কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, বাঁশের লাঠি তৈয়ার কর, ভোটচোর খতম কর। বুধবার বিকেল ৩টায় কর্মীসমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
কর্মী সমাবেশে তিনি আরও বলেন, এলাকায় অতীতে যারা উন্নয়ন করেছেন এবং যারা ভবিষ্যতে উন্নয়ন করবেন তাকে ভোট দিবেন। আমি সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বলছি। নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, যড়যন্ত্রের মিটিং চলছে। গত ১২তারিখ আমাদের এলাকার সন্তান, আমার ক্লাসমেট নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জে আসার কথা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারনে তিনি আসেননি। এটিও চক্রান্তের একটি অংশ। আজকে প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে। নোয়াখালীর ডিসি এমপি একরাম চৌধুরীর মাস্ক লাগিয়ে চেয়ারে বসে, তাকে নিরপেক্ষ বলা যায়? তাকে আমাদের অভিভাবক বলা যায়? এটি একটি হাস্যকর ব্যাপার। ডিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শরম যদি লাগেগো, ঘোমটা দিয়ে হাঁটোগো। উনার অধীনে নিরপেক্ষ ভোট হওয়ার সম্ভাবনা কি আছে? তবে আপনারা ভোটাররা ঠিক থাকলে আমি খোদাকে হাজির-নাজির করে বলছি এ নির্বাচনে আমি যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিরোধিতা করি তাহলে ভোটের দিন আল্লাহ আমাকে নিয়ে যাক। এ প্রার্থনা আমি আল্লাহর কাছে করি। সাথে সাথে আমি স্পষ্টভাষায় বলে যেতে চাই, এখানে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। নোয়াখালীর একরাম, ফেনীর নিজাম হাজারী এ নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্র পাঠিয়েছে। গতকাল সিরাজপুরে আগুন লাগিয়ে একটি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এর আগেও বলেছি মানুষ মেরে, ঘরে আগুন লাগিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করবে, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত, নোয়াখালীর ডিসি-এসপি ও জেলা নির্বাচন কমিশনারের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, ১৬তারিখে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, কোন মায়ের বুক যদি খালি হয় এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্নভাবে তাদেরকে নিতে হবে।
এর আগে সকাল ৮টায় তার নির্বাচনী অফিসে লাইভ ভিডিওতে তিনি বলেন, আমাদের পাতি নেতারা পর্যন্ত আমেরিকায় গিয়ে গাড়ি কিনেছে, বাড়ি করেছে। সেখানে গিয়ে মাদক, নারী ও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। সামান্য বাংলা মদ খেলে আমরা তাদের (মাদকসেবী) পিটাই, জেলে দিই। আর এমপিদের মদের আসরে গিয়ে পুলিশ স্যালুট মারে। পাহারা দেয়।
নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি মানুষের শতভাগ সাড়া পাচ্ছি। ভোটে জয়ী হব ইনশাআল্লাহ। এখন আমার চেষ্টা হবে যেন কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, আমার জনগণের রক্ত ঝরাতে না পারে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপের হিরোরা মাঠে নামতে পারেন না, ফেনীতে পেশিশক্তি দেখিয়ে কমিশনাররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় কেন? কেন তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের মুখে ফেলেন? কারণ তাদের জনপ্রিয়তা নেই। তাই তারা শক্তি দেখান।