Home Blog Page 26

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি কর্মীর মনের ভাষা বুঝতে পারেন। বর্তমানে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে বিএনপিতে নতুন প্রজন্মের কাছে কামাল উদ্দিন ওরফে আমেরিকান কামাল একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মীদের নাম স্মরণ রাখেন, খোজ খবর নেন যিনি, তিনিই হচ্ছেন সকলের প্রিয় কামাল উদ্দিন।

৯০ দশকের অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয়তা নিয়ে কামাল উদ্দিন সরকারি মুজিব কলেজ ক্যাম্পাসসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অনন্য অধ্যায় রচনা করেছেন।

তিনি ছাত্র রাজনীতির গুণাবলিতে মুজিব কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সুনাম অর্জন করছিলেন। এদিকে ৯০ দশকে বিভিন্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তাঁর নেতৃত্বে ছিলো ছাত্রদলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও শক্তিশালী কাঠামো।

পরবর্তীতে কামাল উদ্দিন ছাত্রত্ব শেষ করে আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে ছিলেন সেখানে বসেও মানবিক কাজ থেমে থাকেনি। তিনি বিদেশের মাটিতে বসে নেতাকর্মী ও দলের জন্য আর্থিক সহায়তার হাত গুছিয়ে নিননি। তাঁর কাছে মেসেজ পৌছতে পারলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন । দলের ক্রান্তিকালে এবং করোনা মহামারি সময়ে মানবিক সেবা দিয়ে নেতাকর্মীদের হৃদয় স্থান করে নিয়েছেন।

ফলে, আমেরিকায় থেকেও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের মণি কোটায় স্থান করে নিয়েছেন। যার প্রমাণ সম্প্রতি তাঁর আগমনে হোন্ডা শোডাউন ও সংবর্ধনার মধ্যদিয়ে নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান দিয়েছিলেন।

আগামী দিনেও শহীদ জিয়াউর রহমান’র আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকতে চায় সকলের প্রিয় কামাল উদ্দিন।

মুছাপুর ক্লোজারে বালু উত্তোলন ও নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকায় সল্পসময়ের মধ্যে ৩ জেলার মানুষের স্বপ্নভঙ্গ

0
https://noakhalitimes.com

এএইচএম মান্নান মুন্না :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভারতের উজানের ও বন্যার পানির তীব্র তোড়ে ভেঙে গেছে মুছাপুর ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর। রেগুলেটরটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় অত্র অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্বাধ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। অনেকেরই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা-মহা পরিকল্পনা সব ভেস্তে গেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় রেগুলেটরটি ভেঙ্গে যায়। থেমে নেই, রেগুলেটর এলাকার মসজিদ, দোকানসহ নানা স্থাপনা একের পর এক সব নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এসময় রেগুলেটরটি ভেঙ্গে যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী-পুরুষ দেখতে আসে। এদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনের।

সংবাদ পেয়ে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীসহ সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

দীর্ঘ প্রত্যাশার রেগুলেটরটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এতদাঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। রেগুলেটর বিলিন হয়ে তদস্থলে পানির স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় ফেনীর দাগনভুইয়া, সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলার মানুষের মাঝে নতুন করে ভয় এবং আতঙ্ক বেড়ে গেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে জোয়ারের লোনা পানি প্রবেশ করে ঘর-বাড়ী, জমি ও ফসল নষ্ট হওয়ার বিষয়টি।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত মুছাপুর রেগুলেটরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল অবৈধ একাধিক বালু মহাল। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চুটিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করেছিলেন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করার অণুঘটক হিসেবে নেপথ্য নায়কের ভূমিকায় ছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভুইয়া ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপকূলে অব্যাহত নদীভাঙ্গন ঠেকাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ‘নতুন ডাকাতিয়া ও পুরাতন ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদীর পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের’ আওতায় কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩ ভেন্টের রেগুলেটর নির্মাণ শুরু হয়। ২০০৫ সালের ৮ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রেগুলেটরের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ২৩টি ভেন্টে ২৩টি করে রেডিয়্যাল গেট ও ফ্ল্যাব গেট স্থাপন করা হয়। এ রেগুলেটরের পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা ৭৫৬.১৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং এর পানি ধারণ সমতল (+) ৪.০০ মিটার (পিডব্লিউডি)। এতে করে ৮০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসায় খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শস্যের নিবিড়তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ শতাংশে। এ নিরিখে পরবর্তী বছরে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন। যার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে ধারণা করেছিল কৃষি বিভাগ।কিন্তু সোমবার সকালে রেগুলেটরটি বিলীণ হয়ে যাওয়ার পর এতদাঞ্চলের মানুষের সকল স্বপ্নস্বাধ সব নিমিষেই শেষ হয়ে গেল!

এই স্লুইসগেট নিয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন একটি সভায় বলে ছিলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এই রেগুলেটর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। এটি ভেঙে গেলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ হবেনা। তাঁর পূর্বাভাস এখন মানুষের মুখে মুখে।

স্বাধীনতার পূর্বে ফেনীর সোনাগাজীর ‘কাজিরহাট রেগুলেটর’ ছোট ফেনী নদী গর্ভে ভেঙ্গে যাওয়ার পর সোনাগাজী, দাগনভূঞা সহ আশপাশের এলাকায় একদিকে যেমন বর্ষা মৌসুমে বন্যা কিংবা পানিবদ্ধতা দেখা দেয়, অন্যদিকে শুষ্ক মওসুমে নদীতে পানি না থাকায় ইরি-বোরোসহ রবি শষ্য চাষ ব্যাহত হয়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানির সাথে লোনা পানি ঢুকে এতদাঞ্চলে হাজার হাজার একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতো। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকায় কৃষকরা ক্ষতির আশংকায় এ এলাকায় হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি রেখে দিতো।

মুছাপুর রেগুলেটর নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান হয়। এই ৩ জেলার মানুষ লোনা পানি, জলাবদ্ধতাসহ ভাঙন থেকে রক্ষা পায়। রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়াতে মানুষের দুঃস্বপ্ন ছাড়াএখন আর কিছুই নেই।

তীব্র পানির চাপে ভেঙে গেল মুছাপুর ক্লোজার স্লুইস গেট

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেছে মুছাপুর ক্লোজার স্লুইসগেট। স্লুইসগেট ভাঙার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভারতের উজানের ফলে ফেনী মুহুরী নদীর পানি ও ভারী বর্ষণে কোম্পানীগঞ্জের পানি মুছাপুর স্লুইসগেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। সোমবার সকালে পানির তীব্র চাপে ভেঙে যায় রেগুলেটর। এতে ব্রিজের উপর থাকা একটি সিএনজি অটোরিক্সা সহ ব্রিজটি তলিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্যার পানির তীব্র চাপ সহ্য করতে না পেরে রেগুলেটরটি ভেঙে গেছে। আমাদের মুছাপুর ক্লোজার শেষ। সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। জোয়ার হলে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নাই।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, তীব্র পানির চাপে মুছাপুর রেগুলেটরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ারগণের কাজের সুবিধার্থে রেগুলেটর-সংলগ্ন এলাকায় ভিড় না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও বিষয়টি জেনেছি। আসলে রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে প্রচুর পানি নেমেছে। যদি গেটগুলো আগে খোলা না হতো তাহলে আগেই ভেঙে যেত। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

নোয়াখালী,ফেনী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালো প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :
সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালী ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে শুকনা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।

রোববার (২৫ আগস্ট) প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

এছাড়াও প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক মো: সহিদুল ইসলাম’র নেতৃত্বে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার বন্যার্ত এলাকায় বিপর্যস্ত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার চিড়া,মুড়ি,বিস্কুট,গুড়,চিনি,খাবার স্যালাইনসহ বিশুদ্ধ পানির বোতল বিতরণ করেন।

বিতরণ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা
মোঃ আঃ সাত্তার,চট্রগ্রাম অঞ্চল ব্যবস্থাপক আনোয়ারুজ্জামান, কোস্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচ এম মান্নান মুন্না, প্রশিকা কোম্পানীগঞ্জ জেলা এরিয়া ব্যবস্থাপক আবদুল হালিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

কোম্পানীগঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মত বিনিময়

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃদ্বয়ের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১ ঘটিকায় বসুরহাট নির্জন কনভেনশন হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মত বিনিময়কালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন,আমরা রাজনৈতিকভাবে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছি কিন্তু ভাঙচুরের যে ঘটনা গুলো ঘটেছে মূলত সেটি করেছে জনতা। আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে ছবি আছে আওয়ামী লীগ অফিস আমরা আগুন দিই নাই, আমাদের নেতারা আসার আগে বিক্ষিপ্ত জনতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি গত ১৭ বছরে নির্যাতিত বঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ওবায়দুল কাদের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা আমরা জানিও না, কারা জ্বালাও পোড়াও করেছে। তাদের বাড়ি পাহারা দেওয়া ও রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব না। আমারা যেটি দায়িত্ব পালন করেছি আপনারা সাংবাদিকরা অবশ্যই দেখেছেন সরকারি ভবন,সরকারী অফিস রক্ষা করা,
আমাদের কাজে প্রশাসন ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকরা বিভিন্ন মতের আদর্শের থাকতে পারে এটি স্বাভাবিক কিন্তু কোন দলের হয়ে ক্যাডার ভূমিকা রাখবেন পরবর্তীতে কোন ঝামেলা হলে অথবা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করলে তখন আপনি নিজেকে সেভ করার জন্য বলবেন আমি তো আওয়ামী লীগ নয় সাংবাদিক। এটি মেনে নেয়া যাবেনা। আপনাদের একজন সাংবাদিক আছেন উনি জেলায় দায়িত্বে আছেন সে একজন ক্যাডার আমাদের দলকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন এখন ওই সাংবাদিক আমাদের জেলা নেতৃবৃন্দকে ফোন করে বলেছেন উনার নাকি বাড়ি হামলা করেছে। আমাদের নেতাদের কাছে খাটো করার জন্য একটি নাটক সাজাচ্ছেন তিনি। ছিদ্দিক কমিশনার বাড়িতে লোক পাঠিয়েছি এলাকার কোন লোক বলতে পারেনি তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে একজন সাংবাদিক আছেন তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি দায়িত্ব রয়েছেন এবং বিগত দিনে সে একজন ক্যাড়ার ভূমিকা রেখেছেন রাস্তায় আমাদেরকে দেখলে আমাদের গায়ে হুন্ডা উঠিয়ে দিতো তার কাছে আমরা নিরাপদ ছিলাম না। সাংবাদিক রনি ও চর পার্বতী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ক্যাডার কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন তার বাড়িতে হামলা হয়েছে আমরা খবর নিয়ে দেখলাম তাদের বাড়িতে এমন কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি এভাবে তারা বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়াচ্ছেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, গত ১৭ বছর সুশীল সমাজ কোথায় ছিল? সুশীল সমাজ দিয়ে বিপ্লব হয় না, শুধু আলোচনা হয়, বিপ্লব হয় গণমানুষ দিয়ে, এই সুশীলরা তখন কোথায় ছিল? আমাকে থানার সামনে আক্রমণ করা করা হলো আপনারা সাংবাদিকরা তো একজনও রিপোর্ট করেননি। আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তো আপনারা কেউ লেখেন নি, লিখতে পারেননি, এখন তারা কি সুশীল হয়ে গেল মাত্র ১৭ দিনের কোন কিছু সহ্য হচ্ছে না তাদের । আপনারা এখন আমাদের বিরুদ্ধে দোষারোপ শুরু করেছেন আপনারা যাচাই বাছাই করে লিখেন যারা অনিয়ম করছে এরা কি আমাদের দলীয় লোক না কি অন্য কেউ। আমাদের দলের লোক না। সরকার পতনের জন্য হেলমেট বাহিনী, কিশোরগঞ্জ বাহিনী লাগেনি, কিন্তু তারা ১৭ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই বাহিনীগুলো ব্যবহার করেছে। তারা কি হেলমেট বাহিনী ব্যবহার করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছে ? আমাদের কোন কিশোর বাহিনী লাগবেনা, আমরা জনগণের পাশে আছি, জনগণের ভালোবাসায়, আন্তরিকতায় দিয়ে আমরা রাজনীতি করি। ৫ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে এটি নির্যাতিত মানুষের বহিঃপ্রকাশ। এখানে বিএনপিসহ আমাদের জোটের কোন লোক হামলা করেনি। সব হচ্ছে বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। যাদের কে জিম্মি করে রেখেছে স্বাধীনভাবে কথা বলতে দেয়নি তারাই এ গুলি করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিছুদিন পরে দেখা যাবে পত্রিকার কার্ড নিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অপরাধী এসে আপনাদের সাথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনুপবেশ করবে এদের ব্যাপারে ছাড় নেই।এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল এরা অনুপ্রবেশকারী। সাংবাদিক হচ্ছে এদেশের আয়না আপনারা যারা এত বছর মন খুলে লিখতে পারেননি আপনারা লিখেন, আমরা সহযোগিতা করবো।গত ১৭ বছর জিম্মি করা শাসন সম্পর্কে আপনারা লিখেন, ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখতে আমাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎ নিতে চাইলে আমরা দেব। আপনারা এই স্বৌরশাসক, এই ফেরাউন আব্দুল কাদের মির্জার অপরাধের রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করুন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন বিগত ১৭ বছর আমরা শুধু নির্যাতন হয়েছি তা নয় সাংবাদিকরাও সত্য কথা লিখতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের উপর দীর্ঘ ১৭ বছর যে নির্যাতন নিপীড়ন স্টিল রোলার চালিয়েছে বিশেষ করে এখানে সারা বাংলাদেশের চেয়ে কোম্পানীগঞ্জের চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ ছিলো। বিভিন্ন সময়ে, বিএনপির কোন তথ্য ফেলে তারা হেলমেট বাহিনী ও বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করেছে মানুষের উপর অত্যাচার করেছে নির্যাতন করেছে। এই ব্যাপার গুলি আপনাদেরকে (সাংবাদিক) বিবেচনা রাখতে হবে। তারা বলেছিল (আওয়ামী লীগ) তাদের পতন হলে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী মারা যাবে শুধু কোম্পানিগঞ্জ না সারা বাংলাদেশে এই পরিস্থিতিতে ৫/৭ জন লোক ছাড়া তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি তে একজন সাংবাদিকসহ শ্রমিক নিহত হয়েছে তাদেরকে সবাই আপনারা চিনেন কারা এই হত্যা করছে। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যাপারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন যাতে করে কোম্পানীগঞ্জে সন্ত্রাস ও অস্ত্র মুক্ত হয়।

পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মতিন লিটন বলেন, ১৭ বছর আমরা একটা মাস ভালো ভাবে ছিলাম কেউ বলতে পারবেনা। পাঁচ দিন বাড়িতে থাকলে পাঁচ দিন দিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে আমাদের দিন কেটেছে। সবকিছু উপেক্ষা করে আমরা টিকে আছি। আমরা এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আপনারাও যারা সাংবাদিক আছেন কম বেশ আপনারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে । আপনারা সঠিকভাবে খবরগুলি দিতে পারেননি। এখন আপনাদের সঠিক কাজ করার দিন এসেছে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ যে পরিমাণ নির্যাতিত হয়েছে সে অনুযায়ী কিছুই হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় যে ধরনের খবর শুনেছি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সে ধরনের কিছুই হয়নি। আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের সাথে মোবাইলে কথা বলতেননা তাদের ভয়ে এড়িয়ে যেতেন।আপনাদের কাছ থেকে সঠিক নিউজ গুলি পেতাম না।গত ২৪ জুলাই কোন ঘটনা ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অথচ ওই মামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি।

আমি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে বসুরহাটে দোকান -পাট ও ব্যবসায়ীদের যেন কোন ধরনের ক্ষতি না হয় আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। বসুরহাটে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি আগামীতেও সকলের সহযোগিতায় তাদের পাশে থাকবো।
বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মির্জা কাদের কোম্পানীগঞ্জে একটা অঘোষিত গডফাদার ছিলেন। ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দখল করে এখানে আওয়ামী লীগের অফিস করেছে। বসুরহাট পৌরসভা অফিসে একটা রুম সেনা কুঞ্জের মতো একটি আয়না ঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। উনারা (আওয়ামী লীগ) ছাড়া ওখানে কেউ যেতে পারতেন না। ওই আয়না ঘরে নিয়ে আমাদের দলের নেতা কর্মীদের কে নির্যাতন করতেন। আপনারা( সাংবাদিক) জানেন, বিভিন্ন নির্বাচনের সময় অস্ত্র প্রদর্শন করছে তারা। সাংবাদিকদের কাছে এ সকল তথ্য আছে। কোম্পানীগঞ্জে ফলের কার্টুনের মতো করে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার নির্বাচনে যে সকল অস্ত্র গুলি এসেছে পত্রিকার মাধ্যমে আপনারা তা প্রকাশ করুন।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে সবাই নিরাপত্তাহীনতা ছিলাম। আপনাদের ( সাংবাদিক) জায়গা থেকেও আপনাদের করণীয় জিনিসগুলি করতে পারেননি।
আজকের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিকতা পেশায় যারা জড়িত আছেন আপনারা আপনাদের কলমের লিখনীর মাধ্যমে সমাজের অবিচার, অন্যায় গুলি তুলে ধরবেন।সেখানে যদি আমি (জাহিদুর রহমান রাজন) জড়িত থাকি তাও আপনারা লিখবেন বিন্দু পরিমাণ আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন এটি আমারা প্রত্যাশা করি।

এসময়ে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিতি ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার বিএনপির সহ সভাপতি মমিনুল হক, ও শওকত হোসেন ছগির,বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ছালা উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, উপজেলা যুবদল সিনিয়র সহসভাপতি মেহেদী হাসান টিপু পাটোয়ারী, পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরনবী সবুজ,বসুরহাট পৌরসভা যুবদল আহবায়ক ওবায়দুল হক রাফেল বসুরহাট পৌরসভা যুবদল সদস্য সচিব ও কাউন্সিলর মাজহারুল হক তৌহিদ, উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক এমরান হোসেন সাগর, সদস্য সচিব নুর উদ্দিন রুবেল প্রমূখ।

কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মতবিনিময়

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন ।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বসুরহাট নির্ঝর কনভেনশন হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্‌বায়ক নুরুল আলম শিকদার, যুগ্ম-আহ্‌বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্‌বায়ক আবদুল মতিন লিটন, সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল আহ্‌বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্‌বায়ক এমরান হোসেন সাগর, সদস্য সচিব নুর উদ্দিন রুবেল প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ কোম্পানীগঞ্জে বিগত দিনে কাদের মির্জার বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তার বিচার চান। এছাড়াও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি নামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান।

এসময় তারা সুন্দর কাম্পানীগঞ্জ গড়ার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

নোয়াখালী জেলা বিএনপি সভাপতি’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0

নুর আলাম বিপ্লব, কবিরহাট (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একটি জাতীয় দৈনিকে নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হায়দার বিএসসিকে জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার( ১৯ আগস্ট) কবিরহাট উপজেলায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি জাতীয় সংবাদে প্রকাশিত হয় একরামুল করিম চৌধুরী ও তার ভাগিনা কবিরহাট পৌরসভার মেয়র, জহিরুল হক রায়হান গোলাম হায়দার বিএসসি’র বাড়িতে অবস্থান করে। এ দিকে প্রকাশিত হয় মেয়র রায়হান’র স্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়িটি গোলাম হায়দার বিএসসি’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এবং বলেছে তারা পরস্পর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশ্যে প্রণোদীত। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি অত্যন্ত সৎ ও সমাজ সেবক, স্বচ্ছ একজন রাজনীতিবিদ। উনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক এই ভিত্তিহীন সংবাদটি প্রকাশিত করা হয়েছে। কবিরহাট উপজেলা বিএনপি, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপি’র পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কবিরহাট উপজেলার বিএনপি আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন, উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন খোকন, যুগ্ন আহবায়ক আরাফাত রহমান খোকন, মাহফুজুর রহমান, রেদওয়ানুর রহমান,দেলোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।

৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান, ৩২৩ পৌরসভা মেয়র ও ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপসারণ

0
https://noakhalitimes.com

নিউজ ডেস্ক :: আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান, ৩২৩ পৌরসভার মেয়র ও ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

পরদিন ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

চাটখিলে সিএনজি রাখাকে কেন্দ্র করে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট থানায় অভিযোগ

0

চাটখিল (নোয়খালী) প্রতিনিধি:
চাটখিল পৌরসভার দক্ষিণ বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনে রাস্তার উপরে অবৈধভাবে সিএনজি রাখাকে কেন্দ্র করে সিএনজি ড্রাইভারসহ এক দল সন্ত্রাসী বাজারের ব্যবসায়ী রানা ভিডিও এর স্বত্তাধিকারী মো: রানা এর বড় ভাইকে মারধর ও দোকান ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এই ঘটনায় আজ দুপুরে রানা ভিডিও এর স্বত্তাধিকারী মো: রানা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে চাটখিল দক্ষিণ বাজার সোনালী ব্যাংকের সামনে চাটখিল-খিলপাড়া সড়কের উপর ৭-৮টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দাঁড় করিয়ে রাখায় জন চলাচলে বিঘœ ঘটে। তাই রানার বড় ভাই মো: মহসিন সিএনজি ড্রাইভারদের গাড়ি সরিয়ে রাখতে বলায় ড্রাইভারদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহসিন তার ছোট ভাই রানার ভিডিও দোকানে গিয়ে বসে। এর কিছুক্ষণ পর সিএনজি ড্রাইভার আব্দুল মান্নানের ছেলে চয়ন (১৯) ও সফিকুরের ছেলে রবিন (২১) সহ আরো কয়েকজন ড্রাইভার একত্রিত হয়ে লোহার রোড, ধারালো ছুরি ও দেশিও অস্ত্রসহ রানা ভিডিও দোকানে প্রবেশ করে মহসিনের উপর হামলা করে এবং দোকানে ভাংচুর ও নগদ অর্থ লুটপাট করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় মহসিনকে বাজারের ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযোগকারী রানা বলেন, এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ভাইকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করিবে বলে হুমকি দেয়।
চাটখিল থানার ওসি ইমদাদুল হক অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা নথিভূক্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নোবিপ্রোবিতে উপাচার্যেন পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি ও রেজিস্ট্রার জসীমউদ্দিন’র পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়
বাসভবন ঘেরাও করে জুতা মিছিলও করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রোববার( ১৮ আগষ্ট) বেলা ১১টা থেকে নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা আন্দোলন বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত সময় ঘটে আসা নানা অনিয়ম অনাচারের দরুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এসব বিষয় সামনে রেখে এবং বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুর্নীতিবাজ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত এ তিন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাদের নামের পদত্যাগপত্র লিখে নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানো হবে। একই সঙ্গে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসর নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। এর মধ্যে তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পরও পদত্যাগ করেনি। আমরা তাদের পদত্যাগের দাবিতে আজ ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষকরা। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষকরা।

বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ।

এর আগে গত ১০ আগস্ট (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ নয় প্রক্টর পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে ওএসডি করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবুও এ রেজিস্ট্রারে পদত্যাগ নিশ্চিত করতে চান।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকিকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।