন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম ফয়সল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী, এডভোকেট শংকর ভৌমিক, শহীদ আবদুর নুর রাসেলের পিতা সফি উল্যাহ প্রমূখ। সম্মেলনে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে নির্যাতিতদের নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার।
তিনি আরও বলেন, চট করে নাকি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে, এমন কথা শুনেছিলাম। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ২হাজার ছাত্র-জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে। শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী- হেমলেট বাহিনী ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবী উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সাথে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সাথে আলোচনা করবে? শহীদ পরিবারের মা-বাবাদের সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাহাব উদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবী উঠলেও আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে কথা বলে, সংবিধান বৈধ থাকলে এ সরকার বৈধ থাকে না। এখন তো সংবিধানই নেই, তোমরা কোন সংবিধানের কথা বলছো।