Home Blog Page 14

মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন নোয়াখালীর বজরা শাহী মসজিদ

0

এএইচএম মান্নান মুন্না:: মুসলিম সভ্যতার এক অনন্য নিদর্শন নোয়াখালীর ‘বজরা শাহী মসজিদ’। প্রায় ৩০০ বছর আগের এ মসজিদের নির্মাণশৈলী এখনো বিমোহিত করে চলেছে। নোয়াখালীসহ সমগ্র বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে রয়েছে এর ঐতিহাসিক অবদান।

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা নামক স্থানে প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বিখ্যাত এই বজরা শাহী জামে মসজিদটি অবস্থিত।

জানা যায়, দিল্লীর মোগল সম্রাটরা অবিভক্ত ভারতবর্ষে ৩০০ বছরের অধিককাল রাজত্ব করেন। দীর্ঘ এই সময়কালে মোগল সম্রাট এবং তাদের উচ্চপদস্থ আমলারা বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ইমারত ও মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও স্থাপত্য শিল্পের বিরল ও উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে বিরাজমান।

এগুলোর মধ্যে আগ্রার তাজমহল, সেকেন্দ্রা, দেওয়ানে আম, আগ্রার দুর্গ, দিল্লীর লাল কেল্লা ও দিল্লির শাহী জামে মসজিদ অন্যতম। দিল্লীর বিখ্যাত জামে মসজিদের অনুকরণে মোগল জমিদার আমান উল্লাহ খান ১১৫৪ হিজরি, ১১৩৯ বাংলা মোতাবেক ১৭৪১ সালে অর্থাৎ প্রায় তিনশ বছর আগে বজরা শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও মোগল স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।

জমিদার আমান উল্যাহ তার বাড়ির সম্মুখে ৩০ একর জমির ওপর উঁচু পাড়যুক্ত একটি বিশাল দীঘি খনন করেন। এ দিঘীর পশ্চিম পাড়ে মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় তোরণ বিশিষ্ট প্রায় ১১৬ ফুট দৈর্ঘ্য, ৭৪ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ২০ ফুট উঁচু তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মাণ করেন। এ মসজিদকে মজবুত করার জন্য মাটির প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ভীত তৈরি করা হয়। সুদৃশ্য মার্বেল পাথর দ্বারা গম্বুজগুলো সুশোভিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি ধনুকাকৃতি দরজা। মসজিদের প্রবেশপথের ওপর রয়েছে কয়েকটি গম্বুজ। কেবলা দেওয়ালে তিনটি কারুকার্য খচিত মিহরাব রয়েছে।

মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরীফের বাসিন্দা তৎকালীন অন্যতম বুজুর্গ আলেম হজরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দিকী এ ঐতিহাসিক মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োজিত হন। তার বংশধররা যোগ্যতা অনুসারে আজও এ মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে প্রথম ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হাসান সিদ্দিকী উক

এগুলোর মধ্যে আগ্রার তাজমহল, সেকেন্দ্রা, দেওয়ানে আম, আগ্রার দুর্গ, দিল্লীর লাল কেল্লা ও দিল্লির শাহী জামে মসজিদ অন্যতম। দিল্লীর বিখ্যাত জামে মসজিদের অনুকরণে মোগল জমিদার আমান উল্লাহ খান ১১৫৪ হিজরি, ১১৩৯ বাংলা মোতাবেক ১৭৪১ সালে অর্থাৎ প্রায় তিনশ বছর আগে বজরা শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও মোগল স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।

জমিদার আমান উল্যাহ তার বাড়ির সম্মুখে ৩০ একর জমির ওপর উঁচু পাড়যুক্ত একটি বিশাল দীঘি খনন করেন। এ দিঘীর পশ্চিম পাড়ে মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় তোরণ বিশিষ্ট প্রায় ১১৬ ফুট দৈর্ঘ্য, ৭৪ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ২০ ফুট উঁচু তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মাণ করেন। এ মসজিদকে মজবুত করার জন্য মাটির প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ভীত তৈরি করা হয়। সুদৃশ্য মার্বেল পাথর দ্বারা গম্বুজগুলো সুশোভিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি ধনুকাকৃতি দরজা। মসজিদের প্রবেশপথের ওপর রয়েছে কয়েকটি গম্বুজ। কেবলা দেওয়ালে তিনটি কারুকার্য খচিত মিহরাব রয়েছে।

মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরীফের বাসিন্দা তৎকালীন অন্যতম বুজুর্গ আলেম হজরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দিকী এ ঐতিহাসিক মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োজিত হন। তার বংশধররা যোগ্যতা অনুসারে আজও এ মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে প্রথম ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হাসান সিদ্দিকী উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করেমসজিদের পাঞ্জেগানা ইমাম হাসান সিদ্দিকী বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায় মোগল সম্রাট আকবরের বংশধর মিয়াম্বর শাহ দিল্লীর শাহী পরিবার থেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নৌপথে অনেক অঞ্চল ঘুরে অবশেষে বর্তমান বজরা গ্রামে এসে পৌঁছান বজরী নামের বড় নৌকা নিয়ে। আর এ বজরী নিয়েই অনেক দিন এখানে অবস্থান করেন, পরবর্তীতে এলাকার নাম রাখা হয় বজরা। মোগল বাদশাহ মোহাম্মদ শাহের রাজত্বকালে বজরার জায়গীরদার পারস্য দেশীয় পীর মিয়া আম্বর শাহের নির্দেশে আমানুল্লাহ ও ছানাউল্যা ৩০ একর জমিতে একটি দীঘি খনন করেন। দিঘির পশ্চিমপাড়ে দিল্লির শাহী জামে মসজিদের অনুকরণে ১৭৪১ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ২৬ বছর। বর্তমানে এই মসজিদটি বজরা শাহী মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হলে দিল্লীর শাহেন শাহ বাদশা মোহাম্মদ শাহ মক্কা শরিফের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এর সুযোগ্য বংশধর দিল্লির বাসিন্দা বুজুর্গ আলেমে দ্বীন হজরতুল আল্লামা শাহ সুফী হজরত মাওলানা মোহাম্মদ আবু ছিদ্দিকী সাহেবকে ইমাম ও খতিব এবং হজরত আল্লামা মীর সৈয়দ ইমাম উদ্দিন সাহেবকে মুয়াজ্জিন পদে নিয়োগ দিয়ে বজরা পাঠান।

তিনি আরও বলেন, চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা মসজিদটির প্রবেশ করার পথটি পূর্বদিকে। আয়তাকার মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। মসজিদের পূর্বে তিনটি, উত্তরে ও দক্ষিণে একটি করে মোট পাঁচটি দরজা রয়েছে। মসজিদের পূর্বদিকের মধ্যের দরজায় একটি ফারসি ফলকে এর নির্মাণকাল ও নির্মাতার নাম লেখা রয়েছে। মসজিদের ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব অত্যন্ত কারুকার্যময়। মসজিদের চারকোণে চারটি সুন্দর মিনার রয়েছে যা এর সৌন্দর্যকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। বজরা শাহী মসজিদ নির্মাণে মোগল স্থাপত্য রীতি অনুসরণ করা হয়। মসজিদের পূর্বদিকে আছে বিরাট তোরণ। তোরণের দোতলার ওপরে রয়েছে মনোরম উঁচু মিনার। এর সৌন্দর্য ও অলংকরণের জন্য চীন দেশীয় গ্লাস কেটে মসজিদের গায়ে লাগানো হয়।

মসজিদটিতে প্রায় দুই হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন উল্লেখ করে ইমাম হাসান সিদ্দিকী বলেন, মূল মসজিদটিকে ঠিক রেখে পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যার নিচ তলায় মহিলারা এবং দ্বিতীয় তলায় পুরুষরা নামাজ আদায় করেন। মসজিদে এসিসহ আরও কিছু নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এসব কাজ দ্রুত হবে বলে আশা করি। বজরা শাহী মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন খতিব মাওলানা মো. মীর আবুল কাশেম। মুয়াজ্জিনসহ খাদেম রয়েছেন এই মসজিদের জন্য। মসজিদটিতে প্রায় দুই হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (বজরা হাসপাতাল) সম্মুখ থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি সরু হওয়ায় মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্থানীয়ভাবে দুই তলাবিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মহিলারা যেন নামাজ আদায় করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে

কি ভাবে যাবেন
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী অথবা চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে সোনাইমুড়ীগামী যেকোনো লোকাল বাস সার্ভিস, সিএনজি, অটোরিকশায় সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (বজরা হাসপাতাল) সম্মুখে নেমে রিকশা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছানো যাবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে নোয়াখালী সদরে যাওয়ার পথে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (বজরা হাসপাতাল) সম্মুখে নেমে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় করে কয়েক মিনিটে চলে যেতে পারবেন এই ঐতিহাসিক মসজিদে।
 

বেগম রোকেয়া দিবসে কোম্পানীগঞ্জে ৫ জয়িতাকে সম্মাননা

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আমির হোসেন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন শাহীন, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আক্তার হোসাইন প্রমূখ।

শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন, অর্থনেতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী বসুরহাট পৌরসভার সেলিনা আক্তার, সফল জননী নারী হিসেবে মুছাপুরের কহিনুর বেগম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী বসুরহাট পৌরসভার সাজেদা আখতার খানম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় শাহিদা আক্তার ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় জীবন সুলতানা। এই পাঁচ জয়িতাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা ক্রেস ও সনদ দেওয়া হয়েছে।

আর ভারত নয় বাংলাদেশের মাটিতে বসে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা

0

টাইম ভ্রমণ ডেস্ক :: ভারত নয় বাংলাদেশের মাটিতে বসে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার অভূতপূর্ব সৌন্দর্য সবাইকে বিস্মিত করে। শীতে যেন এই পর্বতের সৌন্দর্য দ্বিগুন বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ে হিমালয়ে। তবে এই মুহূর্তে যারা ভারত ভ্রমণ করতে পারছেন না তারা জানলে অবাক হবেন, দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য। এজন্য বেড়িয়ে পড়তে পারেন ঠাকুরগাঁও কিংবা পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে। শুধু পঞ্চগড় নয় ঠাকুরগাঁও থেকেও এর দর্শন মেলে।

কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের অন্যতম এক সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। ৮ হাজার মিটারেরও (২৬ হাজার ফুট) অধিক উচ্চতা এই পর্বতের। ৫টি পর্বতচূড়ার কারণে একে ‘তুষারের ৫টি ঐশ্বৰ্য’ বলা হয়। সর্বোচ্চ উচ্চতার এই দৈত্যাকার পর্বতের দেখা পেতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় জমান সেখানে।

ভারতের সিকিম ও নেপালের সীমান্তাঞ্চলে অবস্থিত এ পর্বতের চূড়া অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা যায়। খুব ভোরে অর্থাৎ সাড়ে ৬-৭টার মধ্যেই দৃশ্যমান হয় কাঞ্চনঝঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। প্রতিবছরই শীত এলে হিমালয়ের এই পর্বতশৃঙ্গের দেখা মেলে। তবে প্রতিদিনই যে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবে তা কিন্তু নয়।

দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা :
স্থানীয়দের মতে, সকাল সাড়ে ৬-৭টার মধ্যে এর দেখা মেলে। সকাল ১০টা পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই দেখা যায়। তারপর ধীরে ধীরে ঝাপসা হয় পর্বতের দৃশ্য। আবার শেষ বিকেলে যখন সূর্যকিরণ তির্যক হয়ে পড়ে বরফের পাহাড়ে তখন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

বিচ্ছিন্ন দুবলার চরে যা দেখে মুগ্ধ হবেন :
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য অনেক পর্যটকই এ সময় ভিড় জমান ঠাকুরগাঁও জেলায়। তবে আকাশে মেঘ বা কুয়াশা থাকলে অনেক সময় নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয় দর্শনার্থীদের। কেবল মেঘও ও কুয়াশামুক্ত আকাশ থাকলেই দেখা দেয় কাঞ্চনঝঙ্ঘা।

কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও যা যা দেখবেন পঞ্চগড়ে :
কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও পঞ্চগড়ে আরও দেখতে পাবেন সবুজের নৈসর্গ সমতল ভূমির চা বাগান। সীমান্ত নদী মহানন্দার পাড়ে বসে সূর্যাস্ত দর্শন, মোঘল আমলের স্থাপত্য মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, গোলকধাম মন্দির, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট।
এছাড়া দেশের একমাত্র পাথর সমৃদ্ধ পাথরের জাদুঘর রকস ‘রকস্ মিউজিয়াম’, জেমকন গ্রুপের কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেটের আনন্দ ধারা, শিশুপার্কেও ঘুরে আসতে পারেন। মএকই সঙ্গে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন ভিতরগড় দুর্গনগরী ও ১৫০০ বছরের পুরাতন সুবিশাল মহারাজার দীঘি, ভূগর্ভস্থ ও নদী থেকে পাথর উত্তোলন দেখলে পর্যটকদের চোখ জুড়িয়ে যাবে।

কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন?
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় বা তেঁতুলিয়া অথবা বাংলাবান্ধায় যেতে পারেন দূরপাল্লার কোচে। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা বা দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে যেতে পারেন পঞ্চগড়। এরপর পঞ্চগড় থেকে বাস, মাইক্রোবাস, কার বা যে কোনো যানবাহনেই পৌঁছাতে পারবেন তেঁতুলিয়া উপজেলায়।

বেগমগঞ্জে ৫১ পরিবারে টিউবওয়েল দিলো আন নূর ফাউন্ডেশন

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে অগভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) প্রদান করেছে আন নূর ফাউন্ডেশন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রামে এসব নলকূপ বিতরণ করা হয়। এসময় পরিবারগুলোর জন্য খাবারও দেওয়া হয়।
আন নূর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ তাজুল ইসলাম মাদানী বলেন, এবারের বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোয়াখালী। এখানকার অসংখ্য টিউবওয়েল বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ পরিবারের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে পেয়ে আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, যতদিন বাঁচবো গরীব-দু;খী অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। আমাদের সামনের প্রকল্প অসহায়দের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া। এ জন্য আমাদের টিম কাজ করছে। অচিরেই আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেব, ইনশাআল্লাহ।
নলকূপ বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, আন নূর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি কেএম শফিউল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মুফতি সুলতান মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়াহিদুর রহমান, মীর আলীপুর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মুফতি শিব্বির আহম্মেদসহ সংগঠনের অনান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে নোয়াখালীর ভয়াবহ বন্যায় এ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের মাঝে ৪০ লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী ও ঔষধ বিতরণ করা হয়। এছাড়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, লক্ষ্মীপুর ও সিলেট জেলায়ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করে সংগঠনটি।

হাতিয়ায় সূর্যমুখী খাল এখন হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে

0

হাতিয়া সংবাদদাতা :
এক সময়ের চিরযৌবনা,খরস্রোতা ও ব্যস্ততম সূর্যমুখী খাল এখন যৌবন হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে। যেখানে বছরের অধিকাংশ সময়ই পানিতে ভরপুর থাকতো খালটি। মাল বোঝাই বড় বড় ট্রলার, নৌকা ও বলগেট চলত যে খালে। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত ব্রিজ, দুই তীর দখল করে বসতি স্থাপন, দোকানঘর নির্মাণ ও পলিমাটি জমে ভরাট হওয়াসহ নানা কারণে এখন তা মৃতপ্রায়। এর মধ্যভাগের সাথে যুক্ত মার্টিন খালটিও একই কারণে প্রাণহীন প্রায়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করা সূর্যমুখী খালটি বিশ বাইশ বছর আগেও ছিল খুবই ব্যস্ততম। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নৌ-যাতায়াতের এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এটি। সূর্যমুখী খালের দুই পাশে ছিল প্রাণের উচ্ছ্বাস। কালের পরিক্রমায় প্রবল সেই স্রোতস্বিনী খালটি সময়ের সাথে এখন প্রাণ হারাতে বসেছে। শীত মৌসুমে প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়ে খালটি।

সুপ্রাচীন সূর্যমুখী খাল তীরবর্তী তেমাতা, চৌমুহনী, কাজীর বাজার, সূর্যমুখী ও চরচেঙ্গা ঘাটে গড়ে উঠা সেই ব্যবসা-বাণিজ্য এখন আর চোখে পড়ে না। সে সময়কার পেশাজীবিরা তাদের পেশা পরিবর্তন করে বাধ্য হয়েছে নানান পেশায় যুক্ত হতে।এদিকে সূর্যমুখী খাল ও এর মধ্যভাগের সাথে যুক্ত মার্টিন খালটি খননের তথ্য সূত্র খুঁজে এবং হাতিয়ার ভূচিত্র সম্পর্কে জ্ঞাতব্য মোঃ গোলম ফারুক ও আবুল হাসেম সহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে-

১৯৪০এর দিকে বুড়িরচর এলাকার প্রয়াত মোবারক আলী সারেং বৃটিশ কর্মকর্তা তথা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার জনৈক মার্টিন’কে এতদ্ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার চিত্র দেখাতে আনেন। সরেজমিনে এসে তিনি জলজটে কৃষি ও মানুষের দুর্দশা দেখে নিজ উদ্যোগে খাল খনন শুরু করেন। তাঁর নামানুসারে সন্দ্বীয়া ফাঁড়ি( উপজেলার ছৈয়দিয়া) থেকে দক্ষিণে মার্টিন স্লুইস হয়ে নদী পর্যন্ত খালটিকে বলা হয় মার্টিন খাল। যা ১৯৬৫-৭০ সালের জরিপে বুড়িরচর মৌজায় দিয়ারা রেকর্ড পায়।

একই সমসাময়িক-এ খনন হয় সন্দ্বীয়া ফাঁড়ি থেকে আফাজিয়া বাজার পর্যন্ত খালটিও। যা নয়নজলি/ কাটাখালি-বাঁধের গোড়া খাল নামে পরিচিত। এটি প্রথমে ১৯২২ সালে ডিএস জরিপ এবং পরে পিএস ১৯৩৫ সালের জরিপে চরঈশ্বররায় মৌজায় রেকর্ড পায়।এই মার্টিন ও নয়নজলি/ কাটাখালি-বাঁধের গোড়া খাল সংশ্লিষ্ট প্রধান সড়কটি তখন ডিসি(জেলা পরিষদের) রোড নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় আসে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রাচীন জলধারা সূর্যমুখী ও নয়নজলি/কাটাখালি-বাঁধের গোড়া খাল ছাড়াও সাগুরিয়ার দোনা, কাটাখালি, বুড়ির দোনা, বগুলার দোনা,চরলটিয়া খালসহ গ্রামীন প্রবাহমান প্রায় খাল এখন দখলবাজদের কবলে। লোকজন তাদের জমিজমা কিংবা বাড়ীর সামনে ইচ্ছেমতো সরু পোল, বক্স-কালবার্ট তৈরি ও দোকানঘর নির্মাণ করে একদিকে যেমন জলধারা সংকুচিত করে দিচ্ছে অপরদিকে পলিমাটি জমে

বাকিটা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওছখালী, খাসের হাট এলাকা,চৌমুহনী, আজিজিয়া ও সাগুরিয়া বাজার এলাকা উল্লেখযোগ্য। এতে কৃষি, মৎস্য সহ সর্বক্ষেত্র ক্রমেই বিপত্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে।ওছখালী এলাকার আবুল হাসেম জানান, সূর্যমুখী খাল হয়ে নৌকা ও ছোট-বড় ছাম্মান নৌকা মালামাল নিয়ে মার্টিন খাল দিয়ে ওছখালী এলাকায় আসতো। প্রধান সড়ক থেকে পূর্ব দিকে এই খালের প্রশস্ততা ছিল ৪০ ফুট। লোকজন এখন খালের উপর ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তুলে সব দখল করে ফেলছে।

সাগুরিয়া এলাকার মোঃ গোলাম ফারুক জানান, এই এলাকার কৃষি উন্নতি এবং মানুষের কল্যাণে এই মার্টিন খাল খনন হয়েছে। কিন্তু নানান কারণে খালটি সংকুচিত হয়ে গেছে।চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন বলেন, একসময় সূর্যমুখী খালের পশ্চিম মুখ দিয়ে মেঘনা হয়ে ঢাকা- চাঁদপুর থেকে মালবাহী ট্রলার ঢুকতো। এবং পূর্বমুখ দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে মেঘনার মোহনা হয়ে বড় বড় মালবাহী ট্রলার ঢুকতো। কিন্তু অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় নৌযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

সূর্যমুখী বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন জানান, হাতিয়ার এই প্রধান খালটিতে পানির চাপ না থাকায় সহজে খালটি পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। একই এলাকার হারুন মাঝি জানান, ট্রলার চলাচলে এই খাল একসময় খুব রমরমা ছিল। এখন সব অতীত হয়ে গেছে।সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন তেমাতা এলাকার দিনমজুর আব্দুল বাতেন বলেন, খালের উপর এই ব্রিজটি খুব নিচু হয়ে গেছে, যার কারণে ছোট চমন নৌকাও পার হতে পারে না।

এসব ব্যক্তিরা জানান, সূর্যমুখী খালের উপর অপরিকল্পিত ব্রীজ অপসারণ, মার্টিন খালসহ অন্যান্য খালের উপর নির্মিত বাড়িঘর, দোকানপাট এবং ছোট ছোট পোল, বক্সকালবার্ট উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিকল্পিত নির্দেশনামাপিক এসব গঠিত হলে মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। একই সাথে সময়ে সময়ে খালসমূহের সংস্কার ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নাব্যতা ফেরানো সহজ বলে মনে করেন তারা। এক্ষেত্রে জনমানুষের সচেতনতা এবং আন্তরিক মনোভাবেরও বেশি প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

সুপ্রাচীন সূর্যমুখী খালটির নাব্যতা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হালিম সালেহীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, একসময়ের খরস্রোতা সূর্যমুখী খালের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। খালটি ড্রেজিং এবং অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত ব্রিজ- বসতি অপসারণে আমাদের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মার্টিন ও নয়নজলি/ কাটাখালি-বাঁধের গোড়া খালটি দখলবাজদের কবল থেকে উদ্ধার সংক্রান্তে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান স্থানীয় প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার( ৭ ডিসেম্বর)  সকালে বসুরহাট ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমাজের সদস্যরা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কোম্পানীগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হারুনুর রশিদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার। তিনি বলেন, “শিক্ষকরা জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা সমাজকে আলোকিত করবে।” বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও

বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন। তিনি শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার মান উন্নয়নে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।” অন্যদিকে, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় তাঁর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম এবং বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এ বি এম হেলাল উদ্দিন এ আয়োজন শিক্ষকদের মধ্যে একতা এবং সহযোগিতার মনোভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নোয়াখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৪) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দত্তেরহাট সংলগ্ন আহমদিয়া স্কুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. দেলোয়ার হোসেন জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের বাতেন মাস্টারের বাড়ির জহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লিফট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নোয়াখালীতে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি,

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে নোয়াখালী মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। ৭ই ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‍্যালী জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা মুক্ত স্কয়ার মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। বিজয়ের র‍্যালী
শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্মরণমূলক আলোচনা ও পুষ্পস্তক অর্পণ করা হয়।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণমূলক আলোচনায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির চেতনা, যুদ্ধ বাঙালির অধিকার। যা আমাদের কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই বাঙালি জাতির পরিচয়, বাঙালির ঐতিহ্য শিল্প সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত থাকবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ- সভাপতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল নোয়াখালী। বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল্লা জিন্না সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল নোয়াখালী। কামাক্ষা চন্দ্র দাস- কার্যকারি সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল, জেলা শাখা।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক,বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাইফুল ইসলাম রাসেল

এসময়ে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিদারুল ইসলাম, ফকরুল ইসলাম ইয়াসিন আহ্বায়ক, জেলা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, নাজমুল হোসেন ডালিম, কাজী ফাহাদ-সদস্য সচিব, কবিরা হাট মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, নূরনবী শাহজাহান, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহিম রাব্বি, নাজিম উদ্দীন, মমিনুর রহমান এরশাদ, ফায়সাল আহম্মেদ ভুঁইয়া এবং আলাউদ্দীন সুজন।

নোয়াখালীতে মেঘনা নদীতে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার আরও দুজন নিখোঁজ

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ ছাড়া ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালির চরের প্রয়াত আব্দুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. জুয়েল (২৭)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ২৪ জেলে নিয়ে স্থানীয় রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসাতে যায়। শুক্রবার ভোরে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় ২০ জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ৪ জন থেকে যান। পরে স্থানীয় জেলেরা নৌকার ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন। দেলোয়ার ও ইরান নামে অপর দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নোয়াখালীর হাতিয়া মেঘনা নদীতে ডুবোচরে ভেসে এলো বিশালাকৃতির তিমি

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে বিশালাকৃতির একটি তিমি।৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কাঠালিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে তিমিটি অবমুক্ত করা হয়। এর আগে, একই দিন সকালে উপজেলার চর আতাউরের ডুবোচরে তিমিটি দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। ওই সময় চরে বিশাল তিমি ভেসে আসার খবরে দেখতে ভিড় জমান সাধারণ লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জোয়ারের পানিতে তিমি মাছটি উপজেলার চর আতাউরের ডুবোচরে ভেসে আসে। সকালে স্থানীয় জেলেরা দেখেন কাদা পানিতে প্রায় ৫০ মণ ওজনের তিমি মাছটি আটকে আছে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একদল সদস্য ঘটনাস্থলে আসে। পরে জেলেদের সহযোগিতায় তারা মাছটি উদ্ধার করে মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেয়। বারবার

নদীতে নামিয়ে দেওয়ার পরও এটি পুনরায় তীরের দিকে চলে আসে। পরে মেঘনা নদীর গভীর পানিতে নিয়ে তিমিটি অবমুক্ত করা হয়।কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. সাব্বির আহমেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিমিটি জীবিত অবস্থায় ছিল। তবে লেজের দিকে কিছুটা আহত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে দলছুট হয়ে ছোট নদীতে এসে আটকা পড়ে।