Home Blog Page 25

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টাকে মুছাপুর রেগুলেটর পুন:নির্মাণের দাবীতে  স্বারক লিপি

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা  :
কোম্পানীগঞ্জে  মুছাপুর রেগুলেটর পুন:নির্মাণের দাবীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ ইউনুস’র  বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কোম্পানীগঞ্জের চারটি প্রবাসী সংগঠন৷

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনুস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন৷

২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ব্রকলিনের জলসা পার্টি হলে কোম্পানীগঞ্জ জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায়  ড.মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের হাতে স্বারক লিপি হস্তান্তর করেন  কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, চরহাজারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কোম্পানীগঞ্জর আমেরিকান নাগরিক প্রতিনিধি।

সন্দীপ সোসাইটি ইউএস এ এর আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনুসের সফরসঙ্গী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংবর্ধিত অতিথি ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সন্ধীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আলম, সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সহ ভিবিন্ন প্রবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গত ২৬ আগস্ট ‘মুছাপুর ক্লোজার’ পানির প্রবল চাপে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।এতে করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নসহ ফেনীর সোনাগাজীর ৩ টি ইউনিয়ন ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রায় ১০ হাজার পরিবার ঘর-বাড়ি নিয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে। যার ফলে ক্লোজার/টেকসই বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্যার্ত তিন’শ পরিবারকে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র আর্থিকসহায়তা

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
এবার বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি:বন্যা দূর্গতদের মাঝে নগদ আর্থিকসহায়তা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির অফিসে বন্যার্তদের মাঝে নগদ ৫০০ টাকা করে এ অর্থ বিতরণ করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।

বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি, পৌরসভা বিএনপির সভপতি আগামী দিনের পৌরসভার কর্ণধার আব্দুল মতিন লিটন, এসময়ে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ পৌরবহু মূখী সমবায় সমিতি লি. সভাপতি সুলতান নাছির উদ্দীন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি,বিএডি। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন (একরাম) , এছাড়াও বসুরহাট’র বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্রমশই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন পানি বন্দি পরিবার। নিম্ন আয়ের পরিবার এখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। মানুষের হাতে কাজ নেই, এমন কথা চিন্তা করে বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি. বসুরহাট পৌর বহুমুখী সমবায় সমিতি লি.বসুরহাট দোকান মালিক সমবায় সমিতি লি.সহ অন্যান্য সমিতির সমন্বয়ে অসহায়দের মাঝে পাঁচ’শ টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

জনগণ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে -সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মুছাপুর নদীর পাড়ে আসার কারণ মানুষের সমস্যাটা সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চশমা দিয়ে দেখা। আমরা নদী তীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম। সরকারি হিসেব মতে প্রতিবছর নদীভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় যেটি বেসরকারি হিসেবে এক লাখের বেশি মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।
আমরা মাঠে এসেছি মানুষ আর সরকারের মধ্যে ভিন্ন সত্ত্বা যেন না থাকে সেটা ঘুচিয়ে দিতে। মানুষ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। যেন অচিরেই এর সঠিক সমাধান করা যায়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর ও নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন দস্যুতায় পরিণত হয়েছে। বালু খেকোদের এ দস্যুতা এখনি রুখতে হবে।

তিনি বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেয়। বালু মহল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ রয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের নিবৃত্ত করে সরকারিভাবে নদী ড্রেজিং করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

এখানে লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীকে ক্যাপটেল ড্রেজিং এর পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না। যারা এ ইলিশ চাচ্ছেন তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সেটি আমরা সবাই দেখেছি।

সকাল সাড়ে ৯টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুছাপুর রেগুলেটর, জনতা বাজার, জোরারগঞ্জ ব্রীজ পরিদর্শন করে স্থানীয়দেরকে আপাতত নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার আশ্বাস্ত করেন।

এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, সেনা বাহিনী ব্রিগেঃ জেনারেল মোঃ রিয়াজুর রহমান, পিএসসি জি অধিনায়ক ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিঃ লেঃ কর্নেল রিফাত আনোয়ার, অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোর্তাহীন বিল্লাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমীর ফয়সাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়াছিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুছাপুর ক্লোজার পুনঃনির্মাণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

0

নোয়াখালী টাইমডেস্ক :
ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জবাসী সহ নোয়াখালীর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে নদীভাঙ্গনরোধ থেকে কোম্পানীগঞ্জ কে রক্ষা ও দ্রুত মুছাপুর ক্লোজার পুনঃনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতি-ঢাকা’র আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফরহাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের জনতা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ আগস্ট নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বন্যা রক্ষাকবজ ‘মুছাপুর ক্লোজার’ পানির প্রবল চাপে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আর এতে করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নসহ ফেনীর সোনাগাজীর ৩ টি ইউনিয়ন ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রায় ১০ হাজার পরিবার ঘর-বাড়ি নিয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে। যার ফলে ক্লোজার/টেকসই বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অতিশীঘ্রই কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করছি। ১৪৩ কোটির ক্লোজার-ব্রিজ ভেঙে যাবার পেছনে কি শুধুই বন্যার পানি, নাকি আরো কিছু আছে তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর জন্য ইতিমধ্যে তা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও রূপ নেয়। দূরদূরান্তের অসংখ্য মানুষের এখানে আগমনের কারণে বর্তমানে এর বাণিজ্যিক গুরুত্বও রয়েছে। সব বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হোক।

এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতি-ঢাকা’র সিনিয়র সহ সভাপতি এ জেড এম এনামুল হক, মানববন্ধন কমিটির আহবায়ক নুরুল আফসার মিয়া, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম ফয়সাল, সহ সভাপতি আবদুল হাই, সহ সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ বাবু, নেসার উদ্দিন স্বপন, হোয়াইটহোম ইলেকট্রনিক্স এর কর্ণধার আশ্রাফ মামুন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলো উই ফর ইউ, বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী সমবায় সমিতি, নোয়াখালী জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ সরকারি তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্র পরিষদ নোয়াখালী, চর এলাহি সচেতন নাগরিক কমিটি, চর এলাহী প্রবাসী ইউনিট, হিউম্যান ফি সার্ভিস সেন্টার।

ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স চেয়ারম্যান’র সাথে মুছাপুর নদী ভাঙন নিয়ে  সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আজগর আলী

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লি:এর চেয়ারম্যান, রিয়েল এস্টেট সেক্টরের পুরোধাব্যক্তিত্ব, মেট্রো-গ্রুপের চেয়ারম্যান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য আগামী দিনের কর্ণধার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম  সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. এর সাবেক এভিপি (এস্টেট অ্যান্ড লিগ্যাল) মো. আজগর আলী।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি. প্রধান কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করনে ।

কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর নদী ভাঙনরোধে করনীয় ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মো: আজগর আলী জানান, কোম্পানীগঞ্জের গণ মানুষের এখন বড় সমস্যা হচ্ছে  নদী ভাঙন। দিন দিন রাষ্ট্রের মানচিত্র থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছোট হয়ে আসছে। এটি রোধ করতে না পারলে অল্প  কিছু  সময়ের মধ্যে হাজার হাজার বাড়ী ঘর, কৃষি জমি, মৎস্য খামার, রাস্তা ঘাট, সরকারি ও ধর্মীয় স্থাপনা বিলিন হয়ে যাবে। ফলে গণ মানুষের দাবী এখন নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া। এ নিয়ে  মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম’র সাথে  নদী ভাঙন রোধে আলোচনা হয়েছে। ফখরুল ইসলাম দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

কোম্পানীগঞ্জে নারীর অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী: প্রতিবাদে মানববন্ধন

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ৯ নং ওয়ার্ডে মা ও মেয়ে দুই স্থানীয় নারীর অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ এবং ইউপি সদস্যসহ তাদের পরিবারে লোকজনের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ আগষ্ট ) ২টায় উপজেলার মুছাপুর ৯ ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা আলা উদ্দীন ও মাঈন উদ্দিন মেম্বার এলাকায় নারী পুরুষ সকল বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন এলাকাবাসী।

প্ল্যাকার্ডে যা লিখা ছিলো ‘মা -মেয়ে পতিতা, ‘ দিপু হলো মূল হোতা’ ‘এলাকা থেকে সুরমা( সুমি)- নিপু’র অপসারণ চাই’। আলা উদ্দীন জিকু ও মাঈন উদ্দিন মেম্বারসহ সকল নারী পুরুষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর’ সেক্স ধারণকারী দু:চরিত্র মা -মেয়ের পতিতাবৃত্তি বন্ধ কর ‘ এলাকাবাসীর ঘোষণা এ সমাজে মা- মেয়ের পতিতাবৃত্তি চলবেনা।খদ্দের হোতা দিপুর বিচার চাই।

মানববন্ধনে স্থানীয় ঈমাম, শিক্ষক, সমাজ প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মাববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শারমিন আক্তার নিপু (২৪) দির্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত। তার এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী সহ স্থানীয়রা।

অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের হোতা শারমিন আক্তার নিপু টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে গোপন ক্যামেরায় তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে শুরু করে ব্ল্যাকমেইল। লোকলজ্জার ভয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে বাধ্য হয় । এভাবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আবার অনেকেই অভিযোগ করেন নিপু বিয়ে করে স্বামীকে ডিপোজ দিয়ে পরে ছেলেদের কাছ থেকে কাবিনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেক ছেলেকে সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে।

এদিকে সম্প্রতি বেশকিছুদিন ধরে নিপুর অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে ওমান প্রবাসী আবুল বাসার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় । এটিকে কেন্দ্র করে মুছাপুর ৯ ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দীন (মেম্বার) (৪৬) বিএনপি নেতা আলা উদ্দীন জিকো( ৫৬) তার ছোট বোন বিবি কুলছুম ঝুলি (৩৬) ফাতেমা আক্তার শিল্পী( ২৪) লাকী (৪৫) শিল্পী স্বামী লিংকন, শিরি( ৩৮) তমা( ২০), নিরব (১৬) এসব লোকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে শারমিন আক্তার নিপু ও তার সহযোগী দিপুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান বক্তারা।
এসময় মানববন্ধনে শিল্পী নামের এক নারী বলেন, সুমি – নিপু দুই জনে স্বামী পরিত্যক্ত নারী। তারা দুই জন মা, মেয়ে। তারা আমার একই বাড়ীর। এরা মা মেয়ে এক খাটে শুয়ে দির্ঘ দিন পতিতা ব্যবসা করে। নিপু নামের মেয়েটা ২০ বৎসর বয়সে ৫টি বিয়ে করেছে। একটা স্বামীও তার সংসারে নেই। তার মায়ের তিন বিয়ে হয়েছে। যাদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই তাদের সাথে সহবাস করতেছে। মা মেয়ে সারা রাত ফোন সেক্স, রিয়াল সেক্স করে যুবকদেরকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার ২৮ বছর বয়সে এমন ঘটনা দেখি নাই। মা মেয়ে একই খাটে কি করে নষ্টামি করতে পারে ?আমি আমার বাবার ভিটেতে থাকি এখন তাদের কারনে ইজ্জত সুরক্ষায় হুমকির মুখে । ঘুমাতে পারিনা তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে। প্রতিবাদ করলে খদ্দের মাধ্যমে মামলা হামলার হুমিকি দিয়ে হয়রানি করে।

নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, নিপু আমার সম্পর্কে চাচাতো বোন মেয়েটার চরিত্রহীন কারনে আমার চাচা নিপুকে তার মেয়ে বলে পরিচয় দেননা। তিনি তার মেয়ে অস্বীকার করেন।

সমাজ কমিটির সভাপতি এনায়েত উল্যাহ বলেন, মা মেয়ে এই সমাজের যুব সমাজকে তারা নষ্ট করছে। যুব সমাজকে ধ্বংস করতেছে, আমরা যুব সমাজকে তাদের হাত থেকে বাচাঁতে চাই, এই এলাকার মাঈন উদ্দিন মেম্বার প্রতিবাদ করায় তাকেসহ তাদের পরিবারের নারী পুরুষ সবাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও এই সমাজ থেকে মা মেয়ের পতিতা বন্ধ করার জন্য।

শিক্ষক আবুল বাসার বলেন, আমার বলতেও লজ্জা লাগে আমরা দোকান পাটে সর্বত্র শুনি সুরমা আক্তার সুমি ও তার মেয়ে নিপু পতিতাবৃত্তি করে। মেয়েটা ওমান প্রবাসী বিবাহিত আবুল বাসার নামে এক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এটি বন্ধ করা দরকার।

স্থানীয় ৮৫ বৎসরে আবদুল মোতালেব নামের এক বৃদ্ধ বলেন ,আমার এ সমাজে সবচেয়ে বেশি বয়স, আমি মিথ্যা কথা বলার কিছুই নেই, শুনেছি মেয়েটা পুরুষ ছাড়া থাকতে পারেনা। এ বয়সে তার ৭ বিয়ে হয়েছে। সমাজ থেকে তাদেরকে তাড়ানো দরকার।

মমিনুল হক নামের প্রবীণ এক মুরব্বি বলেন, এরা মা, মেয়ে দেহ ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আলা উদ্দীন মেম্বারসহ সমাজের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।আমরা এই মানববন্ধন থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যহার’র দাবী জানাচ্ছি ।

স্থানীয় আলা উদ্দীন মেম্বার জানান, এরা সমাজে প্রতিনিয়ত অনৈতিক ও অপকর্ম করে থাকে। নিপু নামের মেয়েটা এ বয়সে ৭ বিয়ে করছে। বর্তমানে স্বামী পরিত্যক্ত। তার অসামাজিক কার্যকলাপে সমাজের যুব সমাজ অতিষ্ট। আমার ছোট বোন’র স্বামী আবুল বাসারকে মোবাইলে ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এতে আমার বোন প্রতিবাদ করার এক পর্যায়ে কথা কাটা কাটি হয়। এর জের ধরে খদ্দরদের সহযোগিতায় আমার বড় ভাই আলা উদ্দীন জিকো ও বাড়ীর আশ পাশের মহিলাসহ আমাদের পরিবারে ৮ সদস্যকে আসামী করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এলাকার মানুষ এসমাজে তাদেরকে দেখতে চাইনা বিদায় মানববন্ধন করছে।

আলা উদ্দীন জিকো বলেন, আমি রাজনীতি করি সমাজে আমাদের পরিবারের একটা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে পরিবারের নারী পুরুষ সকলকে আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে।

এব্যাপারে দিপু বলেন, একটি গোষ্ঠী সমাজে একটি অসহায় নারীকে জুলুম, নির্যাতন করছে আমি প্রতিবাদ ও সহযোগিতা কারায় আমাকে খদ্দর বানিয়ে অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতে স্মরণাপন্ন হবো।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত শারমিন আক্তার নিপু বলেন, তারা প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুৎসিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি তাদের ভগ্নিপতি ওমান প্রবাসী আবুল বাশার’র সাথে ২০১৯ সালে মোবাইলে আমার বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে সে আমার রেজিষ্টিকৃত স্বামী। আবুল বাশারের দুই সংসার এক সংসার স্ত্রী আমি।অপর স্ত্রী আমার মামলার বিবাদী বিবি কুলছুম ঝুলি। বিদেশে সে দোকান দিবে এমন কথা বলে আমার কাছ থেকে আমার স্বামী আবুল বাশার ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ধার নিয়েছে । আমি কোন টাকা নি নাই। আসামীরা আমাকে অপবাদ দিয়ে আমাকে ঘরে এসে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে। অপর দিকে নিপু ৭ বিয়ের কথা ও অসামাজিক কার্যকলাপ অস্বীকার করলেও তিন বিয়ের কথা নিশ্চিত করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে গায়েবি পোষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

0

কেম্পনীগঞ্জ প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির অন্যতম সদস্য শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গায়েবি পোস্টার ছাপিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যার ঘটনায় রাতের অন্ধকারে ওই পোস্টারিং করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বসুরহাট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে আরডি শপিং কমপ্লেক্সে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল।

এতে বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে হত্যা করেছেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপি অন্যতম সদস্য শিল্পপতি ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে পোস্টারিং করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিহত আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইমাম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কে বা কারা এ ধরণের পোস্টারিং করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই। আমরা এ ষড়যন্ত্রের বিচার চাই।’

এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আবদুল মতিন তোতা হত্যায় উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে এলাকায় পোস্টারিং করা হয়। এতে দলের নেতাদের ছবির পাশাপাশি বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের ফাঁসি লাগানো বিকৃত ছবি ছাপানো হয়। পরে পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলেন বিএনপি কর্মীরা।

এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন, যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজনসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম ঢাকার মেট্রো হোমস লিমিটেড এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

এরমধ্যে দূর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা (৬৫) গত ৩০ আগস্ট ঢাকা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এরআগে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে চরএলাহী বাজারে তাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার)  নিহত তোতার ছেলে ইসমাইল বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গায়েবি পোস্টারিংয়ের বিষয়ে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

0

এএইচএম মান্নান মুন্না: ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ৭ নং ওয়ার্ড পুরো গ্রাম বিলীন হওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার। তীব্র ভাঙ্গনে আজকে যে বাড়িঘর, গাছপালা স্থাপনা দেখা যাচ্ছে সেটি আগামী কাল গেলে দেখা মিলছে না এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১’শ বছর পুরনো বাড়ী উত্তাল ডাকাতীয়া নদীর আগ্রাসী ভাঙনে সেই মুছাপুর ৭নং ওয়ার্ডের শত শত বাড়ি, সহস্রাধিক ঘর বাড়ী ও রাস্তাঘাট, মসজিদ,পারিবারিক কবরাস্তান মক্তব,জনতা বাজার দোকান- পাট বিলীন হয়ে গেছে।

অনেকের মা বাবা, স্বজনহারা মানুষগুলির কবর দেয়া হয়েছিল বসতভিটার পাশে। এখন নিজের পরিবার ও ঘরবাড়ি সরিয়ে নিলেও নিতে পারছেন না স্বজনদের কবরগুলি।অনেকের মা বাবার শেষ স্মৃতি হিসেবে থাকা সেই কবরটি নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে, চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে চোখের পানি ছল ছল করলেও বুকের মাঝে কান্না ধরে রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই। সহায়সম্বল হারিয়ে কেউ রাস্তার পাশে কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এভাবে নদী ভাঙ্গায় ভুক্তভোগীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

শত শত হেক্টর রোপা আমন ধান ক্ষেত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কৃষকের মাথায় হাত রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দুশ্চিন্তায় যাচ্ছে তাদের দিন রাত।

অপর দিকে মুছাপুর রেগুলেটর যাওয়ার প্রধান যে সড়ক সেটিও আজ কালের মধ্যে ভেঙে যাওয়ার পথে। বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে সারি সারি ঝাউগাছ বাগানটিও আজ হুমকির মুখে।

২০০৯ সালে মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণ করার পর মুছাপুর সী -বিচ ছিল সরকার অঘোষিত একটি পর্যটন কেন্দ্র।রেগুলেটর এলাকাটা অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সব বয়সী মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে বিনোদনের জন্য মুছাপুর সী-বিচ দুই ঈদে হাজার হাজার মানুষ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতো। সবে মাত্রএই এলাকার মানুষের সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছিলো, খুলছিলো ভাগ্যের চাকা, সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মক্ষেত্র। সর্বোপরি বলা যায়, হয়ে উঠেছে সী- বিচ বাসীর জন্য একটা আশীর্বাদ। রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়াতে তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন দুঃস্বপ্ন আর অভিশাপ।

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :: দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা। এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ। গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।

শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি। কোথাও বা তার একটু নিচে।

ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরেপানি এখনো থৈ থৈ করছে। ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা। শিশু, বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছিপানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত রয়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। আশপাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও একই অবস্থা বলেজানান স্থানীয় বাসিন্দা নুরনবী।

বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা অনেক কষ্টে আছেন। এখানকার কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।বাকিরা হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল রেখে যেতে পারছেন না। এমন অবস্থায় ঘরেও থাকতে পারছেন না, আশ্রয়কেন্দ্রেওযেতে পারছেন না। সবার ঘরের মেঝে ভেঙে গেছে। পানি নামলে তাদের যেন দ্রুত পুনর্বাসন করা হয়। অন্যথায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ছাড়া উপায় থাকবে না।

বাড়ির ষাটোর্ধ্ব বয়সী নুরনবী বলেন, গত এক সপ্তাহ ঘরেবাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি। পানি প্রতিদিন আধা ইঞ্চি করে নামলেও এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতাম। আমার ঘরে সাতজন মানুষ। ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতেও একই অবস্থা। আপাতত অন্য কোথাও গিয়ে থাকার ব্যবস্থা নেই। আরেক বাসিন্দা মো. হারুন বলেন, আমার রান্নাঘর ডুবে চুলা ভেঙে গেছে। পানি উঠার তিনদিন পর টয়লেটও ভেঙে গেছে। এমন দুর্দশায় কোনদিন পড়িনি। পিচ্ছিল কাদামাটি, আর খাটের ওপর আরেকটা চৌকি দয়ে রাতে কোনো রকম ঘুমাই।পুরো ঘরে কাদামাটি জমে থাকায় ইট-কাঠ বিছিয়ে কোনো রকম চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে আজ ১৫ দিন পানিবন্দি।আমরা যেভাবে আছি, এভাবে মানুষ বসবাস করতে পারে না। আমরা কিছু খাল পরিষ্কার করেছি। পানি ধীরে ধীরে নামছে।মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে, তাতে পানি বেড়ে যাচ্ছে। তবে সব জায়গায় এখনো আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে।

‘খাবার জোগাড় করতে এখন অনেক কষ্ট। টাকা তো নাই, ঘর ঠিক করব কীভাবে। ঘর ঠিক করতে দু’তিন লাখ টাকা লাগবে।আমাদের শীঘ্র্রই পুনর্বাসনে সরকারের সহযোগিতা দরকার।

শুধু সোনাইমুড়ী নয়, বন্যায় একই পরিস্থিতি জেলার চাটখিল ও সেনবাগ উপজেলায়ও। পানি না নামায় গত কয়েকদিনের দুর্ভোগে নাকাল বানভাসিদের জীবন।

চাটখিল উপজেলার রাজারামঘোষ গ্রামের বাসিন্দা তাজুলইসলাম বলেন, কবে ভালো করে রান্না করেছি জানি না। খাটের ওপর আরেকটি চৌকি দিয়ে ঘুমাইছি সাতদিন। এখন ঘরের মেঝে থেকে পানি নামছে।

কাদামাটিতে হাঁটায় বাচ্চাদের পায়ে ক্ষত হয়ে গেছে। পানিবাহিত রোগবালাইও বাড়ছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বলেছেন, ফেনীতে দ্রুত পানি এসে দ্রুত পানি নামলেও নোয়াখালীতে পানি এসেছে ধীরে। এখন যাচ্ছেও ধীরে। একটা ইউনিয়নে পানিবন্দি প্রায় হাজার পরিবার থাকলেও পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা নেই।

সোনাইমুড়ী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী রুহুল হোসেন বলেন, মানুষ দু’তিনদিন পানিবন্দি থাকলে শুকনোখাবার বা আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে সহায়তা করা যায়। কিন্তু দিনের পরদিন সহযোগিতা করা কঠিন।এখনো বন্যার পানি নামছে না।অনেকের বসতঘরে এখনো পানি, রান্নার চুলাও জ্বলছে না। কেউ কেউ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সেনবাগ উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পুসাসের সদস্য হাসান সজীববলেন, বন্যার শুরু থেকে আমরা ত্রাণ বিতরণ করছি। এলাকার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না।অনেকের চুলায় আগুন জ্বলছে না।বন্যায় সব তলিয়ে যাওয়ায় অনেক সামর্থ্যবান ও মধ্যবিত্ত পরিবারও সহায়তা চাইছে। কেউ কেউ ঘরের মায়া কিংবা চোর-ডাকাতের ভয়ে আশ্রকন্দ্রে যাচ্ছেন না।

পানি না নামা পর্যন্ত আমাদের এই অঞ্চলের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলায় এখনো প্রায় ১৪লাখ মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন এক লাখ ৩৮হাজার মানুষ।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা কিছু খাল পরিষ্কার করেছি। পানি ধীরে ধীরে নামছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে, তাতে পানি ফের বাড়ছে। তবে সব জায়গায় এখনো আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে। পানি নেমে গেলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, শুরুতে উপজেলায় পানিবন্দি ছিল ৫০ হাজার, এখন সেটি ২০হাজারে নেমেছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছিল প্রায় ২০০টি, এখন তা কমে ১০০-এর নিচে।

আমরা এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ওপর মহল থেকে সহায়তা পাইনি।তবে পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি হচ্ছে, চিঠি এলে পাঠিয়ে দেব।পানিবন্দি অবস্থার জন্য বিভিন্ন খাল ও নদী দখলকে দায়ী করছেন জেলার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

এক্সমল্লিকা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি স্বেচ্ছসেবী সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর দু’একটি জায়গা ছাড়া প্রধান সড়কে পানি নেই।তবে সড়কের দু’পাশেই পানিবন্দি হাজারো মানুষ। গত কয়েকদিন বৃষ্টিও নেই, তবুও পানি নামছে না। আমাদের নদী ও খালগুলো অবৈধভাবে ভরাট এবং দখল হয়ে গেছে। যা পানিপ্রবাহে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগে নোয়াখালী আদালতে মামলা করেছেন বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম মিলন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকাবাল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নোয়াখালী পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামীরা হলেন, শাহাদাত হোসেন, সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী, সোহাগ হাজারী, আবুল খায়ের, হাফিজ উদ্দিন শাহীনসহ ৪৭জন। এছাড়া ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম সেহেল বলেন, ফিরোজ আলম মিলন তার মালিক আর মালিকীয় জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স হুমায়ুন কবির টিম্বার এন্ড স-মিল। ফিরোজ আলম মিলনকে সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা পৌরসভাতে ঢেকে নিয়ে গোরবা ফাÐের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা না দেওয়ায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে লুট পাট করে পৌর শিশু পার্ক সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। বাদীর পক্ষের এই জায়গার ওপর বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে ভাঙচুর লুটপাট করে আর্থিকভাবে ক্ষতি করেন। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

মামলার অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, বাদী ফিরোজ আলম মিলন বসুরহাটের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ২০২১ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আব্দুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে তার স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে, ভাংচুরের আগে কারখানায় রক্ষিত কোটি কোটি টাকা মূল্যের ফার্নিচার তৈরির ১০টি মেশিন, ১টি স’মিল, ১টি জেনারেটর, ২০টি সিলিং ফ্যান, ১০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, সেগুন কাঠ, সেগুন কাঠের রদ্দা, লৌহা কাঠের রদ্দা, গামারি কাঠ, গামারি গাছের পাল্লাসহ তৈরি করা বিভিন্ন আসবাবপত্র পিকাপ ভ্যান ও ট্রাক্টরে করে লুট করে নিয়ে যায়। এতে ২২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ফিরোজ আলম মিলন বলেন, আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা তাৎক্ষণিককভাবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে টেলিফোনে অবগত করি। কিন্তু কেউই আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে পারেনি। কাদের মির্জা, ওবায়দুল কাদের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ছিলো। তখন ভয়ে কেউ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এখন ন্যায়বিচারের আশায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি তাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপরে আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।