কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাটে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির’র (২৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তাঁর জায়নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় নিহত সাংবাদিককে একনজর দেখার জন্য দুরদূরান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে।
পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের জানাজা ও দাফন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশ তৎপর ছিল।
উল্লেখ্য শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংবাদ সংগ্রহকালে গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠালে স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে ভর্তি করে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় মুজাক্কির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আজগর আলী মাদ্রাসা সংলগ্ন হাজী বাদশা মিয়া মিস্ত্রী বাড়ীর মাওলানা নোয়াব আলী মাষ্টারের ছেলে এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি, অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তাবাজার ডটকম’র নোয়াখালী প্রতিনিধি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ছিল।