Home Blog Page 24

মুছাপুর ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে গতিপথ পরিবর্তনে ড্রেজিং কাজ শুরু

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: মুছাপুর ডাকাতিয়া নদী ভাঙ্গন রোধে নদী খননের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙ্গান কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী উপস্থিত থেকে এ খনন কাজ উদ্বোধন করেন।

মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরের নদী ভাঙন রোধে ড্রেজিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে। এলাকাবাসী আশা করছে খননের ফলে নদীর স্রোত গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং নদীর মাঝখানে জোয়ারের স্রোত প্রবাহমান থাকলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব হবে।

এর আগে প্রচন্ড পানির চাপে মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় জোয়ার ভাটার প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হয়। যার ফলে গত ২৬আগস্টের পর থেকে বিলীন হয়েছে ওই জনপদের বড় একটি অংশ। ড্রেজিং শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে, তবে ড্রেজিং পরবর্তী আবারও রেগুলেটর স্থাপন করে স্থায়ী সমাধানের দাবি এলাকাবাসির।

জানা গেছে, গত ২৬আগস্ট ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর। তার আগে বন্যার পানি দ্রুত নামার জন্য খুলে দেওয়া হয় রেগুলেটরের ২৩টি ভেন্ট (গেইট)। রেগুলেটরটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় পর থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। জোয়ার ভাটার প্রভাবে ভাঙতে শুরু কওে লোকালয়, ঘর-বাড়ি, মসজিদ, দোকান-পাট ও ফসলি জমি।

এখনও প্রতিনিয়ত বিলিন হচ্ছে আরও অনেক নতুন নতুন জায়গা। পানির স্রোতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ফেনীর দাগনভুঁইয়া, সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলার মানুষের মাঝে দেখা দেয় আতঙ্ক।

পরবর্তীতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পানি উন্নয়ন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নদী ভাঙন রোধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুওে ছোট ফেনী নদীর জনতা বাজার অংশে ড্রেজিং কাজের শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে স্বস্তি ফিরেছে এ নদী তীরবর্তী ৪টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের মাঝে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী স্বপন ও মিজান চৌধুরী জানান, এ ড্রেজিং এর কাজের মাধ্যমে নদীর পানির প্রবাহ পরিবর্তনের পাশাপাশি মাঝ নদী দিয়ে পানি নামা শুরু করলে দুই পাশের আরও কয়েক লাখ মানুষের বসত ঘর রক্ষা হবে। একই সাথে ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পুনঃরায় রেগুলেটর স্থাপনের দাবি তাদের। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এ জনপদের হাজারো পরিবার তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এখনও থেমে নেই ভাঙন। যাদের ঘরবাড়ি এখনো টিকে আছে তারাও আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী জানান, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখেই এই ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীর পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং ভাঙনের পরিমান কমে যাবে বলে আশা এ কর্মকর্তার।

তিনি বলেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পার মাধ্যমে ভাঙনের স্থায়ী সমাধান করার পরিকল্পনা রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। প্রাথমিকভাবে আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ে ড্রেজিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে। এখানে ড্রেজিং মেশিন চলতে যে তেল খরচ হবে শুধু মাত্র সে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

হাসিনা-কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

0

টাইমস ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্র‍াইব্যুনালের (পুরাতন) মূল ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় পাশের একটি ভবনে অস্থায়ীভাবে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১১টায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারসহ অপর দুই বিচারক একত্রে ট্রাইব্যুনালে আসেন।

কার্যক্রম শুরুর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। 

এরপর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদেশ দেন। আরেক মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। 

এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। 

হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে গত ১৪ অক্টোবর গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। 

কোম্পানীগঞ্জে এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পরাগ রায়(১৮)নামে এক এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বসুরহাট সরকারী মুজিব কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে দ্বীতিয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত পরাগ রায় খুলনার পাইকগাছার পদ্যত রায়ের ছেলে। সে তার মা প্রশিকা এনজিওর কর্মকরত রিতা বিশ্বাসের সাথে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পরাগ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভাবে হতাশায় ভুগছিলেন।পরিবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও করান।মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সে তার রুমের বৈদ্যুতিক পাখার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

জানা যায়, পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।  

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাতিয়া চৌধুরী চিরবিদায়

0

নোয়াখালী টাইমস ডেস্ক :: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৮২ বছর বয়সী মতিয়া চৌধুরী বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরী মারা যান। এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু যেভাবে শুরু। মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী এক নাম। ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্ম নেওয়া এই নেতার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি শেরপুর-২ আসনের বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য।

ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, লবি ও আহতদের চিকিৎসায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে যোগ দেন মতিয়া। ১৯৭১ সালে তিনি দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন অগ্নিকন্যাখ্যাত এই নেতা। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।

মতিয়া চৌধুরীর পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।

আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ফল প্রকাশ হলো মেয়েটা নেই !

0

সরাবাংলা ডেস্ক :: বাবা-মা বাধা দেবেন এজন্য বাসায় না জানিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়েছিলেন নাফিসা আক্তার মারওয়া। শেখ হাসিনার পতনের শেষ দিনগুলোতে রাজপথে সম্মুখভাগে থেকে আন্দোলন করেছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থানা রোডে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন এ শিক্ষার্থী।

এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে নাফিসা জিপিএ-৪.২৫ পেয়ে পাস করেছেন। মেয়ের ফল জানার পর অঝোরে কাঁদছেন চা দোকানি বাবা আবুল হোসেন। 

তিনি বলেন, মেয়ের যাতে লেখাপড়া নষ্ট না হয়, সে জন্য রান্না করতে দিতাম না। চায়ের দোকান দিয়ে যা দুই টাকা উপার্জন করেছি, মারওয়ার লেখাপড়ায় দিয়েছি। আজ ওর ফল প্রকাশ হলো, কিন্তু মেয়েটা আমার নেই।

সতেরো বছরের নাফিসা হোসেন মারওয়া। চলতি বছর টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। 

শহীদ রায়হানের মা বললেন ছেলেই দুনিয়ায় নাই, তার পাস দিয়ে এখন কী হবে?

0

সদর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন নোয়াখালী কৃতি সন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রায়হান। এ খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ।ছেলেই দুনিয়ায় নাই, তার পাস দিয়ে এখন কী হবে? আমি চাই দেশের আর কোনো মায়ের বুক যাতে এভাবে খালি না হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এমন কথা বলছেন আর অঝোর ধারায় কাঁদছেন তার মা আমেনা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ২.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন রায়হান। নিহত রায়হান উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ির মোজাম্মেল হোসেনের একমাত্র ছেলে। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগদান করে পুলিশের গুলিতে মারা যান রায়হান। পরদিন দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমি বাড্ডায় একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকরি করি। রায়হান গুলশান কমার্স কলেজে পড়ালেখা করতো এবং পাশের একটি মেসে ভাড়া থাকতো। তাকে নিয়ে আমার অনকে স্বপ্ন ছিল। যা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
রায়হানের মা আমেনা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেই দুনিয়ায় নাই, তার পাস দিয়ে এখন কী হবে? আমি চাই দেশের আর কোনো মায়ের বুক যাতে এভাবে খালি না হয়। যারা আমার ফুলের মতো নিষ্পাপ ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’

বোন উর্মি আক্তার বলেন, ‘ভাইয়ের জন্য দুইমাস ধরে কান্না করে আমাদের চোখে আর পানি নেই। নতুন করে তার পাসের খবর আমাদের কাঁদাচ্ছে। একমাত্র ভাইকে হারিয়ে আমার বাবা-মা পাগলের মতো হয়ে গেছে। আমার ভাই বেঁচে থাকলে আজকে সবাই অনেক খুশি হতো।’

রায়হানের সহপাঠী মুশফিকুর রহমান সিফাত। তিনি বলেন, ‘রায়হান অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল। আন্দোলনে গিয়ে সে আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে। তার আরও ভালো ফলাফল করার কথা ছিল। আমরা তাকে অনেক মিস করি।

কোম্পানীগঞ্জে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৩

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুরে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চান্দের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার সকালে তাদের নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বসুরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ উল্যাহর ছেলে মোঃ তসলিম উদ্দিন সায়মন(২২), একই ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাসনাত মাহমুদ(২০), পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের মো. শরীফের ছেলে মোঃ সাগর (২৩)।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন , গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন বলে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

৭১ এর ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না- ফজলুর রহমান মুরাদ

0

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল রাজনৈতিক ‘জনযুদ্ধ’। মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘ অথচ ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল। সংগ্রামের ধারাবাহিকতা-স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এবং চূড়ান্ত লড়াই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অসংখ্য ঘটনা, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে দিক, গোপন পরিকল্পনা-সিদ্ধান্ত জানা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে কত মানুষের অপরিসীম ত্যাগ-অসম সাহসিকতা-বীরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তা সবার জ্ঞাত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে কাজের সঙ্গে যে যতটুকু সম্পৃক্ত, সে ততটুকুই জানে। সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত নয় তারা সবকিছু জানার কথা নয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীনতা-তার অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। ‘প্রকাশ্যে’ ও ‘অপ্রকাশ্যে’ এই দুই ধরনের কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সুতরাং যারা এই দুই ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত নয় বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বদলে দিতে পারে না।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হেফাজতে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন আর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন সিরাজুল আলম খানের সৃষ্টি কাল্ট বা ছায়া শেখ মুজিবুর রহমান যাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিসাবে আমরা সবাই চিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মাঝপথে থামিয়ে দেওয়াটা সম্ভব ছিলো না এটা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বুঝতে পেরেছিল বলেই তারা মুক্তিযুদ্ধের কালে খন্দকার মোশতাককে দিয়ে একটি কনফেডারেশন জাতীয় প্রস্তাব দিয়েও সাড়া পায়নি। সিরাজুল আলম খানের সৃষ্টি জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু,(ছায়া শেখ মুজিবুর রহমান), জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় শ্লোগান জয়বাংলা, জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা ও বাংলার লাল সবুজের মানচিত্র তখন সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে প্রবাহিত হয়ে গেছে এখান থেকে বাঙালি জাতিকে ফিরিয়ে আনা কারো পক্ষেই আর সম্ভব ছিলো না।।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে ৩ মার্চ তারিখে গণপরিষদের অধিবেশন বাতিল করলে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হোটেল পূর্বাণীতে পার্লামেন্টারি দলের বৈঠক করছিলেন। ১লা মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের জাতীয় সংসদ অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণাই সিরাজুল আলম খানের হাতে প্রথম স্বাধীনতার অস্ত্রটি তুলে দেয়।সিরাজুল আলম খান সেই অস্ত্র কালবিলম্ব না করে প্রয়োগ করতে শুরু করেন।

বঙ্গবন্ধু যখন হোটেল পূর্বানীতে তার সংসদীয় দলের সভা করছেন তখনই সিরাজুল আলম খান ও নিউক্লিয়াস বাংলার জনগণকে স্বাধীনতার দাবিতে রাজপথে টেনে নামিয়ে ফেলেছেন।এরপর ২রামার্চে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন ও ৩রা মার্চে বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার পুর্নাঙ্গ ইস্তেহারও ঘোষণা হয়ে গেল। বাকি থাকে বঙ্গবন্ধুর নিজের মুখে স্বাধীনতার ডাক সেটাও সিরাজুল আলম খান ৭ই মার্চের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধুর নিজের মুখে “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” আদায় করে নিয়েছিলেন।

‘নিউক্লিয়াস’-এর পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মার্চ ডাকসুর ভিপি হিসেবে আসম আব্দুর রব স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে ওঠে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’। এই পরিষদের চার নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আসম আব্দুর রর ও আবদুল কুদ্দুস মাখন। আসম বর ৩ মার্চ পল্টনের জনসভায় ‘স্বাধীন সার্বভৌম’ বাংলাদেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইশতেহারটি পাঠ করেন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শাজাহান সিরাজ। ঘোষণায় বলা হয়- ৫৪ হাজার ৫ শত ৬ বর্গমাইল বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকার ৭ কোটি মানুষের আবাসিক ভূমি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের নাম ‘বাংলাদেশ’।স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ সংগীতটি ব্যবহৃত হবে। উপনিবেশবাদী পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক। ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়াও স্বাধীনতার ইশতেহারে স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কর্মপন্থা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মকৌশল এবং পদ্ধতির দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা, ৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনা দিয়ে কী মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র ভিত্তি রচিত হয়। এরপরও ঘোষণার আর কী বাকি থাকে? কীভাবে রাষ্ট্রের নামকরণ ‘বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হলো, কীভাবে জাতির আত্মপরিচয় পতাকা নির্মিত হলো, কীভাবে জাতীয় সংগীত নির্ধারিত হলো, কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হলো- এগুলো যাদের জানা নেই তারা কীভাবে সে কথা বলবে? জয় বাংলা স্লোগান কারা নির্ধারণ করেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কীভাবে প্রদান করা হলো,

২৪ মার্চ সকালে অনির্ধারিতভাবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইয়াহিয়ার বৈঠকের জন্য তৎকালীন গণভবনে বঙ্গবন্ধু রওনা হলেন। তখন তার গাড়ির এক পাশে কালো পতাকা আর অন্য পাশে স্বাধীন বাংলার পতাকা বেঁধে দেওয়া হয়।আর এটাই ছিল কনফেডারেশন আলোচনার শেষ পেরেক যা তাদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।।

অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাঙালির সংগ্রামী চরিত্র আরও বিকশিত হয়েছিল-সুদৃঢ় হয়েছিল-প্রত্যক্ষ তা সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণে উন্মুখ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে স্বাধীনতার পর শাসনক্ষমতার দ্বন্দ্বে সম্পর্কিত করে মূল্যায়ন করা খুবই দুঃখজনক। ‘জাতি-রাষ্ট্র’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কাহিনী অনুসন্ধান ও গবেষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধর প্রকৃত সত্য তুলে ধরা।

নিউক্লিয়াস ও ছাত্রলীগ দাবী করছে তারা অনেক আগেই দেশের মানচিত্র, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান সব কিছু ঠিক করেই রেখেছিল।।সে মোতাবেক নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার পরেই ছাত্রলীগ স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে।১৯৭১ সালের ১লা মার্চ আওয়ামীলীগ যখন হোটেল পুর্বাণীতে পাকিস্তান এর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে তাদের সংসদীয় কমিটির সভা করছেন তখন ছাত্রলীগ ঢাকার রাজপথে স্বাধীনতার দাবিতে লক্ষ লক্ষ জনতার মিছিল শুরু করে দিয়েছে।২রা মার্চ লক্ষ লক্ষ জনতার রায় নিয়েই উড়িয়ে দিয়েছে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা। ৩রা মার্চ বঙ্গবন্ধুকে উপস্থিত রেখেই ঘোষনা করেছে স্বাধীনতার ইস্তেহার যেখানে সবকিছু সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হবেন রাষ্টের প্রধান ও সর্বাধিনায়ক,নবগঠিত রাষ্টের নাম হবে বাংলাদেশ, যার সীমানা হবে ৫৪ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে। দেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে রবি ঠাকুরে” ” আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি,দেশের জাতীয় শ্লোগান হবে জয় বাংলা।সেনা প্রধান হবেন এম এ জি ওসমানী। এখানে শুধু অভার ছিল একজন নির্দিষ্ট অথরিটির যার একমাত্র এক্তিয়ার ছিল স্বাধীনতার ঘোষনা দেবার।আর সেই এক্তিয়ার ছিল শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।আর সে কারনেই নিউক্লিয়াস ও ছাত্রলীগ ৭ই মার্চের ভাষনের শেষ দুটি লাইন ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “ই ছিল তাদের চাহিদা।।আর ২রা মার্চ,৩রা মার্চ আর ৭ই মার্চ হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার পরিপুর্নরুপ।।আর সিরাজুল আলম খান এর রুপকার।।

লেখক :
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান মুরাদ।
সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
লেখকের ফেইসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত)

কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মনির (৫৮) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় সড়কের পাশ থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চরহাজারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মনিরুজ্জামান মনির চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভগ্নিপতি এবং নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। মনির স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তার দলীয় পদবী জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনির তার এলাকার সমাজের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুক্রবার সামাজিক মসজিদে নামাজ পড়ে সিএনজি যোগে বসুরহাট বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় চৌরাস্তা এলাকায় তার সিএনজি গতিরোধ করে একদল দূর্বৃত্ত। পরে তারা সিএনজি থেকে নামিয়ে মনিরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। আহত মনিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শমতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোম্পানীগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিক সমিতির কমিটি গঠন- কুদ্দুস সভাপতি, নুরনবী সম্পাদক

0

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুসকে সভাপতি ও মোঃ নুরনবী সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির ১৭ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির অপরাপর সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাক্তার আবদুল হক,সহ-সভাপতি কাজী মো.ফজলুল করিম ফয়সাল,সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রাজু,কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ,দপ্তর সম্পাদক আইয়ুব আলী।
কার্যনির্বাহী সদস্য ডাঃ খুরশিদ আলম,মাষ্টার আবদুল জলিল,সামছুদ্দিন,আতিক উল্যাহ,কাজী আহমদ করিম,মো.আজিজ,ইমাম উদ্দিন সবুজ,জসিম উদ্দিন ও সোহাগ।

বুধবার( ২সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি ঘোষণা পূর্বে বসুরহাট নির্ঝর কনভেনে
এক বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বসুরহাট পৌর প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম,
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম শিকদার,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোঃ মিজানুর রহমান,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন। বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।