Home Blog Page 17

জোরালো হচ্ছে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি, যেসব দেশে নিষিদ্ধ সংগঠনটি

0

টাইম ডেস্ক:
সম্প্রতি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বেশ জোরালোভাবে। দেশের বিভিন্ন মহল এই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে নিষিদ্ধের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজির কাছে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ।

ইসকন কি

ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের যাত্রা শুরু হয় ৫৮ বছর আগে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ইসকনের অস্তিত্ব থাকলেও অনেক দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ।

এটির প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। ইসকন মূলত বৈষ্ণব ধর্মের একটি অংশ এবং ভগবান কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তাদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভক্তিযোগ বা কৃষ্ণভাবনামৃত সংস্কৃতি হাজার বছরের ধরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের বহু দেশে সম্প্রসারণ ঘটেছে সংগঠনটির।

ইসকনের কাজ কী?

ইসকনের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ, ধর্মীয় উপদেশ দেওয়া, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রচার, ভক্তি কার্যক্রম এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনও করে থাকে ইসকন। সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে যোগব্যায়াম এবং জীবনযাত্রার ওপর শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম করে থাকে সংগঠনটি। অভাবীদের বিনামূল্যে নিরামিষ খাবারও বিতরণ করে থাকে ইসকন।

যেসব দেশে নিষিদ্ধসাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইসকন রাশিয়া এবং অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত রাজ্যে কাজ করতে সক্ষম হয়।

চীনে ইসকনের কার্যক্রমের অনুমতি নেই। মালয়েশিয়ায়ও নিষিদ্ধ ইসকন। দেশটিতে ইসকনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আছে। শিয়াশাসিত ইরানে ইসকনের ক্রিয়াকলাপের অনুমতি নেই। এছাড়া সৌদি আরব ও আফগানিস্তানে ইসকনের কর্মকাণ্ডের অনুমতি নেই।

এছাড়া কিছু দেশে এই সংগঠনকে আংশিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওইসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে কিছু শর্ত মেনে কার্যক্রম চালাতে পারে সংগঠনটি। এ ছাড়াও তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে।

যে কারণে উঠেছে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা হয়।

ইসকন নিষিদ্ধের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরায় উলামা পরিষদের বিক্ষোভ
গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা ডিবি। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেখানে আদালত প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

ইতোপূর্বে ইসকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও এবারের ঘটনায় তা বেশ জোরালো হয়েছে। ইসকনকে আন্তর্জাতিক ‘উগ্রপন্থী’ সংগঠন দাবি করে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। তিনি ১০ আইনজীবীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে উসকানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকাংশ মৌলিক বিষয় স্বীকার করে না। সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট তারা হিন্দুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারী করে। সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা ও সনাতন সম্প্রদায়কে মেরে তাড়িয়ে দেয়। মসজিদে সাম্প্রদায়িক হামলা করে। কিছুদিন আগে পবিত্র রমজান মাসে ঢাকায় স্বামীবাগে মসজিদে তারাবির নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসকন। নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে তারাবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পর এ নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটায়।

ইসকন ইস্যুতে আগামীকালের মধ্যে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিগত সরকারের পতনের পর দেশে বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনেও সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে এর আগেও তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেফতার হলে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে উপস্থাপনের পর ইসকনের নেতাকর্মীরা সম্মিলিত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সংগঠনটি দেশের আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না। নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে। আইন-আদালত ও সরকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কাজ করছিলেন এবং এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করছেন।

ইসকন বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ বলে নোটিশে উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কার্যক্রম এখনই বন্ধ করা না গেলে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে এই সংগঠনটির নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা।

সূত্র ঢাকা মেইল

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা

0

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। বুধবার (২৭ নভেম্বর) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। ট্রাক এবং ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। হত্যা চেষ্টা নাকি ভিন্ন কিছু! সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল। জনমনে প্রশ্ন হত্যা চেষ্টা।

কাউকে আর রাষ্ট্র নিয়ে খেলা বা নাটক করতে দেওয়া হবে না : শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন

0

টাইম ডেস্ক:

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পর অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগে, বিভিন্ন অপশক্তি, দেশের ভিতরে এবং বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা সম্মিলিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
যখন দেশের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশ্নে সংবিধান সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার , পুলিশ সংস্কার সহ সকল ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গণতানন্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বিনির্মাণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে- তখন সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়িয়ে অপশক্তির দৌরাত্মকে গুড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, কাউকে আর রাষ্ট্র নিয়ে খেলা বা নাটক করতে দেওয়া হবে না। জুলাইয়ের গণহত্যার জমিতে ফ্যাসিবাদকে ফিরতে দেয়া যাবে না। তার জন্য সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণী পেশার সমাজ শক্তি ও ছাত্র শ্রমিকসহ গণমাধ্যমের সবাইকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক ক্ষণে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আজ বিকেলে জেএসডি ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার প্রতিনিধি সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন সরকারকে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সবাইকে ধৈর্যশীল থাকার অনুরোধ জানান।
জেএসডি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল আকতার, দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশা,সুমন খান,নাসির উদ্দিন স্বপন,শহীদ চৌধুরী প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

লেখক-সাহিত্যিকরা সমাজের দর্পণ: মাহবুবা চৌধুরী

0

সাহিত্য রিপোর্ট :
লেখক-সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পণ। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুল-ত্রুটি, ভালো-মন্দ, অসঙ্গতি- সবকিছু তুলে ধরতে পারে। নিরেট আনন্দ দিতে পারে। নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প, একটা ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে মানুষের জীবনে। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চায়। তবে লেখক হোক, গায়ক হোক বা অভিনয়শিল্পী হোক সে কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করে না। কিন্তু কাজ করতে করতে যখন সে পুরস্কার পায়, কাজের স্বীকৃতি পায়- তখন তার কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে- আগের চাইতে তারা আরও ভালো কিছু আমাদের উপহার দিবেন। লেখক-সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত করার জন্য ডিআরইউকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ডিআরইউ সদস্যদের সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি দিতে প্রতিবারের মতো এবারো সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননার আয়োজন করে। এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (কালের কণ্ঠ) মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন (কালবেলা) ও কথাসাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) আহমেদ আল আমীন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)।

ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা)।

মালয়েশিয়া থে‌কে পরিশোধিত পামওয়েল পে‌তে চায় বাংলা‌দেশ

0

প্রবাস ডেস্ক:
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মালয়েশিয়া থেকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে পরিশোধিত পামওয়েল সরবরাহে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন মালয়েশিয়ায় তার দুই দিনের সংক্ষিপ্ত সফরকালে মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন ও কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান।

বৈঠকে উপদেষ্টা বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অবহিত করেন। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পামওয়েল উৎপাদনকারী দেশ এবং মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পামওয়েল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা টিসিবির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ন্যয্যমূল্যে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরবরাহে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মালয়েশিয়া থেকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় টিসিবির মাধ্যমে পরিশোধিত পামওয়েল সরবরাহের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি হতে বাণিজ্যিক (বিটুজি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে পরিশোধিত পামওয়েল সরবরাহের নিমিত্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টার অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো আশ্বাস দেন।

এছাড়া বৈঠকে রাবার খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা, সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক প্রস্তাবিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার বিষয়গুলি গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভিন, মালয়েশিয়ার কৃষি ও পণ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইউসরিনুদ্দিন বিন আবদ করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়ায় ১৪ বাংলাদেশিসহ ১১৯ অভিবাসী আটক

0

প্রবাস ডেস্ক:
১৪ বাংলাদেশিসহ ১১৯ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংজায়ায় দুই বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী মোট ৪০০ অবিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষা করে এর মধ্য থেকে যাদের কাগজপত্র নেই এমন ১১৯ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এক মাসেরও কম সময় ধরে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির পর, ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুরু হওয়া কয়েকটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় মিয়ানমারের ৭১ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী, বাংলাদেশ ১৪, নেপাল ৮, ভারত ৪, ইন্দোনেশিয়ার ৩ পুরুষ এবং একজন নারীসহ মোট ১১৯ জনকে আটক করা হয়। আটকদের আরও পরীক্ষার জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নামাজে জানাজা শেষে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

0

টাইম রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে নিহত এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার নিহত হন আইনজীবী সাইফুল।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে সকালে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুলের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আইনজীবী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। নামাজে জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য দিয়ে সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

এরপর সাইফুল ইসলামের মরদেহ নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নামাজে জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ টাইগারপাস মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

দ্রুতসময়ের মাঝে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনতা এই বিক্ষোভে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বুধবার আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের? মির্জা ফখরুল দাওয়াত দিয়েছেন!

0

টাইম রিপোর্ট :
ওবায়দুল কাদের আসলে কোথায়- এ প্রশ্ন সর্বত্র। তিনি কোথায় আছেন, কী করছেন, কেমন আছেন, সে ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর দল ক্ষমতায় থাকাকালে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে গণমাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করতেন। বাহারি পোশাক পরে প্রত্যেক দিন ৪-৫টি কর্মসূচিতে হাজির হতেন। এসব কর্মসূচি কাভার করতে সংবাদকর্মীদের গলদঘর্ম হতে হতো। প্রায়ই তিনি বলতেন, কখনো পালিয়ে যাবেন না। সেই ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের পর একদম নীরব। সর্বশেষ জানা যায়, ওবায়দুল কাদের ভারতের মেঘালয়ে আছেন। কিন্তু মেঘালয়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে সেখানে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কলকাতা কিংবা নয়াদিল্লিতেও নেই কাদের। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ বলছেন, দুবাইয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। কারও দাবি, তিনি সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডে পলাতক রয়েছেন। আবার কারও দাবি, সরকার পতনের পর তার অবস্থান ছিল যশোরে। সেখান থেকে অবৈধ পথে ভারত গেছেন তিনি। অনেকের ধারণা, ওবায়দুল কাদের পালানোরই সুযোগ পাননি, পলাতক রয়েছেন দেশেই। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হত্যা মামলাসহ ২ শতাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে কাদেরকে। গত দুই মাসে তার গ্রেপ্তারে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে কাদেরের স্ত্রীর ভাইকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সর্বশেষ (১১ নভেম্বর) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আটক হয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল মতিন। খবরে প্রকাশ, তার তিন দিনের রিমান্ডে অবশ্য কাদেরের অবস্থান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের যে কোনোভাবে গণমাধ্যমের প্রচারের আলোয় থাকতে পছন্দ করতেন। কী পরিস্থিতিতে তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস গণমাধ্যম ও নেতা-কর্মীদের থেকে দূরে আছেন, তা তিনিই ভালো জানেন। দেশে থাকা অনেক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন। ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে থাকা নেতারাও ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে ‘ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ দম্ভোক্তি করে ছাত্রদের বিক্ষুব্ধ করেছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমানে পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুধু তাই নয়, আন্দোলকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। ওই বক্তব্যের পর দল ও দলের বাইরে প্রচণ্ড তোপের মুখেও পড়েন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক। শেষ মুহূর্তে দৃশ্যপট থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতেও আন্দোলনের তীব্রতা কমেনি, বরং নির্বিচারে হত্যা ও দমনপীড়নের ফলে ছাত্রদের আন্দোলন শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমরা পালাব না। প্রয়োজনে মির্জা ফখরুলের বাসায় গিয়ে উঠব। আমরা পালাতে জানি না। এই দেশে জন্ম নিয়েছি, এই দেশেই মরব। পালাব না। কোথায় পালাব? প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। কি জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না, ওই বাড়িতে গিয়ে উঠব।’ সরকার পতনের পর ওবায়দুল কাদেরের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় অতি সম্প্রতি ঠাকুরগাঁয়ে এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের না পালিয়ে আমার ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে আসতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় পালিয়ে আছেন? ফখরুল আরও বলেন, ‘এখন ঠাকুরগাঁওয়ে আছি, আমি আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে… এমটিনিউজ২৪

ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা:সারজিস আলম

0

টাইম রিপোর্ট :
বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেত্মারা উস্কানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই- আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটোখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে ইসকনের হামলায় নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে আয়োজিত শোক এবং সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি

সারজিস আলম আরো বলেন, আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভুতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভুতিকে দুর্বলতা মনে করে, আমরা কি তাদেরকে ছেড়ে দিবো? আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দিবো? আমরা আমাদের সাইফুল ভাইয়ের খুনিদের বিচার দেখতে চাই। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই- আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরো চক্রান্ত হবে; কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।

অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ

শহীদ ডা. মিলন দিবসে জাসদের আলোচনাসভা দেশে রাজনৈতক ও শাসন শূন্যতা চলছে

0

টাইম রিপোর্ট :
১৯৯০ এর ঐতিহাসিক গন-অভ্যূত্থানের মহান শহীদ জাসদ নেতা, বিএমএ’র নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মবলিদান দিবস ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’ উপলক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ‘ডা. মিলনের আত্মবলিদান: ৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন মোল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো: আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় স্কপের অন্যতম নেতা ও জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, এরশাদ সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর সর্দার, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাইমুল হক, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন খান বাচ্চু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমূখ।
সভায় বক্তারা শহীদ ডা. মিলন, শহীদ শাজাহান সিরাজ, শহীদ মোজাম্মেল, শহীদ দীপালি সাহাসহ ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসন বিরোধী ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ৯০-এর ঐতিহাসিক গন-অভ্যূত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ক্ষমতাসীনরা রিসেট বাটন পুশ করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যূত্থানকে যতই মুছে দেয়ার অপচেষ্টা চালাক না কেন কোনো লাভ হবে না। তারা বলেন, দেশে এখন রাজনৈতিক শূন্যতা, শাসন শূন্যতা চলছে। দেশে মগের মুল্লুকের মতই মবের মুল্লুক চলছে। ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসা পরায়ণতার আগুণে দেশ জ্বলছে। ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার চেয়ার থেকেই গৃহযুদ্ধের ডাক দিয়ে, তথাকথিত দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে, সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলে, উস্কানি দিয়ে দেশকে ভয়াবহ বিভাজন ও বিভক্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বক্তারা বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক শূন্যতা, শাসন শূন্যতার অবসান করতে একটি প্রতিহিংসামুক্ত, পক্ষপাতমুক্ত, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ন্যাস্ত করার বিকল্প নাই। বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে প্রতিহিংসার হাতিয়ারে পরিনত করতে গায়ের জোরে আইন পরিবর্তন করে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বক্তারা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রহসণমূলক বিচার বন্ধের দাবি জানান। বক্তারা, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে প্রতিহিংসামূলক ঢালাও অর্ধ শতাধিক মিথ্যা মামলায় আটক জাসদ সভাপতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী জননেতা হাসানুল হক ইনুসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন।
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষ্যে জাসদের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল আজ ভোর ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালোপতাকা উত্তোলন, সকাল ৭-৩০ ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের সমাধি এবং সকাল ৮-০০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন সৌধে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।