‘বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’ একরামের ভিডিও ভাইরাল

Date:

সূবর্ণচর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: ‘বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই, জয় বাংলা বলবেন’— নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর এমন মন্তব্য সমেত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর জেরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ কখনো চিন্তাই করা যায় না। যারা বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করে, তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না।

তিনি বলেন, সাংসদ একরামুলের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, তিনি প্রকারান্তরে স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থক। এজন্য তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা শনিবার দুপুরে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের সময় ধারণ করা বলে জানা গেছে।  এ সময় উপস্থিতরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেন। এর বিপরীতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ৩০০ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও নগদ ৪০ হাজার অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন,  একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হয়েছে। আমি বলেছি, ট্রাস্ট একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জয় বাংলা বলবেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলার দরকার নেই। এ ট্রাস্টে সব দলের লোক আছে। সবাইতো জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না। কেননা জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় স্লোগান, জয় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় স্লোগান নয়।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খানকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...