সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে নোয়াখালীর ৪ গ্রামের মানুষ

Date:

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের মানুষ। সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন তারা।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুই উপজেলার নয়টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো— নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিনারায়ণপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

যেসব মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হলো— বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্তবাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ, নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারীঘর, হরিনারায়ণপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ।

জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানীর (র.) মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিনারায়ণপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে থাকেন।

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাসু মিয়া বলেন, আমার বাড়িতে দরবার শরীফ রয়েছে। প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করি। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা রেখেছি।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের ঈদের জামাতের ইমাম হাফেজ মোবারক হোসেন রাকিব বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লির উপস্থিতি বেশি হয়েছে।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের সুমন বলেন, আমার দাদারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করলাম। এটাই আমাদের আনন্দ। আজ আমরা খুব খুশি।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম  বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নামাজ পড়াকে কেন্দ্রকে করে সেখানে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুসল্লিরা নিরাপদে ঈদের জামাত শেষ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মেডিকেল ছাত্রী মেহেনাজের পড়া লেখার দায়িত্ব নিলেন কলেজ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে...

ডেকোরেশন শ্রমিকের জমানো টাকায় ইফতার করলো ১২শ’ রোজাদার

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর চাটখিলে...

চাটখিলে মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশানের মতবিনিময় ও ইফতার

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ মাদ্রাসা...

কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত অভিযোগের ৫ দিনেও নেই কোন ব্যবস্থা

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:: মোটর সাইকেল না...