Home Blog Page 30

কোম্পানীগঞ্জে সিকদার-রিপন’র বিরুদ্ধে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: এক সময়ে বিএনপির দূর্গ ও প্রয়াত সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতাদের গালে ‘জুতা মারতে’ এবং ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবৈধ কমিটি ঘোষণার পর থেকে এর প্রতিবাদে বিভিন্ন ইউনিয়নে মিছিল বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বিএনপির তৃণমূলের পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা।

মিছিলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা স্লোগান তোলেন, ‘সিকদারের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’; ‘বুদ্ধি রিপনের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’; ‘অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না’; ‘টাকা খেয়ে কমিটি মানবো না মানবো না’।জিয়ার সৈনিক এক হও,’আওয়ামী লীগ মার্কা বিএনপির দালালরা হুশিয়ার সাবধান’।

গত ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর (শুকবার) নুরুল আলম সিকদার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মাহমুদুল হাসান রিপন সদস্য সচিব। এ দু’জনের নেতৃত্বে ৭২সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি। কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ কমিটির বিরুদ্ধে তখনও সাথে সাথে ঝাড়ু মিছিল করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা এখন পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটির পদ নিয়ে বসে আছেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ২৮ মাস পর মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি গত শুক্রবার (২৮ জুন) নুরুল আলম সিকাদের মুছাপুরের বাড়িতে কাউন্সিল ছাড়া নিজেদের লোক দিয়ে আট ইউনিয়নের পকেট কমিটি গঠন করে। এতে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করা এবং এলাকার বাইরে থাকা এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে গা ভাসানো লোকজনকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মাধ্যমে কর্মীবান্ধব লোকদের পদে স্থান করে দেয়ার দাবীতে চরহাজারী ইউনিয়ন ও চরপার্বতী ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি নেতা গাজী মো. আলমগীরের নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ মেম্বার, হারুন অর রশীদ ভূঞা, আবু তাহের, মো. সফি উল্যাহ (মন্ত্রী সফি), নূরুল হুদা বাচ্চু, সেলিম মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, মোর্শেদ আলম, আব্দুল হক হকসাব, কামাল উদ্দীন, আব্দুর রহীম, আবদুল মতিন, রবিউল আলম ও সেলিম ড্রাইভার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অপর দিকে চর পার্বতী ইউনিয়নে মিলন মেম্বারের নেতৃত্বে উপজেলা আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে একটি ঝাড়ু মিছিল বের করেন।

এতিকে বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদ ভূঞা বলেন, নেতারা টাকার বিনিময়ে নিষ্ক্রিয় লোকদের দিয়ে বিএনপির কমিটি করেছেন। এজন্য উপজেলা বিএনপির শিকদার-রিপন দায়ী। এ দু’জনের টাকার লোভের কারণে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মতো সিনিয়র নেতার এলাকা, এক সময়ের বিএনপির দূর্গ আজ সাংগঠনিক অবস্থা নিস্ক্রিয়তা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ পাওয়া সিরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন মাসুম চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন প্রায় সময়ে এলাকার বাহিরে থাকেন । চরপার্বতী ইউনিয়নের সভাপতি রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। চরহাজারী ইউনিয়ন সভাপতি নুরনবী বাবুল ঢাকায় ব্যবসা করেন মাঝে মধ্যে দলিল রেজিষ্ট্রি করার গ্রাহক পেলে এলাকায় আসেন। চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

চরফকিরা ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রাব্বানী বিপ্লব উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তার পক্ষে কাজ করে কবি জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচালক নির্বাচিত হন। রামপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমাছ খান বাহাদুর সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। এলাকায় কোন কাজ ছাড়া আসেন না। মাঝে মধ্যে এলাকায় দেখা যায়।

মুছাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন মাষ্টার (কিছুদিন আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন)। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে সখ্যতা রেখে তাদের সাথে এলাকায় লিয়াজু করে চলেন। সংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মাঝি বালুর ব্যবসা করেন, নেই কোন তার একাডেমিক শিক্ষা, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালনে নেই কোন সাংগঠনিক ন্যূন্যতম যোগ্যতা।

এ ব্যাপারে আবদুল মজিদ মেম্বার (সাবেক) বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে আরো ৩ বছর আগে। তারাতো এক্সপেয়ারডেট। তাদের মেয়াদ শেষে, কাজও শেষ,তারা কি করে কমিটি করে। তাদের কমটি আমরা মানিনা। শিগগিরই ত্যাগী, দলের দুঃসময়ে কারা নির্যাতিত নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা এটি বিক্ষোভ কারীদের দাবী।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন কে বারবার কল দিলেও মোবাইল রিসিভ করেননি।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া ও পদ বঞ্চিতরা প্রতিবাদ করতেই পারে এটা স্বাভাবিক। মাঠ ছেড়ে কেন বাড়ীতে বসে এ কমিটি ঘোষণা করলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের ডিস্টার্বের কারনে বাড়ীতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অপর দিকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করার দায়িত্ব উপজেলা কমিটির তারা কমিটি দিতেই পারেন। মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা কমিটি এই ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমার নলেজে নেই। পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

কোম্পানীগঞ্জে সিপিবি’র সম্মেলন বিমল সভাপতি, অজয় সাধারণ সম্পাদক

0

এএইচএম মান্নান মুন্না :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সিপিবি’র দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে বিমল সভাপতি অজয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
শুক্রবার (২৮জুন) বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে কমরেড বিমল মজুমদার’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কমরেড মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুন, নোয়াখালী জেলা সিপিবি সভাপতি কমরেড শহীদ উদ্দিন বাবুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কাউন্সিল অধিবেশনে জগবন্ধু বৈষ্ণব’র সভাপতিত্বে সম্পাদকীয় রিপোর্ট পেশ করেন কমরেড অজয় কুমার আচার।রিপোর্টের ওপর সম্পূরক বক্তব্য রাখেন কমরেড মাহাবুবল হক, কমরেড সাখাওয়াত হোসেন, কমরেড ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, কমরেড রুহুল আমীন, কমরেড গোবিন্দ গোস্বামী, কমরেড নিরঞ্জন মজুমদার।

শেষে কমরেড বিমল চন্দ্র মজুমদার কে সভাপতি ও কমরেড অজয় কুমার আচার্য কে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জে ৮টি ইউনিয়নে বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

0

ইমাম হাসান স্বপন:
কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি কর্তৃক অগণতান্ত্রিক, গঠনতন্ত্রপরিপন্থী, পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে চরহাজারী ইউনিয়নে বিএনপির একটি অংশের উদ্যােগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার( ২৯জুন)বিকাল ৫ ঘটিকায় চরহাজারী ইউপি কার্যালয়েে সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি নেতা গাজী মো:আলমগীর’র নেতৃত্বে চরহাজারী ইউনিয়ন চৌরাস্তা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।মিছিল শেষে ইউপি কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গাজী মো: আলমগীর, আব্দুল মজিদ মেম্বার, হারুন অর রশীদ ভূঞা, আবু তাহের, মো:সফি উল্যাহ (মন্ত্রী সফি), নূরুল হুদা বাচ্চু,সেলিম মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, মোর্শেদ আলম, আব্দুল হক হকসাব,কামাল উদ্দীন, আব্দুর রহীম, আবদুল মতিন, রবিউল আলম,ও সেলিম ড্রাইভার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন,গত শুক্রবার( ২৮ জুন) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদার’র বাড়ীতে ৩নং চর হাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ঘোষণা করে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। নৃুরুল আলম সিকদার তার বাড়ীতে( মুছাপুর) যে কমিটি ঘোষণা করেছে এটি একটি সংগঠনপরিপন্থী। সে পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে এ কমিটি করে এটি সিকদার রিপনে’র পকেট কমিটি। তৃণমুলের নেতা কর্মীরা কাউন্সিলের মাধ্যমে পুন:কমিটির দাবী জানান।

এব্যাপারে নুরুল আলম সিকদার বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া ও পদ বঞ্চিতরা প্রতিবাদ করতেই পারে এটি স্বাভাবিক। মাঠ ছেড়ে কেন বাড়ীতে বসে এ কমিটি ঘোষণা করলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত দিনে প্রশাসনের ডিস্টার্বের কারনে বাড়ীতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অপর দিকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড :আব্দুর রহমান বলেন ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করার দায়িত্ব উপজেলা কমিটির। তারা কমিটি দিতেই পারেন। মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা কমিটি এই কমিটি ঘোষণা করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমার নলেজে নেই। পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

উল্লেখ্য,গত ৮ অক্টোবর (২০২১ সাল) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি করা হয়। আহবায়ক কমিটির ৯০ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হয়।

কোম্পানীগঞ্জে আটটি ইউনিয়নে বিএনপি’র আংশিক কমিটি ঘোষণা

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আটটি ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার( ২৮ জুন) বিকাল ৪ ঘটিকায় মুছাপুর ইউনিয়নে নুরুল আলম সিকদার বাড়ীতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন’র সঞ্চালনায় কমিটি ঘোষণা পূর্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মানছুরুল হক বাবর, আবুল কালাম আজাদ, এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মো: আবদুল হক শাহজান, আবদুল মতিন তোতাসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আটটি ইউনিয়নে কমিটিতে যারা রয়েছেন:১নং সিরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হলেন, মাঈন উদ্দিন মাছুম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহ্জাহান।২নং চরপার্বতী ইউনিয়নে সভাপতি আইয়ুব নবী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শূন্য রেখেছেন,৩নং চরহাজারী ইউনিয়নে সভাপতি নুরনবী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম,৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নে সভাপতি মোশারফ হোসেন বাহার, সাধারণ সম্পাদক মো:বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন,
৫নং চরফকিরা ইউনিয়নে সভাপতি গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ছায়েদ রিপন,৬নং রামপুর ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আলমাস খাঁন বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তবে রামপুর ইউনিয়নে আনছার উল্যাহকে সভাপতি পদে আসীন করার সম্ভবনা রয়েছে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
৭নং মুছাপুর ইউনিয়নে হাফেজ আবদুল হক শাহজান,সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক মো:ইব্রাহিম।
৮নং চরএলাহী ইউনিয়নে সভাপতি পদে আবদুল মতিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক মো:মোস্তাফিজুর রহমান ও নূরুল হুদা মাস্টারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। অসংখ্য নেতা-কর্মী বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত। এর মধ্যেই দির্ঘদিন ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়েই চলছিল দলের কাজ। সব মিলিয়ে দলীয় কার্যক্রম গতিহীন হয়ে পড়ে। নতুন কমিটি হওয়ায়, অনেক তরুণ উদীয়মান ও নতুন মুখ কমিটিতে জায়গা পাবেন। অপর দিকে আন্দোলন–সংগ্রামেও গতি ফিরবে।

উপজেলার এক নেতা জানান,দলকে সুসংগঠিত করতে, কর্মীদের মনোভাব চাঙা করতে, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে এই আটটি ইউনিয়নে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, বিএনপি, বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির সংক্ষিপ্ত রূপে বিএনপি নামেই পরিচিত এই দলটি। বাংলায় ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

১৯৭৬ সালে সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান  রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। এরপর ১৯৭৭ সালে তাঁর শাসন বেসামরিক করার লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগ দল) প্রতিষ্ঠা করেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তার ছিলেন এ দলের সমন্বয়ক। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাগ দল বিলুপ্ত করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিয়াউর রহমান ছিলেন এ দলের চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠাকালীন এ দলের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের সমন্বয়। ১৯৭৯ সালে এ দল থেকে নির্বাচন করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

বামনী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বামনী ডিগ্রি কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছে।

ধর্মীয় কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১ ঘটিকায় কলেজ মিলনায়তনে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের এ বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও বামনী ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রে নিজেকে যোগ্যতম নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বর্তমান সময়ে ছেলেদের ছেয়ে মেয়েরা পড়ালেখায় ভালো। বেশিরভাগ ছেলেরা স্মাটফোনে আসক্ত আর কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত। তাই শিক্ষার বিকল্প শুধুমাত্র শিক্ষাই। আর শুধু শিক্ষিত হলে চলবেনা। উন্নত জাতি গঠনে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

কলেজ অধ্যক্ষ রাহবার হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ছিদ্দিক উল্যাহ ভূট্টো, শাহজামাল সবুজ প্রমুখ। বিদায় শিক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

মায়ের সাথে অভিমান করে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

0

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালী চাটখিলে মায়ের সাথে অভিমান করে কলেজ ছাত্রীর আত্নহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চাটখিল সেন্ট্রাল হসপিটালের পাশের একটি বাসায়। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ৭টায় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে নুরজাহান আক্তার প্রিয়া (১৭) নামের এই কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা ক।
মৃত কলেজ ছাত্রী রংপুর জেলার পীরগাছা থানার রামদেব গ্রামের মতি কেরানি বাড়ির মোঃ আব্দুল জব্বারের মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন থেকে চাটখিল পৌরসভায় ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মৃত কলেজ ছাত্রীর বাবা উপজেলা গেইটের সামনে চায়ের ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।
মৃত কলেজ ছাত্রীর মা জানান, শুধু নামাজ না পড়ার কারণে তাকে সামান্য বকেছিলাম, পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে বলেছিলাম এই সামান্য কথাকে কেন্দ্র করে সে এমন কাজ করবে আমি ভাবতেও পারিনি।
স্থানীয়রা বলছে, সে একটু রাগী মেয়ে অল্পতে অনেক বেশি রাগ করে বসে। পড়াশোনা ভালোভাবে না করায় এবং বিয়ে-শাদির জন্য প্রস্তাব আসলেও বিয়ে বসতে রাজি না হওয়া ও সময় মত নামাজ না পড়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটু শাসন করায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
চাটখিল থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, খবরশুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায়, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নোয়াখালীতে ২৩ সালে প্রথম দেখাদেয় ভয়ংকর বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার

0

বিশেষ প্রতিবেদক :
নোয়াখালীতে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বারের মতো দেখা দেয় ভয়ংকর সাপ ‘রাসেল ভাইপার’ এর আগে রাজশাহী, পাবনাসহ কয়েকটি জেলায় এ ভয়ংকর সাপের দেখা মেলে।

২০২৩ সালের মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে হাতিয়া উপজেলায় মাঝারি আকৃতির রাসেল ভাইপার সাপটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।  

হাতিয়া উপজেলা চানন্দী ইউনিয়নে সাঈদপুর গ্রামের আজাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে ঝোপ থেকে অজগর সাপ ভেবে এ সাপটি উদ্ধার করে। পরে তার ফোঁস ফোঁস আওয়াজে ভয় পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ভেনম রিসার্স সেন্টারের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তারা সাপটিকে যাচাই করে দেখেন এটি বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার।

বর্তমানে সারাদেশে ক্রমেই যেন রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। কিছুদিন আগে এই সাপের বিচরণ শুধু চরাঞ্চলে থাকলেও এখন লোকালয়েও দেখা মিলছে। ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাপ পিটিয়ে মারার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়রা পোস্ট করছেন নিয়মিত।

বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, দিনাজপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর; এমনকি ঢাকার আশপাশেও খোঁজ মিলছে সাপটির। অস্তিত্ব মিলেছে ২৫ জেলায়। 

রাসেল ভাইপার দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ছোট ও সরু লেজের সরীসৃপটি দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। শরীরজুড়ে অনেকটা চাঁদের মতো গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ। দৈহিক এই বৈশিষ্ট্যের কারণে শুকনো পাতা বা ধান ক্ষেতের মধ্যে খুব সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে নিজেকে।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, সাপের এই প্রজাতিটি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত ১০-১২ বছর আগে থেকে আবারো এই সাপের কামড়ের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। 

এই প্রজাতির সাপ এই অঞ্চলে আবার কীভাবে ফিরে আসছে, তা নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা চলছে।

২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২০টি রাসেল ভাইপার দংশনের ঘটনা ঘটে। বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইাটি, বাংলাদেশে। সেসময় ঐ গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলাতেই রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি রয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই এই সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।

ঐ গবেষণায় উঠে আসে, এই প্রজাতির সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সাপের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো।

তিনি বলেন, আগে কৃষিজমিতে বছরে একবার বা দুইবার ফসল ফলানো হত এবং বাকি সময় পানির অভাব থাকায় জমি পরিত্যক্ত পড়ে থাকতো। ৯০’ এর দশকে সেচ পদ্ধতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল ফলানো শুরু করেন এবং জমি কম সময় পরিত্যক্ত থাকতে শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, সারা বছর ক্ষেতে ফসল থাকায় জমিতে ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা এই সাপের প্রধান খাদ্য। আর ইঁদুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ পর্যাপ্ত খাদ্য পেতে শুরু করে এবং বংশবিস্তারের জন্য যথাযথ পরিবেশ পেতে থাকে। 

বেশির ভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেল ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ডও আছে।

ঘন ঝোপ আর পরিত্যক্ত জমি অপেক্ষাকৃত কমে যাওয়ায় এই সাপ কৃষি জমিতেই থাকে, যার ফলে যারা মাঠে কৃষিকাজ করেন তারা রাসেল ভাইপারের দংশনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়ে থাকেন।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়ার ফলে ভারতের নদ-নদী থেকে ভেসেও এই সাপ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এখন পর্যন্ত পদ্মা অববাহিকায় এই সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। আমরা দেখেছি যেসব জায়গায় এই সাপ পাওয়া গেছে তার অধিকাংশ জায়গাতেই কচুরিপানা রয়েছে, আবার কচুরিপানার মধ্যেও এই সাপ পাওয়া গেছে। কাজেই আমরা ধরে নিতে পারি কচুরিপানার ওপরে ভেসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এই সাপ বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছেছে।

কতটা মারাত্মক এই সাপের দংশন-

বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের দংশনের হার খুব বেশি না হলেও ভারতে প্রতি বছর যে পরিমাণ সর্প দংশনের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্তত ৪৩% এবং শ্রীলংকায় প্রতি বছর মোট সর্প দংশনের ঘটনার ৩০-৪০% রাসেলস ভাইপারের কারণে হয়ে থাকে।

সাধারণত কৃষি জমিতে থাকে বলে মানুষ অনেক সময়ই সাপের গায়ে পা দেয় বা না জেনে একে বিরক্ত করে থাকে। আর রাসেল ভাইপার বিপন্ন বোধ করলে আচমকা আক্রমণ করে থাকে।

আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে শেষ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়া। ক্ষেপে গেলে শব্দ করে প্রচণ্ড জোরে। ঠিক যেন প্রেসার কুকারের মতো।

এই প্রজাতির সাপের কামড়ের কিছুক্ষণ পরই দংশিত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যাখার পাশাপাশি দংশিত স্থান দ্রুত ফুলে যায় এবং ঘণ্টা খানেকের মধ্যে দংশিত স্থানের কাছে শরীরের আরো কয়েকটি অংশ আলাদাভাবে ফুলে যায়।

দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে নিম্ন রক্তচাপ, কিডনি অকার্যকর হওয়া সহ বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ সাপের দংশনে দংশিত হয়, যার মধ্যে প্রতি বছর অন্তত এক লাখ মানুষ মারা যায়। আর সাপের দংশনে আহত হয়ে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করা এবং সাপে কাটার পর গ্রামীণ জনপদ এখনো ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত না হওয়ার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যদিও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকারও অভিযোগ আছে।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাঈদ বলেন, সাপ দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। ওঝার বাড়িতে গিয়ে অনেকে সময় নষ্ট করেন। এতে বিষক্রিয়া পুরোপুরি প্রকাশ পেয়ে গেলে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া রোগীকে বাঁচানো যাবে না।
 
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, অ্যান্টিভেনম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেওয়া আছে। যেসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় সংরক্ষিত আছে। এনসিডির (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
 
প্রতি বছর দেশে চার লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাটে, যাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

চাটখিল ফোরাম সাধারণ সম্পাদকে’র বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত

0

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাটখিল বার্তার প্রধান সম্পাদক ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করলেন এ্যাডভানস‌ টেকনোলজির সিইও শিল্পপতি মোহাম্মদ সেলিম , সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমাম হাসান, দশঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান ছুটটুসহ বিশিষ্টজনেরা। মঙ্গলবার বিকালে ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদের আবুতোরাব গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত তাঁর বাবা- মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা দোয়া এবং মোনাজাতে অংশ নেন । এ সময় চাটখিল মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ , রাহিম ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মাইন উদ্দিন বাঁধন, সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য সাংবাদিক ফরহাদের বাবা চাটখিলের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক অধ্যাপক আব্দুল মতিন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এবং মাতা পারভিন আক্তার গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেন।

ভেরিফিকেশনে জানা গেল ভূমিহীন, পুলিশে চাকুরী হচ্ছেনা কোম্পানীগঞ্জের সানজিদার

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সানজিদা আক্তার (২৯)। তিন বোন, এক ভাই ও বাবা-মাকে নিয়ে অভাবের সংসার। সানজিদার বাবা মীর হোসেন পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। বর্তমানে রামপুর ইউনিয়নে একটি ভাড়া বাসায় থাকে পরিবারটি। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাকরির আশায় পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করেন সানজিদা। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নোয়াখালী জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৭৮ তরুণ-তরুণীর সাথে সানজিদাও পুলিশ কনস্টেবল পদের সবকয়টি ধাপে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এতোটা কাছে এসেও স্বপ্ন পূরণে বাধা পড়ল যখন পুলিশ ভেরিফিকেশনে জানা গেল সানজিদা আক্তার ভূমিহীন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নির্বাচিত প্রার্থীদের ফুল দিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মিষ্টিমুখ করান। পরিবারের ও সানজিদার মুখে হাসি ফুটে উঠে। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে সানজিদা আক্তার ভূমিহীন জানার ফলে তার চাকরি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। নিমিষেই সেই হাসি মিলিয়ে যায়। তবে সানজিদার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন বলেন, চাকরির নিয়ম অনুসারে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়। আমরা তখন জানতে পারলাম সানজিদা আক্তার ভূমিহীন। তবে সে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। বিষয়টি আমাদের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্যার জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় সানজিদাকে ভূমি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানায়। সব কিছু ঠিক থাকলে এই মাসের শেষের দিকে মেয়েটি প্রশিক্ষণে যেতে পারবে। মেয়েটির পাশে থাকতে পেরে পুলিশ প্রশাসন আনন্দিত।

সানজিদা আক্তার জানান, আমি অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছি। সরকারি মুজিব কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে অনার্সে পড়ছি। আমার চাকরিটা হলে বাবা-মায়ের কষ্ট কমবে। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। ভূমিহীন হওয়াতো আমার অপরাধ না। যোগ্যতা অনুযায়ী সব ধাপের পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছি।

সানজিদার মা নুর জাহান বলেন, আমার শ্বশুরের কোনো সম্পত্তি নেই। আমি ১৪ বছর ধরে মানুষের বাসায় ভাড়া থাকি। আমার স্বামী বিদেশ গিয়েও ফেরত আসে। পাঁচ সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এখনও কষ্ট করছি। মেয়ের চাকরিটা হলে আমাদের খুব উপকার হতো। আমার মেয়ে যদি যোগ্য হয় তাহলে তাকে যেন নিয়োগ দেওয়া হয়। এটা অসহায় মায়ের একমাত্র দাবি।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানায় মেয়েটি মেধাবী, কষ্ট করে টিউশনি করে চাকরি পেয়েছে। ভূমিহীন হওয়ায় চাকরিটা মিলছে না। যাচাই-বাছাই করে আমরা তার আদি নিবাসের পাশের ওয়ার্ডে খাস জমিতে পাঁচ শতক জমির দলিল করে দিয়েছি। আমাদের সমাজ কল্যাণ পরিষদের একটা ফান্ড আছে সেখান থেকে তার জন্য ঘর করে দেওয়া হবে। তার একটি স্থায়ী ঠিকানা হবে। এছাড়া সে চাকরি পাওয়ার অধিকার পাবে। সে যে চাকরির বিবেচনাধীন আছে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। পরবর্তী সময়ে সে প্রশিক্ষণেও যেতে পারবে। একজন যোগ্য প্রার্থী কেবল ভূমির অভাবে চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে না। আমি মেয়েটি ও তার পরিবারের সফলতা কামনা করছি।

হাজারী হাট হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: হাজারী হাট হাই স্কুল এন্ড বিএম কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি ও এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষার্থীদের বিদায় সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছে।

ধর্মীয় কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ এর মধ্য দিয়ে মঙ্গল বার (১১ জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় কলেজ মিলনায়তনে এইচএসসি সাধারণ ও এইচএসসি বিএমটি পরিক্ষার্থীদের এ বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রে যোগ্যতম নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই, আর শুধু শিক্ষিত হলে চলবেনা। উন্নত জাতি গঠনে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তোমরা আগামী দিনে সোনালী ভবিষ্যতের আশা যোগবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর,স্মার্ট বাংলাদেশ প্রত্যয় কে,এগিয়ে নিতে,তরুণদের শিক্ষার ভূমিকা অপরিহার্য,তাই তোমাদের মনোবল থাকতে হবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার।

কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল হুদা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ, অত্র কলেজের দাতা সদস্য খোরশেদ আলম,ভারপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান টিপু, অভিভাবক সদস্য হুমায়ুন কবির শাহজাদা, শিক্ষানুরাগী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব আলী চৌধুরী,সমাজ সেবক আব্দুল আজিজ, সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুর রহমান, ইউপি সদস্য আশিক ইকবাল খান, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেন প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া নাসরিন পায়েল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শেখ সাদী ভূঁইয়া ও সিনিয়র শিক্ষক জীবন সুলতানা রুবি। বিদায় শিক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামনা করে শিক্ষক আবুল কাশেম ফরায়েজির দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।