Home Blog Page 15

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

0

টাইম ডেস্ক :

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৮) কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। চন্দনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন নিশ্চিত করেছেন।
চন্দন চট্টগ্রাম বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।
ওসি মো. শাহিন মিয়া বলেন, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। বর্তমানে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ আসলেই তাকে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, ওই হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর জানানো হলে আমরা সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলওয়েস্টেশনে অবস্থান নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের এসি দত্ত রোডের এক বিল্ডিংয়ের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি চন্দন। এ মামলায় পুলিশ আগেই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি চন্দন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।

আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় যা বললেন আসিফ নজরুল

0

টাইমস ডেস্ক :: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট দেন তিন। প্রতিবাদের পাশাপাশি তিনি ভারতের সঙ্গে সমমর্যাদা ও সমানাধিকারভিত্তিক বন্ধুত্ব বাংলাদেশ চায় বলে উল্লেখ করেছেন।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি‘ নামের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারণায় মেতে উঠতো ভারত?’

আইন উপদেষ্টা লেখেন ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।’ নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর, এরজন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।’

‘ভারতে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষন নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।’

বাংলাদেশকে বিজেপি ও বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুমকি

0

টাইম ডেস্ক :
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে চিরতরে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ‘ইউনুস হুঁশিয়ার, একদিনে শুধু কলকাতায় যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই না ঢাকা পড়ে যাবেন আপনি। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।’

পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৭,০০০ ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ভুলে যাবেন না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তার ভবিষ্যৎ ভালো হয় না। ভালো হতে পারে না ভবিষ্যৎ।’

গত প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পণ্য চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবারের জনসভায় শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আজ বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। আজ সকাল ছ’টা থেকে বাণিজ্য বন্ধ আছে। এটা ২৪ ঘণ্টা চলবে। আগামিকাল সকাল ছ’টা পর্যন্ত (এটা চলবে)।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে আমরা পাঁচদিন বন্ধ করব। তারপর ২০২৫ সালে আমরা লাগাতার বন্ধ করে ওরা আলু, পেঁয়াজ কীভাবে খায়, সেটা দেখিয়ে দেব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।’

পেট্রাপোলের জনসভায় মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, যখন শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রতিবাদ চলছিল, সেইসময় আক্রান্তদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে দায়িত্ব ঠেলছেন তিনি।

সূত্র :ইত্তেফাক

নোয়াখালীতে মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ উদ্ধোধন

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

‘দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে নোয়াখালীতে কর্মপ্রত্যাশী যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক অপ্রাতিষ্ঠানিক মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রোববার (১ ডিসেম্বর) নোয়াখালী সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এওজবালিয়া ইউনিয়ন যুব ও জনকল্যাণ সংস্থা’র সহযোগিতায় ‘পশ্চিম এওজবালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ এর হলরুমে ৭ দিন ব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। 

এসময় নোয়াখালী সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদ ফয়সাল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘পশ্চিম এওজবালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ এর প্রধান শিক্ষক আছর উদ্দিন জসিম, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মায়মুনা খানম, নোয়াখালী সদর উপজেলা ‘যুব সংগঠন ফোরাম’ এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহাগ। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘এওজবালিয়া ইউনিয়ন যুব ও জনকল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি আরিফ হোসেন নিলয়, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক, নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রশীদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাহমুদুল হাসান রুবেল, নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোস্তফা কামাল ফরায়েজী, নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন ও কার্যকরি কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান মিশু সহ আরো অনেকে। 

এসময় ইউনিয়নের কর্মপ্রত্যাশী ৩০ জন যুবককে দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক অপ্রাতিষ্ঠানিক মৎস্য চাষ কোর্সের উদ্বোধনী ক্লাস পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি জনাব মানস মন্ডল। এদিকে ইউনিয়ন এর বেকার যুবক-যুবতীদের আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এওজবালিয়া ইউনিয়ন যুব ও জনকল্যাণ সংস্থা’কে সব সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

ভারতের আলু রপ্তানি বন্ধ: সিন্ডিকেটে নোয়াখালীর  বাজার গুলোতে কৃত্রিম সংকট

0

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: দাম বৃদ্ধির অজুহাতে রপ্তানি বন্ধ রাখতে আবারো আলুর স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলে ফের সক্রিয় সিন্ডিকেট। সকালে  নোয়াখালীর বড় বড় বাজারগুলোতে সাধারণ ক্রেতারা আলু কিনতে গিয়ে প্রচুর হিমশিম খাচ্ছেন।

ক্রেতারা বলেন, ‘এক মুঠো ভাত আলু-ডাল দিয়ে খাবো, তাও হয়তো আর ভাগ্যে জুটবে না।’ বাজার দরের এই উঠতি-বাড়তিতে নোয়াখালীর অধিক মধ্যবিত্ত  – নিম্মবিত্ত মানুষ  আগামী দিনগুলোতে কিভাবে চলবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন।

নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরসহ নোয়াখালী পৌর বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুর কাঁচা বাজার, কবিরহাট পৌর শহর কাঁচা বাজার, বসুরহাট পৌর শহর, দাগনভূইয়া পৌর শহর, দুধমাখা বাজার, সেবারহাট বাজার, কানকির হাট, সোনাইমুড়ী কাঁচা বাজার, কুমিল্লা সীমান্তবর্তী চাটখিল-খিলপাড়া বাজার, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া পৌর কাঁচা বাজার, আটকমলিয়া বাজার, আব্দুল্লাহ মিয়ার বাজার, ওয়াপদা বাজার, চরবাটা বাজার, ভূইয়ারহাটসহ জেলার কাঁচা বাজারের সবচেয়ে বড় আড়ৎগুলো ঘুরে একই অবস্থা দেখা গেছে। 

গতকাল রবিবার থেকে কোনো আলু আমদানি হয়নি। তবে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আলু আমদানি না হওয়ায় আমদানিকারকরা যেমন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন। তেমনি সরবরাহ ঘাটতির কারণে দেশের বাজারে আলুর দাম আরো বাড়বে বলে দাবি তাদের।

আলু আমদানিকারক সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আলু আমদানি অব্যাহত রেখেছিলেন আমদানিকারকরা। তবে পশ্চিমবঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গত রবিবার হঠাৎ করেই আলু ও পেঁয়াজের স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা দেন দরবারের পর পশ্চিমবঙ্গের আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি হবে না এমন শর্তে মঙ্গলবার রাত থেকে আবারও স্লট বুকিং শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এতে সোম ও মঙ্গল দুদিন বন্ধের পরে বুধবার থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে অন্য প্রদেশের পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্লট বুকিংকৃত আলু রপ্তানির শর্ত দেয়। এরপর নতুন করে কোন আলুর স্লট বুকিং হবে না বলেও জানিয়েছিল তারা। 

পূর্বের স্লটে আলু রপ্তানি করেছে এর কিছু ট্রাক এখনও ভারতে আটকা রয়েছে। এমনকি পূর্বের স্লটের সেসব আলুর ট্রাক আটকা থাকলেও সেগুলো রপ্তানি করছে না তারা। পূর্বের স্লটের ১৬ ট্রাক আলু ভারতে আটকা পড়ে আছে তারা দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সেখানে দেন দরবার চলছে হয়তোবা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত হলে আবারও আটকে থাকা আলুগুলো দিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি যার কারনে ঢুকবেই বলা যাচ্ছে না। যার কারণে হতাশ। 

তারা আরও বলেন, নতুন করে তারা কোন আলুর স্লট বুকিং যেমন দিবেনা সেই সাথে অন্য প্রদেশের আলু রপ্তানি করতে দিবে না। তারা মাঝে মধ্যেই আলু আটকে রাখছেন যার কারণে গাড়িগুলো সঠিক সময়ে ঢুকতে না পেরে আলুর মান খারাপ হয়ে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে আবার দিলেও আলুর মান খারাপের কারণে কম দামে বিক্রি করতে হওয়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাদের এমন আচরণের কারণে আমরা এলসি করা আলু দেশে আমদানি করতে না পেরে লোকসানের মধ্যে পড়ে গেছি। আমাদের অনেকের এলসি খোলা রয়েছে সেই সাথে অনেক জায়গায় আলু খরিদের জন্য বায়না করা আছে। আবার অনেক আলু কেনাও রয়েছে ভারতে। কিন্তু সেই আলু আমরা দেশে আনতে পারছি না। এসব টাকা পয়সা ভারতীয় রপ্তানিকারক ফেরত দিবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার ৫২টি ট্রাকে ১৬২৭টন আলু আমদানি হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো আলু আমদানি হয়নি। আলু যেহেতু কাঁচাপণ্য আমদানির সাথে সাথে দ্রুত পরিক্ষণ, শুল্কায়ন করে ছাড়করণ দেওয়া হয় যাতে করে আমদানিকারকরা বন্দর থেকে খালাস করে বাজারজাত করতে পারেন। এমনই  প্রত্যাশা করেন।

‘ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে আমরা সেখানে যাব না’

0

টাইমস ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মধ্যকার এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে, ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে চাইলে চবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। একই প্রশ্নে চবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা বলেন, আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিন্ধান্তের কারণে আমরা সেখানে যাইনি। কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে আমরা সেখানে যাব না।

মতবিনিময় সভায় ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, ৫ আগস্টের পরে ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এখনো মাঠে থাকতে হচ্ছে। আইনের শিথিলতার অভাবে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যা, প্রতিবিপ্লব ঠেকানোর দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের উপর এসে পড়ছে। অথচ তাদের এখন রাষ্ট্র গঠনে সভা-সেমিনার এবং সিম্পোজিয়াম করার কথা। সংস্কার প্রক্রিয়া কীভাবে হওয়া উচিত তা দেখানোর কথা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসনের কাজ কি? প্রতিবিপ্লব ঠেকানোর দায়িত্ব পলিসি মেকারদের। কিন্তু তারা যদি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পেছনে অন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তাহলে ভুল করবে। দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়রুল হাসান আরিফ বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির দুটি কনসার্ন৷ একটি হচ্ছে জুলাই গণহত্যার বিচার। আমরা দেখছি জুলাইয়ের বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না। আবার আমরা মবেরও পক্ষে না। আমরা আইনের মাধ্যমে এমনভাবে বিচার করতে চাই যাতে কখনো কেউ বলতে না পারে ক্যাঙারু কোর্টের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হয়েছে। আমাদের আরেকটি কনসার্ন সংবিধান সংস্কার। আপনারা দেখবেন আমাদের সংবিধানের পাওয়ার স্ট্রাকচার এমন, যে কেউ স্বৈরাচার হতে বাধ্য। আমরা এমন সংস্কার চাই যাতে সাংবিধানিকভাবে কেউ নতুন হাসিনা হতে না পারে।

ইসলামি ছাত্র মজলিস চবি শাখার সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমি বলেন, আফসোস হচ্ছে মুখে আমরা ঐক্য এবং সংহতির কথা বলি। কিন্তু আজকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সংহতি সভায় অনেক ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন উপস্থিত নেই। সংহতি কি শুধুই ব্যানারে দেখানোর জন্য? রাজনৈতিক যে প্যারামিটার দিয়ে আমরা ছাত্রলীগকে মাপি তা অন্য সংগঠনের সাথে যায় না। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল অন্য সবার থেকে ভিন্ন। ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র মজলিসসহ অন্যান্য সংগঠনের যে দ্বন্দ্ব ছিল তা অন্য সংগঠনের সাথে থাকতে পারে না। কিন্তু ২৪-এর পরেও যদি আমরা একই দ্বন্দ্ব ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের বা অন্য সংগঠনের মধ্যে দেখি তাহলে তা অপ্রত্যাশিত।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. রোমান রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদলের একটি বড় অবদান ছিল। কিন্তু আজকে ছাত্রদল উপস্থিত নেই- যেটা হতাশাজনক। আমরা সবাই দলের মধ্যে যদি ঐক্য ধরে রাখতে না পারি তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা সবার মধ্যে ঐক্য চায়, বিভেদ নয়।

ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমাদের ছাত্র সংহতি শুধুই এক সপ্তাহের জন্য হওয়া উচিত না। এটা যতদিন পর্যন্ত একটা স্ট্যাবল সরকার আসবে ততদিন থাকা উচিত। কারণ ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকে না। কখনো তারা রিকশাচালক লীগ, কখনো ইসকন লীগ, কখনো সাকিব লীগ হয়ে ফেরত আসবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, কে কতবড় সংগঠন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কে কতটুকু শিক্ষার্থীদের পক্ষে রয়েছে। অনেকে বলছেন জুলাই আন্দোলনে আমরা ছাত্র সংগঠনের অবদান অস্বীকার করছি। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। কখনোই আমরা এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো অবদান অস্বীকার করিনি। আমি মনে করি ছাত্র সংগঠনগুলো পেছনে ছিল বলেই আজকে আমরা সামনে আসতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। একই ভাবে সামনেও ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে খুবই দুঃখ লাগছে- আজকে বৃহৎ একটি ছাত্র সংগঠন এবং অনেকগুলো ক্রিয়াশীল সংগঠন উপস্থিত নেই। আপনাদের রাগ-অভিমান থাকতে পারে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কিন্তু আপনারা যদি না আসেন তাহলে সমাধানের সুযোগ তো তৈরি হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে ২৫ নভেম্বর এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সূত্র কালবেলা

সেনবাগে সাড়ে ৭হাজার কৃষকের মাঝে সার, ধান ও সবজি বীজ বিতরণ

0

নোয়াখালী সংবাদাতা :
নোয়াখালীর সেনবাগে অতি বৃষ্টি, বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৭ হাজার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বরো উপশী ধান বীজ, রাসায়নিক সার, শীত কালীন সবজি বীজ ( হাইব্রিড) ও নগদ অর্থ সহায়তায় বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে সেনবগ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উদ্যোগে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের খরিপ-২ মৌসুমে কৃষকদের পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ওই সার,বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন। এ সময় কৃষি সম্প্রসারশ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনতার হাতে আটক মুন্নি সাহাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবিতে হস্তান্তর

0

টাইমস রিপোর্ট :
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতার হাতে আটক সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে হেফাজত নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাওরানবাজারে একটি ভবনের নিচে মুন্নি সাহাকে দেখতে পেয়ে আটক করে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে যাত্রাবাড়ী থানায় থাকায় একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় মুন্নি সাহাকে গ্রেপ্তার দেখি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারণ মামলাটি তারা তদন্ত করছে। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান ওসি।

এর আগে দশটার দিকে ওসি মোবারক হোসেন জানিয়েছিলেন, জনতা মুন্নি সাহাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তার নামে মামলা আছে কি-না যাচাই-বাছাই করছি।

মুন্নি সাহা একসময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে তার চাকরি যায়। এরপর নিজেই এক টাকার খবর নামে একটি গণমাধ্যম চালু করেন।

সূত্র :ঢাকা টাইমস

বাংলাদেশের মেধবীদের ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ…এবার মুখ খুললেন: তসলিমা নাসরিন

0

টাইম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশিদের ভারতীয় পতাকা পায়ে মাড়ানোর ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে এবার স্বয়ং মুখ খুললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কাদের পক্ষ নিলেন তিনি?

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে, মাটিতে ভারতীয় পতকা, আর পড়ুয়াদের পা দিয়ে মাড়ানোর ছবি ছড়িয়ে পড়তেই, রীতিমতো তুলোধন সব জায়গায়। ভারতের বহু তারকা মুখ খুলেছেন। এবার পোস্ট করলেন স্বয়ং তসলিমা নাসরিন।

তসলিমা ফেসবুকে এই প্রসঙ্গ টেনে লিখেছন, ‘বিশ্বের কোনও পতাকাকে কোনও সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন মানুষ অবমাননা করে না। আমি বিশ্বের প্রতিটি পতাকাকে সম্মান করি, প্রতিটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে আমি উঠে দাঁড়াই। পাকিস্তান যে এত আমাদের শত্রু দেশ, আমি পাকিস্তানের পতাকাকেও পোড়াবো না, পায়ে মাড়াবো না।’

তসলিমা আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ। যে মস্তিস্কে ঘৃণা থিকথিক করে, সে মস্তিস্ক অসুস্থ মস্তিস্ক। দুঃখ এই, বাংলাদেশ নামের দেশটি অসুস্থ অশিক্ষিত অপ্রকৃতিস্থ লোকের দেশ হয়ে উঠছে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাটিতে ভারতের এবং ইসরায়েলের পতাকার নকশা এঁকে সেটির উপর হেঁটে যাওয়ার ছবি সামনে আসে। সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এখানে বলে রাখা ভালো, ভাইরাল হওয়া ছবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ এমন ঘটনার পর রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আরএসটিইউ), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসটিইউ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় এই পতাকার নকশাগুলো দেখা গিয়েছে গেটের সামনে। যা দেখে রীতিমতো ছিছিকার গোটা বিশ্বে।
এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন রাণ সরকার, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাত, জিতুরা। ‘বাংলাদেশের জামাই’ সৃজিত লেখেন, ‘The Last Straw’ অর্থাৎ কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেওয়া হল!
জিতু যে বাংলাদেশীদের কাণ্ডে রীতিমতো হতাশ, তা তাঁর পোস্ট থেকেই স্পষ্ট। লিখলেন, ‘এ কী রূপ তোমার! কার সম্বন্ধে এতকাল শুনে এসেছি। কাকে নিয়ে ভেবেছি, আনন্দ পেয়েছি! ভাবতাম, ‘আমার পাশেই আমার বাড়ি।’ যে দেশের সংস্কৃতি, খাদ্য, বস্ত্র বিপনীর উপমা একসময় সারা বিশ্বব্যাপী বন্দিত হয়েছে/ হচ্ছেও বোধ করি। যার জাতীয় সংগীত হাঁ করে শুনি। ক্রিকেট মাঠে নিজের দেশ কোন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে, পরবর্তীতে মন থেকে তোমাদের সাপোর্ট করে এসেছি। আর আজ কী রূপ তুমি দেখাচ্ছ!’
রাণার পোস্ট চাঁচাছোলা। তিনি লিখেছেন, ‘দুষ্কৃতীদের কপাল ভালো ভারতবাসী সহনশীল। ক্ষমা, ত্যাগ, বিনয় ও ধৈর্য্য বৈদিকযুগ থেকে ভারতীয়রা অভ্যাস করে চলেছে। সহনশীলতাকে কেউ দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না’।
কবিতার ছন্দে শ্রীজাত বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে লিখলেন, ‘শুশ্রূষা ও জল নিয়ে কী সহজে ভুলে গেলে ঋণ! যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই অংশ ছিলে একদিন। ভাষা তো নিশ্চয় প্রিয়। তারও চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি। আমাকে ‘বাঙালি’ থেকে ‘ভারতীয়’ করে তুললে তুমি। …নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন। যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই নীচে ছিলে একদিন।’
সূত্র :Hindustan Times

নারীদের পোশাক নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির

0

টাইম রিপোর্টার:
বাংলা‌দেশ জামায়া‌ত ইসলামীর আমির ডা. শ‌ফিকুর রহমান ব‌লে‌ছেন,‌ মহানবী (স.) স‌র্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কা‌জেও নারী‌দের যুক্ত ক‌রে‌ছেন। যুদ্ধ ক্ষে‌ত্রে নারী‌দের যুক্ত ক‌রে‌ছেন। তাই আমরা তা‌দের আট‌কে রাখার কে। তারা সামর্থ অনুযায়ী দে‌শের জন্য আত্ম‌নি‌য়োগ কর‌বে। তা‌দের পোশাক নি‌য়ে আমরা বাধ্য কর‌বো না।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে মা-বোনেরা ঘরে এবং বাইরে নিরাপদে থাকবে। তারা কর্মস্থল এবং রাস্তাঘাটে সুরক্ষা পাবেন. নিরাপদে থাকবেন। দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।

তিনি ইতিহাস টেনে বলেন, নবী (সা.) যুদ্ধক্ষেত্রেও নারীদের যুক্ত করেছেন। বিশেষ করে বদরের যুদ্ধের কঠিন দিনে তিনি নারীকে যুক্ত করেছেন। যখন কাফেররা তাঁকে খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল হত্যা করার জন্য। যখন পুরুষযোদ্ধারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন একজন নারী আল্লাহর রাসুল (সা) কে ঘুরে ঘুরে সুরক্ষা দিয়েছিলেন। তার শরীরে ৩৭টি তীর ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। রাসুল সা. বলেছেন, ‘যখনই শক্র আমার প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছে, তখনই ওই নারী তীর আমার শরীরে লাগতে দেননি। যখনই তীর এসেছে ওই নারী ঘুরে ঘুরে আমাকে নবীকে সেফ করেছেন। তিনি হলেন সেই মহিলা সাহাবী মুসাইবা (রা:)।’ রাসূল যদি নারীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে কর্ম দিয়ে থাকেন তাহলে আমরা কে তাদের হাত বন্ধ করার।

শ‌নিবার (৩০ ন‌ভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা সরকা‌রি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের মা‌ঠে জেলা জামায়া‌তের কর্মী স‌ম্মেল‌নে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাপারে ইসলামের প্রতিপক্ষ শত্রুরা অপপ্রচার চালায় যে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না। আর যদি দেয়ও তাদের জোর করে একটা বোরকা পরিয়ে দিবে।

জামায়াতের আমীর নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কারো ওপর জোর খাটানো হবে না। যখন ইসলাম কায়েম হবে তখন মা-বোনেরা আনন্দের সাথে ইজ্জত রক্ষার জন্য পর্দা পালন করবে। এরপরও যদি কোন মা বোন পোশাকের ক্ষেত্রে আপত্তি থাকে তাদের কোনো রকম বাধ্য করা হবে না। এদেশে অন্য ধর্মের মানুষ বসবাস করে। অন্য ধর্মের মানুষকে ধর্ম গ্রহণ ও পর্দা করতে বাধ্য করা হবে না। অমুসলিমদের উপাসনালয়ে পাহারা লাগবে না।

আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে মর্যাদা দেওয়া হবে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও আমাদের কাছে ভিআইপি। রিকশাওয়ালাকেও স্যালুট জানাই। তাদের কাজের মর্যাদা দেওয়া হবে। কৃষকসহ আপামর জনতা সম্মান ও মর্যাদার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে।

ডা. শ‌ফিকুর রহমান ব‌লেন, মানুষ যেন শিক্ষা পে‌য়ে মানুষ হয়। শিক্ষা নি‌য়ে যেন ডাকাত না হয়। এমন এক‌টি শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা গ‌ড়ে তুল‌তে চাই।

আমরা এমন এক‌টি দেশ চাই যেখা‌নে মস‌জিদ, ম‌ন্দির, মঠ ও গির্জা কোনো কিছুই পাহারা দেওয়া লাগ‌বে না উল্লেখ ক‌রে ব‌লেন, আমা‌দের দেশ সাম্প্রদা‌য়িক সম্প্রী‌তির চমৎকার বাগান। এ বাগা‌নে মা‌ঝে ম‌ধ্যে হু‌তোম পেঁচা ঢু‌কে প‌ড়ে। এদের সম্প‌র্কে সতর্ক থাক‌তে হ‌বে।

একজন প‌রিচ্ছন্নতা কর্মীও ভিআইপি উল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, তারা তিনদিন প‌রিষ্কার না কর‌লে আমরা ঘর থে‌কে বের হ‌তে পার‌বো না। তাই তা‌দেরও মর্যাদা দি‌তে হ‌বে। সেই সম্প্রী‌তির বাংলা‌দেশ আমরা গড়‌তে চাই। আমরা জাতীয় স্বা‌র্থে দল ও ধ‌র্মের ঊর্ধ্বে থে‌কে কাজ কর‌তে চাই। এ দেশ‌কে পৃ‌থিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ বানা‌তে চাই। কিন্তু আকা‌শে কা‌লো শকুন ঘুর‌ছে। এ শকুন মা‌ঝে মা‌ঝে ফুঁস কর‌ছে। তাই সতর্ক থাক‌তে হ‌বে। যে যে যেভা‌বেই উসকানি দেক, আমরা ফাঁদে পা দেব না।

‌তি‌নি ব‌লেন, কুরআন দ্বীন ও মজলু‌মের কথা বল‌তে গি‌য়ে সারাদে‌শে যত মানুষ প্রাণ দেন‌নি, তার চে‌য়ে বে‌শি প্রাণ দি‌য়ে‌ছে সাতক্ষীরার মানুষ। তাই জামায়া‌তের কা‌ছে সাতক্ষীরার অবস্থান অনন্য উচ্চতায়।

জামায়াত আমির ব‌লেন, আমা‌দের দে‌শে অফুরন্ত সম্পদ। কিন্তু তা কা‌জে আস‌ছে না। যারাই ত্রাতার দা‌য়ি‌ত্বে থা‌কে, তারাই প‌কেট ভ‌রে। বিগত সরকার সাতক্ষীরার মানু‌ষের ওপর জুলুম ক‌রে‌ছে। খুন ক‌রে‌ছে। গুম ক‌রে‌ছে। জনগ‌ণের অধিকার দেয়‌নি। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা‌কে খুন ক‌রে‌ছে। জামায়া‌তের দুজন আমিরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী‌কে হত্যা ক‌রে‌ছে। ১ জুলাই থে‌কে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা‌দেশ‌কে খু‌নের বন্যায় ভা‌সি‌য়ে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। শত জুলুম অত্যাচা‌রের পরও আমরা পা‌লি‌য়ে যায়‌নি। দেশ‌কে যারা ভা‌লোবা‌সে তারা পালা‌তে পা‌রে না। আমরা এ দেশ‌কে গড়‌তে চাই। এই দে‌শের এক ইঞ্চি মা‌টিও আমরা ছাড়‌বো না।

এর আগে সকাল থে‌কেই জেলার বি‌ভিন্ন উপজেলা থে‌কে জামায়া‌তের কর্মী সমর্থকরা স‌ম্মেল‌নস্থ‌লে আস‌তে থা‌কেন।

দুপুর হ‌তে না হ‌তেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হ‌য়ে ওঠে সরকা‌রি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের মাঠ।

স‌ম্মেল‌নে জেলা জামায়া‌তের আমীর শ‌হিদুল ইসলাম মুকু‌লের সভাপ‌তি‌ত্বে বি‌শেষ অ‌তি‌থির বক্তব্য রা‌খেন কেন্দ্রীয় কর্মপ‌রিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠ‌নিক সে‌ক্রেটা‌রি মুহা‌দ্দিস আব্দুল খা‌লেক, কেন্দ্রীয় কর্মপ‌রিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজ‌লি‌সে শূরা সদস্য মুহাদ্দিস র‌বিউল বাসার, জেলা কর্মপ‌রিষদ সদস্য ও সা‌বেক এম‌পি গাজী নজরুল ইসলাম ও জেলা সে‌ক্রেটা‌রি গাজী আজিজুর রহমান।