Home Blog Page 39

টানা চতুর্থ বার সাংসদ হলেন ওবায়দুল কাদের 

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : : নোয়াখালী -৫ আসনে  (কোম্পানীগঞ্জ -কবিরহাট)  আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ওবায়দুল কাদের টানা চতুর্থ বারের মতো বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ১৩২ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

১৩২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল শেষে ওবায়দুল কাদের (নৌকা) প্রতীক পেয়েছেন ১৮১,২৭৯ ভোট,   জাতীয় পার্টি থেকে  ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ( লাঙ্গল) প্রতীক, ৯,৭০২ভোট,  জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ থেকে  সাংবাদিক মকছুদের রহমান মানিক (মশাল) প্রতিক ২,১৩২, ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) প্রতীক ১,৪৯৩ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতীক ২,১৩২ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লক্ষ  ৪৯ হাজার ৭৭ জন।(কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট  উপজেলার ) সহকারী রিটার্নিং ও নির্বাহী অফিসার  বেসরকারি ভাবে  ওবায়দুল কাদের (নৌকা) প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা করেন। 

এখবর পেয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন।

ওয়াদা করে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গেলে হাশরের দিন বিচার হবে

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ওয়াদা করে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গেলে হাশরের দিন ওয়াদা ভঙ্গের দায়ে বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মির্জা।

শনিবার বিকেলে (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠকের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত লোকজনদের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, আপনারা আমার চোখ, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের চোখ ফাঁকি দিতে পারবেন কিন্তু উপরে যিনি আছেন তার চোখ ফাঁকি দিবেন কিভাবে? আপনারা যেহেতু ওয়াদা দিয়েছেন ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন তাই আমি বলব যারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না হাশরের দিন ওয়াদা ভঙ্গের দায়ে তাদের বিচার হবে।

এই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও সংবিধান রক্ষার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। আপনাদের কাছে অনুরোধ কেন্দ্রে যাবেন, ভোট দেবেন। যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বলে শেষ করা যাবে না। চতুর্দিকে যা দেখবেন সব আওয়ামী লীগের উন্নয়ন। অতীতে কেউ কিছু করেনি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা-মসজিদ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ওবায়দুল কাদের সাহেবের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ক্লোজারের কারণে এই এলাকার নদীভাঙন কমেছে। ৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রসডেমের টেন্ডার কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। তাহলে পুরো কোম্পানীগঞ্জ নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সব ওবায়দুল কাদের সাহেবের অবদান।

কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১১টি ভাতা চালু করেছেন। এমন কেউ নেই যারা ভাতাভোগী না। এবার বয়স্ক মানুষ না পেয়ে বয়স্ক ভাতা ফেরত দিয়েছি। সামনে যদি বয়স হয় তাহলে আমরা তাদের ভাতার আওতায় আনব।

কাদের মির্জা বলেন, আমি জানি একটা বিষয়ে আপনাদের মনে কষ্ট আছে। কিছু এলাকায় গ্যাস না থাকায় মা-বোনদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের গ্যাসের বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বৈশ্বিক কারণে গ্যাসের সংকট। এ সমস্যা দূর হলে প্রথমেই আমাদের এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেবেন।

জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন নেই। আপনারা পেয়ারের পাকিস্তানে চলে যান। আপনাদের নিবন্ধন এবারও দেয়নি। দরকার হলে অন্য দল করেন। যা করেছেন তার জন্য তওবা করেন। ১৯৭১ সালে বাবার সামনে মায়ের ইজ্জত নষ্ট করেছেন। মায়ের সামনে মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছেন। এগুলো রাজনীতি নয়।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা বলেন, তারেক জিয়া হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটপাট করেছে। খাম্বা দিয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ দেয় নাই। সে এখন লন্ডনে বসে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে।

এ সময় রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহির আহমদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (চেয়ার), জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান (মশাল), জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতীক পেয়ে প্রচারণা করছেন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ চার হাজার ৯৭৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৯ হাজার ৬৯৩ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ২৮৪ জন। ১৩২ কেন্দ্রের ৯০০টি ভোটকক্ষে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন তিনি। এর আগে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সপ্তম, নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

ওবায়দুল কাদের ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোশাররফ হোসেন এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছা।

ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে বাড়ীতে-বাড়ীতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তাশিক মির্জা

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন। নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় নোয়াখালী ৫ আসনে বিরাজ করছে আওয়ামী জোটে নির্বাচনি আমেজ। এ আসনে প্রতিবারের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (নৌকা) প্রতীক নিয়ে। তাঁর পক্ষে ভোটারদের সাথে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে গণসংযোগ করছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা’র পুত্র তাশিক মির্জা।

তাশিক মির্জা কোম্পানীগঞ্জে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতে ওবায়দুল কাদের কে (নৌকা) প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

শনিবার সকালে চরকাঁকড়া ইউনিয়নে ভোটারদের বাড়ীতে-বাড়ীতে গিয়ে গণসংযোগ করেন। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন, তাশিক মির্জা ভোটারদের কথা মন দিয়ে শোনেন, সংকট সমাধানের আশ্বাসও দেন।

তাশিক মির্জা ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অতীতেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন ওবায়দুল কাদের । আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন ভোটারদের। বিশেষকরে গ্রামে গ্যাস সংযোগ প্রদানসহ কোম্পানীগঞ্জের সকল সংকট সমাধানের আশ্বাস দেন ওবায়দুল কাদের পক্ষে কাদের মির্জার পুত্র তাশিক মির্জা।

নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাসদ থেকে সাংবাদিক মকছুদের রহমান মানিক (মশাল), জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট থেকে শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) নির্বাচন করছেন।

ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনি ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণা চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একটি পরগাছা- ওবায়দুল কাদের

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একটি পরগাছা, এই পরগাছাকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজনীতি থেকে অস্তিত্বহীন করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। শেখ হাসিনাকে যারা হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।

বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও ডিম পাড়ে । বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপি শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। তাদের এখন লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটাও। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার তারা শেষ করেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয়, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনা আবারও চাই। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই।

বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক জিয়া ২০০৭ সালে পালিয়ে গেছে। সেই তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপিকে চালায়। লন্ডনে বসে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। সে মনে করেছে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলার মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করেছে। তার কথায়ও দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করবে। তারেক ও বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ অসহযোগিতা করবে। অসহযোগ করে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি নামক পরগাছাকে রাজনীতি থেকে হটিয়ে দেবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশ তোমার বাপ-দাদার দেশ নয়। তারেক রহমান বলে বিদ্যুতের, গ্যাসের, পানির বিল বন্ধ করে দেবে। যারা বিল বন্ধ করতে যাবে, তাদের বিদ্যুৎ-গ্যাসের লাইন কেটে দেওয়া হবে। যদি তারা ব্যাংক লেনদেনে সমস্যা করতে চায়, তাহলে ব্যাংক তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দেবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ীর তারেকের কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপিকে যারা অর্থ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাদের অর্থ বন্ধ হয়ে যাবে। অসহযোগের উদ্দেশ্যও ভুয়া। বিএনপির অবরোধ ও হরতাল ভুয়া। রাস্তায় গাড়ি, মানুষ, যানজট লেগেই আছে, এটা নাকি হরতাল-অবরোধ। বিএনপির সবকিছুই ভুয়া।

২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। তারা গাজীপুরে ট্রেনের লাইন কেটে মানুষকে রক্তাক্ত করেছে। এরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানে না, স্বাধীনতা মানে না। একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড মেরেছে।

পথসভায় তিনি আরও বলেন, অক্টোবরের ২৮ তারিখে নয়পল্টনের রাস্ত থেকে পালিয়ে গেল, তাদের এক দফা গেল কোথায়? কোথায় গেল ৫৪ দল? কোথায় গেল ৩২ দফা? বিএনপি হচ্ছে একটি ভুয়া দল।

তিনি বলেন, বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ। নির্বাচনে ১৮৯৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এই প্রার্থীদের খেলা এখনো আছে। সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ লড়াই বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচিয়ে রাখা লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই, এই লড়াই বাংলাদেশের সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াইয়ে সরকারকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে, নৌকাকে বাঁচাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, খেলা হবে দণ্ডিত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ফাইনাল খেলা হবে ৭ তারিখে। সারা বাংলাদেশে সেই খেলায় বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা কোনো বিরোধ সৃষ্টি করবেন না, এখানে কেউ নেতা না, আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মী। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে নির্বাচনী পথসভায় আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী প্রমুখ।

ভোট চেয়ে ওবায়দুল কাদেরের গণসংযোগ

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকার মাঝি ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

উপজেলার শান্তির হাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার, বামনী বাজার ও নতুন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়ে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই নিজ আসন ও নিজ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চান। এসময় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর গত শুক্রবার প্রথম এসেছেন নিজ আসনে। শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি এরপর শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে বিকেলে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বরথেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত করতে পারবে। আর ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি ফাউল করতে গিয়ে লাল কার্ড খেয়ে আউট- ওবায়দুল কাদের

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ২৮ তারিখে ফাউল করতে গিয়ে লাল কার্ড খেয়ে আউট হয়ে গেলো। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভুন্ডুল করে ১/১১ (এক এগার) এর মত একটি অস্থিতিশীল সরকারের ষড়যন্ত্র করছে । গণতন্ত্র, সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কোন ভয় পাবেন না-আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সাহসের সাথে দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে পথসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বলেছিল, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পালাবারও পথ পাবে না। এখন তারা কোথায়? বিএনপিসহ ৩২দল পালিয়ে গেছে। অলিগলিতেও তাদেরকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনে আসেনি, বর্জন করে প্রতিরোধ করবে বলে। অবরোধ, হরতাল, চোরাই গোপ্তা হামলা, পুলিশ-আনসার হত্যা করতে পারে তারা। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এসবই তারা পারে, এরা সবাই ভুয়া…। বিএনপি বলে তাদের হাজার হাজার লোক কারাগারে। তারা পুলিশ মারে, আনসার হত্যা করে, গাড়ীতে আগুন দেয়, ককটেল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তারা জেলে যাবে না কারা জেলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সকলে আচরণবিধি মেনে চলুন, আচরণবিধি না মানলে এবং ফাউল করলে খবর আছে। ধরা খেলে কারও জন্য তদবির করবো না। আমরা নির্বাচন আচরণবিধির ওপর শ্রদ্ধাশীল। আজকে দেখুন আমার গাড়ীতেও জাতীয় পতাকা নেই। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ ও আমিসহ সিলেটে গিয়েছিলেন, জাতীয় পতাকা ছিল না। সিলেট বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে কোন সরকারি কর্মকর্তাও ছিল না।

কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলে, নির্বাচনে বাধা দিলে নিষেধাজ্ঞা দেবে। নির্বাচন এখন কারা বাঁধা দিচ্ছে, কারা আগুন দিচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারছে? ট্রেনে আগুন দিয়ে মা- ছেলেসহ ৪জনকে পুড়িয়ে মেরেছে। এগুলো কি ফৌজদারী অপরাধ নয়। এসব অপরাধে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছে এবং এধরনের অপরাধে তাদের বিচার হতেই হবে। নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে ব্যার্থ হয়ে ওদের দন্ডিত নেতা তারেক বলে, ট্যাক্স দেবে না, সরকারকে ট্যাক্স দিতে নিষেধ করছে জনগণকে। এ নেতার কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে। হাওয়া ভবনের এ অর্থচোরা তারেক কিভাবে জনগণকে বলে ট্যাক্স না দিতে। টেম্স নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা না বলে তারেককে তিনি, সাহস থাকে তো দেশের রাজপথে আসতে বলেন। ২০০৭ সালে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দন্ডিত হয়ে মুচলেকা দিয়ে বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিল। মা-ছেলে দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত দন্ডিত আসামী। এরা হলো বিএনপি নেতা। লুটেরা টাকা পাচারকারীদের বাংলাদেশের জনগণ নেতা কিভাবে মানবে?

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সৈনিক। নাশকতাকারী বা কাউকে ভয় পায় না। একমাত্র আল্লাহকে ভয় করি। আমার কর্মকান্ডে কেউ কোন দুঃখ পেয়ে থাকলে, নিজগুণে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে, তা আমারই ব্যর্থতা। কারণ আমি যেহেতু দলের বড় নেতা। তৈরী থাকুন, ৭ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপি না থাকলে কি হয়েছে, সারা দেশে ১৮শ ৯৬জন ৭ জানুয়ারী খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনাল খেলবে। দেশের জন্য আমাদের দলের নেতারা সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারী এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: ইব্রাহিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য নুরুল করিম জুয়েল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য তাশিক মির্জা, প্রমূখ।

লাঙ্গল হলো মঙ্গলের প্রতীক, আমাকে নির্বাচিত করুন আপনাদের মঙ্গল হবে – ব্যারিস্টার তানভীর

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের কাছে (লাঙ্গল) প্রতিক নিয়ে আপনাদের কাছে ভোট ভীক্ষার জন্য এসেছি। লাঙ্গল হলো মঙ্গলের প্রতীক, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের মঙ্গল হবে। এছাড়াও পল্লী বন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে। আমি আপনাদের সেবা করার জন্য এসেছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় বসুহাট জিরো পয়েন্ট তাঁর নির্বাচনী পথসভায় এই কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, ভোট করার জন্য এসেছি আমি বিক্রি হওয়ার জন্য আসেনি, আমি যেহেতু নির্বাচনে এসেছি আমি কোন দলের নয় আমি আপনাদের সকলের। জাতিয় পার্টি আমাকে লাঙ্গল প্রতীক দিয়েছে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা আসতে বিলম্ভ হওয়ার কারণ আমাদের অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এখানে আসতে হয়েছে আমাদের প্রতিপক্ষ এখানে যারা আছেন উনাদের পথ অনেক মসৃণ আমাদের পথ অনেক কঠিন। অনেকে ভোটে আসতে চান কিন্তু আসতে পারেন না, ভয় পান, যেন ভোট দিলে ভয় ভোট না দিলে কি ভয়!সাধারণ মানুষ এখন মহাবিপদে পড়ে গেছেন কিন্তু মনে রাখবেন ভোট আপনার, আমার সকলের অধিকার। এ ভোট কেউ কেড়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।আপনার ভোট কেউ কেড়ে নেয়ার অধিকারও নেই, আপনার ভোট শুধু মাত্র আপনারই। আমি আপনাদের মাঝে এসেছি ভোট ভিক্ষার জন্য। আপনারা পরিবর্তন চান কিন্তু সাহস করেন না। ৭১’এ স্বাধীনতা করেছেন তখন কিন্তু কিছু ছিলোনা, ছিলো আপনাদের মনোবল।আমি মনোবল নিয়ে এসেছি। আপনারা জাগ্রত হোন। আমি, আপনি পরিবর্তন হলে এ দেশ পরিবর্তন হবে। আপনারা যদি পরিবর্তন করতে না চান, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবেনা। আমি এসেছি আপনাদের পাশে থাকার জন্য।

এসময়ে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক হেকিম মো: শহীদ উল্যাহ, যুগ্ন আহবায়ক আবদুল হালীম বাচ্চু (আমিন), সদস্য সচিব নেজাম উদ্দীন, কবিরহাট উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক আমির হোসোন, বসুরহাট পৌরসভা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব মহিবুল হক নাহিদ, মুছাপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি আব্দুল মালেকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নোয়াখালীতে ৬টি সাংসদীয় আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ

0

এএইচএম মান্নান মুন্না:
নোয়াখালীর ৬টি সংসদীয় আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি স্ব স্ব জনের হাতে তুলে দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আর আমিন (ঈগল), গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম (মাছ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. হারুন-অর-রশিদ (মশাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. শাহ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মমিনুল ইসলাম (মোমবাতি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূঁইয়া (ফুলের মালা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওবায়েদ ফারুক (ডাব) প্রতীক পেয়েছেন।
এদিকে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র মোহা. আতাউর রহমান ভূঁইয়া (কাঁচি), জাসদের নাইমুল আহসান (মশাল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন (ছড়ি), জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম (হাতঘড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।
নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মো. মামুনুর রশীদ কিরন (নৌকা), স্বতন্ত্র মিনহাজ আহমেদ (ট্রাক), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের মহি উদ্দিন (চাকা), জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ (লাঙ্গল), জাসদের জয়নাল আবেদিন (মশাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া (ছড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন (ট্রাক), জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ (লাঙ্গল) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুল আলীম (চেয়ার) প্রতীক পেয়েছেন।
 নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (চেয়ার), জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান (মশাল), জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মুশফিকুর রহমান (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের তারিকুল ইসলাম (ছড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, নোয়াখালীর ৬টি আসনে মোট ৩৭ জনের প্রার্থিতা বৈধতা পায়। পরে আপিলে আরও ৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। ফলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪ জনে। তবে গতকাল রোববার শেষদিনে ১১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এতে জেলার ছয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩ জনে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, তফসিল অনুযায়ী আজ(১৮ নভেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলো। সকলকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে অথবা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজিমুল হায়দারসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে।

চাটখিলে নবাগত ইউএনও এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

0


মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা এর সাথে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা সভাকক্ষে চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল প্রেস ক্লাবের সভাপতি, শোয়েব হোসেন ভুলু, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, মিজানুর রহমান বাবর, চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি, আবু তৈয়ুব, চাটখিল প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক, হাবিবুর রহমান, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, মেহেদী হাসান রুবেল, চাটখিল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, মামুন হোসেন, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কামরুল কানন, চাটখিল মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ইয়াছিন চৌধুরী।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক জসিম মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, স্বপন পাটোয়ারী, মনির হোসেন সহেল, মনির হোসেন, শাহাব উদ্দিন, মহি উদ্দিন বাবু, সাকিব প্রমুখ।
মতবিনিময়ে নবাগত ইউএনও কে স্বাগত জানিয়ে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন দিক সমূহতুলে ধরে এক সাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কোম্পানীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন ।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সাকাল ১২ টায় মহান বিজয় দিবসে উপলক্ষে উপজেলা পনিষদ অডিটোরিয়ামে এ সংবর্ধনা প্রদান দেয়া হয় ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ‘র সভাপতিত্বে, প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের ডিপুটি কমাণ্ডার খিজির হায়াত খান, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, লেখক, সাহিত্যিক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ডিপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আমিন উদ্দীন মানিক, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার জামাল উদ্দীন, কোম্পনীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী, মৎস্য কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলাম সরকার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: তাসলিমা ফেরদৌসী, সহকারী কমিশনার ভূমি পিয়াস চন্দ্র দাস, কৃষি কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা: নুরুল কাউসার খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: যোবায়ের হোসেন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সেক্রেটারি অজিত কুমার রায়, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না, উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী ( জনস্বাস্থ) মাঈন উদ্দিন, উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী (শিক্ষা) মাসুম রানা, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মো: তানিম রহমান। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে উপহার ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।