কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার জেরে প্রকাশ্যে ১ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এসময় আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজন।
শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কেজি স্কুল রোড়ের হাবিবউল্যা চৌধুরীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবু জাহেদ (২২)। তিনি রামপুর ২নং ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদিন সারেং বাড়ীর মিয়াধনের ছেলে। আহতরা হলেন- ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (২০) ও ছাত্রলীগকর্মী রাহেদ। আহতদের মধ্যে রাহেদের অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রামপুর ৩নং ওয়ার্ডের ওয়াতি ভূঁইয়া বাড়ির মৃত এরফানুল হকের ছেলে আবদুল আলিম, সৈয়দ সারেং বাড়ীর মায়দল হকের ছেলে আমির হোসেন (১৮), একই বাড়ীর ওজি উল্যার ছেলে আবদুস সাত্তার প্রকাশ শিপন (২৪), আবদুল ওহাব প্রকাশ রিপন (৩০), আবদুল (৩৮) এবং মুছাপুর ৩নং ওয়ার্ডের শেখ ফরিদের ছেলে শেখ মো. হাসান (১৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে জাহেদ, ফারুক ও রাহেদ কেজি স্কুল রোডের হাবিবউল্যা চৌধুরীরবাড়ি এলাকার একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হৃদয়ের সঙ্গে জাহেদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে হৃদয় চা দোকান থেকে বের হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হৃদয়, অপু, আমির হোসেনসহ কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য জাহেদ, ফারুক ও রাহেদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে আবু জাহেদ এবং রাহেদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
হামলাকারী হৃদয়ের ভাই আমির হোসেন পুলিশ হেফাজতে জানায়, তার ভাই হৃদয় ও নিহত জাহেদ লকডাউন চলাকালে ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে দেশে আসে। সেখানে গাড়ি ভাড়া হৃদয় দিয়ে দেয় পরবর্তিতে এলাকায় নিহত জাহিদের কাছে গাড়ি ভাড়ার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় হৃদয় জাহিদের উপর হামলা চালায়।
নিহতের মামা রেজাউল হক সোহাগ জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ওয়ার্ডের হৃদয় গ্রুপের সদস্য আমির হোসেন, নূর হোসেন, রাসেদ, হৃদয়, অপুসহ ১৫ থেকে ২০জন প্রকাশ্যে পিটিয়ে জাহেদকে হত্যা করে। এছাড়াও আগে থেকে হামলাকারী এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু লাঠি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। মূলহোতাদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যার ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।