লক্ষীপুর সংবাদদাতা :: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামের মানুষ। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও তালিমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন শতাধিক মুসল্লি। এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলার ৪টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে। তারা পৃথকভাবে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন। সকাল সাড়ে ৭টায় রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ১০টায় পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন ও খোরশেদ আলম জানান, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা রাখেন। আবার সৌদির সঙ্গে মিল রেখেই রোজা ভাঙেন। পৃথিবীর কোথাও একবার চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে। এতে তারা সারাবিশ্বের সঙ্গে মিল রেখেই মাজহাব অনুযায়ী ঈদ পালন করছেন। ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত করার ফতোয়া রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানুষ সৌদি আরবের এক দিন পর ঈদ করতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন।