Home Blog Page 41

কোম্পানীগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ‘উন্নয়ন ,শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’ এ প্রতিপাদ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত সকলকে দুর্নীতি না করার শপথ করানো হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষিকা জীবন সুলতানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মনির ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিয়াস চন্দ্র দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তাসলিমা ফেরদৌসী,কৃষি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন,মৎস কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সরকার, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি আমির হোসেন বিএসসি, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ,সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন শাহীন প্রমূখ।

কবিরহাটে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে ২ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুই স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে প্রায় তিন কোটি টাকার স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে মা-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্সে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত নৈশপ্রহরী মো. শহীদ উল্যা কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের উপদ্দি লামছি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।

ডাকাতি হওয়া মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ বলেন, ডাকাত দল গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে আমার স্বর্ণের দোকানের লকার কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রূপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নুর আলম বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমার নূর জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণ ও রূপা লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া আমার দোকানে প্রচুর ভাঙচুর করা হয়েছে।

ডাকাতির খবর শুনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগি দুই ব্যবসায়ীকে নগদ ৩লক্ষ টাকা এবং নিহত নৈশপ্রহরীকে নগদ ৫০হাজার টাকা প্রদান করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে চাপরাশিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। রাতে বাজার পাহারা দেন পাঁচজন নৈশপ্রহরী। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল ডাকাত একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজার আসে। পরে তারা তিনজন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তি করতে গেলে শহীদ উল্যাহকে প্রথমে মাথায় আঘাত ও পরে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর বেঁধে রাখা বাকি দুজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বাজারে থাকা দুইজন সিএনজি চালক বের হয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে বেঁধে রাখা হয়। পরে বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্সের লকার ভাঙচুর করে কয়েক শ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় দোকানগুলোতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাত দল রাত সাড়ে তিনটা থেকে প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুটি স্বর্ণের দোকানে লুটপাট চালায়। ডাকাতি শেষে তারা গাড়ি নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীর দিকে চলে যায় বলে লোকজন জানিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে অনেকগুলো আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের খুঁজে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাটখিলে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকেরসাথে অশোভন আচরণে প্রতিবাদ

0

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: চাটখিল উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গত ১৮ নভেম্বর শনিবার সকালে চাটখিল পি.জি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৃত্তি পরীক্ষার সংবাদ সংগ্রহের জন্য উপজেলার সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানানো হয়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক মো.হাবিবুর রহমান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সম্পূর্ণ বিনা কারণে পরীক্ষা চলাকালীন চাটখিল উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদার উল আলম এর সাথে অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তার এহেন আচরণে উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে যায়। এ সময় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং পরীক্ষা কার্যক্রম কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। উদ্বুত পরিস্থিতিতে সাংবাদিক হাবিব কেন্দ্র থেকে বের হয়ে চলে আসেন।

এ দিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদার উল আলম বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের এর চাটখিল উপজেলা কমিটির সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তাই চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অপরদিকে এসোসিয়েশন মনোনীত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির নিয়মিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এসোসিয়েশন সভাপতি ডাক্তার এম.এ নোমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল বারাকাত ও সঞ্চালনায় উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী কমিটির সদস্য জসিম মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন মিলন, মুহাম্মদ রহমত উল্যাহ,ফয়েজ আহমেদ, মো.রাশেদ আলম, আবুল কাশেম মিলন, মো. আলমগীর হোসেন, সামছুল কবির।

‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন না করে তারা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরেছে’- কাদের মির্জা

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন না করে তারা তাদের নিজের পায়ে নিজেরা কুড়াল মেরেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।

মঙ্গলবার (৫ডিসেম্বর) রাত ৮টার সময় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কক্ষ থেকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

লাইভে তিনি বলেন, সরকার পতনের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। আজকে নির্বাচন বানচালের নামে সারাদেশে যে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-২০১৪ সালে এর থেকেও জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, তখন আমাদের এই কোম্পানীগঞ্জেও অনেক গুপ্ত হামলা করেছে, আমাদের মামুন ও ইমাম হোসেনকে হত্যা করেছে, রাস্তাঘাট কেটেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, সরকারি অফিস পুড়িয়েছে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি। তারা আবারও গাড়ি পুড়াচ্ছে, ট্রাকে ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে মারছে, যাত্রীবাহী গাড়িতে টাইম বোমা দিচ্ছে। এসব করে আসলে তারা কিছুই করতে পারবে না।

আমি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানাব, যদি পুলিশ প্রশাসন একটি নিয়মের মধ্যে এনে দেয় যে, দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলের সময় ৮/১০টা গাড়ি এক সঙ্গে রওনা হবে আর অগ্নিসন্ত্রাসদের প্রতিহত করার জন্য গাড়িতে কিছু সরঞ্জাম রেখে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকবে তাহলে গাড়ি পোড়ানো বন্ধ করা সম্ভব। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী যদি অফিসে বসে না থেকে, অফিসের সামনে শ্লোগান না দিয়ে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, যেখানে গাড়িতে হামলার শঙ্কা থাকে সেখানে অবস্থান নেয় সেক্ষেত্রে এই আগুন সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হবে।

কাদের মির্জা বলেন, মনোনয়ন না পেয়ে অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনকে দল বৈধতা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এছাড়া তারা যেন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সখ্যতা রাখতে না পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও নজরদারী রাখা প্রয়োজন আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মনোনয়ন বঞ্ছিত, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভিন্নভাবে বিএনপি-জামায়াতকে উস্কানি দিচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা ভোটের দিন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

দেশে নির্বাচনী একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত কিছুই করতে পারবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুমোদিত ৫৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে নাকি করেনি তা নিয়ে জনমনে কোনো উদ্বেগ নেই, জনগণ পাত্তাই দিচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, আজকে কোম্পানীগঞ্জে আমরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেইনি এমনকি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা রাস্তায়ও নামতে পারেনি।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলনের কবর রচিত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি যে একতরফা নির্বাচন করেছে, সে নির্বাচনে আমাদের কোম্পানীগঞ্জে একটি কেন্দ্রেও ভোট হয়নি। উপজেলায় এনে ২০০০ ভোট ব্যালট বক্সে দিয়ে কর্নেল এনামুল হককে নির্বাচিত করেছে। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে সেই নির্বাচন করে ৩ মাসও টিকতে পারেনি। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, আন্দোলনের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামায়াত কখনো আন্দোলনে সফল হবে না। তার প্রমাণ ২৮ অক্টোবর, সেদিন সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে ঢাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পুলিশ হত্যা করে, আগুন সন্ত্রাস করে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেও তারা দাঁড়াতে পারেনি সেদিনই তাদের আন্দোলনের কবর রচিত হয়েছে।

ইনশাহআল্লাহ আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। জনগণ জননেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তারা আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের সাহেবের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করবেন। তাছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ আমরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত করাব।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করব, আপনি বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কিছু কিছু পাড়া আছে সেগুলোর দিকে নজর দিন। ইনশাআল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করবে।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যে পদক্ষেপ নেবে সে পদক্ষেপ প্রার্থীরা মাথা পেতে নেবে। কিন্তু একটি বিষয় আসলে সবাইকে বিব্রত করেছে, সেটি হচ্ছে, ঢালাওভাবে ইউএনও ও ওসিদেরকে বদলি করা। আসলে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় থাকবে এসআই/দারোগা এবং নির্বাচন অফিসার ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাদের বহাল রেখে ইউএনও/ওসিকে যে উদ্দেশ্যে বদলি করেছে তা সফল হবে কি/না আমার বোধগম্য নয়। এক্ষেত্রে গণহারে বদলি না করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বদলি করলে মনে হয় সঠিক হতো। তারপরও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে সিদ্ধান্ত সবাই মাথা পেতে নেবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি মানবাধিকার দিবস পালন করবে। যারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিল জিয়াউর রহমান। এছাড়া জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা সারা দেশে অসংখ্য অগণিত অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ট্রাকের ঘুমন্ত হেলপার হত্যা করেছে, পুলিশ হত্যা করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। তাদের এরকম অমানবিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না। যাদের রাজনীতিই হলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করা তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলে। আমি আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনুরোধ করে বলব, জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের একটি বিপথগামী অংশ জামায়াত-বিএনপিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে যেন দল কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, আবদুল কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি বসুরহাট পৌরসভার চারবারের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ‘অপরাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্য বচনের’ কারণে তিনি জাতীয়ভাবে বেশ আলোচিত হন।

চাটখিলে আল ফারুক ইসলামী একাডেমীর শিক্ষা প্রদর্শনী ও মাহফিল

0

মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: চাটখিল উপজেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আল ফারুক ইসলামী একাডেমীর শিক্ষা প্রদর্শনী ও ওয়াজ মাহফিল আজ সন্ধ্যায় আজিজ সুপার মার্কেট মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাওলানা হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আল ফারুক ইসলামী একাডেমীর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শন করা হয়। কোমলমতি শিশুদের প্রদর্শনী মুগ্ধ করেছে চাটখিলবাসীকে। জানাযার প্রদর্শনী সহ প্রত্যেক ছাত্রের চমৎকার প্রদর্শনী দিয়ে মাঠে ব্যাপক আকর্ষণ তৈরী করেছে। এতে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার প্রভাব ফুটে উঠেছে।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি হাটি হাটি পা পা করে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। শতভাগ পাসের হারতো আছেই এছাড়াও বিগত সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০১১ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শতভাগ পাশের সফলতা দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ২০২৩ সালে হাফেজ হয়েছেন ১০ জন শিক্ষার্থী। তাদের পাগড়ী দিয়ে বরণ করেন জামেয়া ওসমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা ইউসুফ সাহেব।

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান এর তত্ত্বাবধানে ৪৫ জন শিক্ষককে নিয়ে প্রায় ৭৪০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে বর্তমানে আল ফারুক ইসলামী একাডেমিতে। তবে নিজস্ব ভবন না থাকায় চরম অন্যের ভবনে ভাড়া দিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিক্ষার মান উন্নয়ন ও কাঠামো পদ্ধতিতে আরবি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজবিজ্ঞান পড়ানো হচ্ছে এছাড়াও উপস্থাপনা, বক্তৃতা, সংগীত প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ পাঠ, নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে আল ফারুক ইসলামী একাডেমি।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে মাহফিলের আয়োজন করা হয় এতে মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার সাহেব, আড়াইহাজারীর জামিয়া দারুল কোরআন এর মুহতামিম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, চাটখিল জামে ওসমানীয়ার মুহতামিম মাওলানা ইউসুফ সাহেব, চাটখিল উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম আহমদী সাহেব প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহর দোয়ার মধ্য দিয়ে মাহফিলের অধিবেশনও শেষ হয়।

চাটখিল -১ আসনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

0

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে জনসভা, নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য ও ভোট প্রার্থনা করায় নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এবং বর্তমান সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম’কে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। একই সাথে আগামি ৭দিনের মধ্যে এর যথাযথ জবাব দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংসদীয় আসন নং-২৬৮, নোয়াখালী-১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশের ০২নং স্মারকে উল্লেখ্য করা হয়, গত পহেলা ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন আসনটির বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম। এছাড়াও তাঁর উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা তাঁর জন্য ভোট প্রার্থনা’সহ প্রচারণামূলক বক্তব্য প্রদান করে। পরবর্তীতে যা অনলাইন’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় এবং বিষয়টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে।

প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা ২০০৮ বিধি ৬ (গ) ও ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছে। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনি আচারণ বিধি ভঙ্গের কারণের সঠিক বাখ্যা আগামি ৯ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি কার্যালয়ে প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, ওইদিন আমি পাল্লা বাজার দিয়ে আসার সময় মানুষজনের উপস্থিতি দেখে সেখানে নামি এবং লোকজনের সাথে কথা বলি। বিষয়টিকে পরবর্তীতে কে কিভাবে প্রচার করেছে তা আমার জানা নেই। শোকজের বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে আমি জেনেছি, তবে এখনও কোনো লিখিত পায়নি।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনও অফিসে কোনো কপি এসে পৌঁছায়নি।

নোয়াখালীতে ৫৫জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮জনের মনোনয়ন বাতিল

0
https://noakhalitimes.com

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর ৬ টি সংসদীয় আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নোয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরন ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়। এছাড়া নোয়াখালীর ৬ আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয় এবং ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়। যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো যৌক্তিক কারণেই বাতিল করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-১ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-২ আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৪ আসনে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৫ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৫ জনেরই মনোনয়ন বৈধ হয়। নোয়াখালী-৬ আসনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৩ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী কিরনের মনোনয়ন বাতিল

0

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ খেলাপীর দায়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৩ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্যরা হলেন, জাসদের জয়নাল আবদীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ও মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে বৈধ প্রার্থী জাকের পার্টির মো. বাহার উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ, ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে তিনজনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। এরা হলেন, স্বতন্ত্র আক্তার হোসেন ফয়সাল, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ ও সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন।

নোয়াখালী-৪ আসনে মেজর মান্নান সহ চার জনের মনোনয়ন বাতিল

0
https://noakhalitimes.com

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করেছেন

নোয়াখালী-৪ আসনে মোট নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ চার জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণতন্ত্রী পার্টির সারওয়ার ই দীন, জাসদের এস এম রহিম উল্যাহ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জিহাদ চৌধুরী।

এর আগে সকাল থেকে জেলার আরও দুটি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিকেলে আরও তিনটি আসনের যাচাই-বাছাই হবে।

মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. আবু সুফিয়ান খান বলেন, আমাদের প্রার্থীর সব মামলা স্থগিত এবং ঋণ হালনাগাদ রয়েছে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।

এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, জাকের পার্টির মো. সোহরাব উদ্দিন ও ইসলামি ফ্রন্টের মো. আবদুল আলীম।

সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন

0
https://noakhalitimes.com

নিউজ ডেস্ক :: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৫.৬। এটি মাঝারি আকারের ভূমিকম্প।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার মাঝারি আকারের ভূকম্পনটি হয়েছে।

ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, ভূমিকম্পে আমাদের পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে। এ ধরনের ভূমিকম্প আমাদের এলাকায় আর হয়নি।

উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমি বাঁশ ঝাড়ের নিচে ছিলাম। হঠাৎ পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যেন বাঁশগুলো আমার ওপর ভেঙে পড়ছে। এ ধরনের ভূমিকম্প আর দেখিনি।

রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠল। পুরো বিল্ডিংটাই নড়ছিল। এ ধরনের ভূমিকম্প গত কয়েকবছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের হানুবাইশ গ্রামে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

রামগতি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, রামগঞ্জে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদের বার্তা পাঠিয়েছে। রামগতিও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবুও রামগঞ্জ ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।